একজন শিক্ষক ১৫ বছর ধরে ভিক্ষা করছেন
প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

জয়নুল আবেদিন। ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর। প্রিয় ছিলেন সবার। তার আলোয় আলোকিত বহু শিক্ষার্থীর জীবন। এদের অনেকেই এখন চাকরি করেন, কেউ হয়েছেন শিক্ষক। অথচ এখন ভিক্ষা করেন তাদের প্রিয় শিক্ষক।
বলছিলাম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খড়িবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক জয়নুল আবেদিনের কথা। আকচা ইউনিয়নের বুড়িরবাঁধ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যক্ত ঘরে থাকছেন তিনি। এক সময়ের আলোচিত এই শিক্ষক এখন মানসিক ভারসাম্যহীন। ১৫ বছর ধরে ভিক্ষা করে জীবন চলছে তার।
একসময় যেখানে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতেন আজ সেটি তার আশ্রয়স্থল। নেই সংসার, নেই খাবারের ব্যবস্থা। ভিক্ষা করে যা পান তাই খেয়ে বেঁচে আছেন এই মানুষ গড়ার কারিগর।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জয়নুল আবেদিনের জরাজীর্ণ শরীর। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ তিনি। খেয়ে না খেয়ে থাকেন। ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। কথা বলতে পারেন না। পুরো শরীরে ব্যথা। বার বার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৭৫ সালে জয়নুল আবেদিন সদর উপজেলার খড়িবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। বিদ্যালয়ে ইংরেজি পড়াতেন তিনি। অল্প সময়ের মধ্যে ইংরেজির ভালো শিক্ষক হিসেবে সবার প্রিয় হন জয়নুল আবেদিন। ২০০০ সালে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে রাগারাগি হয় এই শিক্ষকের। এরপর রাগ করে বিদ্যালয় থেকে চলে যান তিনি। পরবর্তীতে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। পরে এ ঘটনায় ২০০১ সালে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন এই শিক্ষক। কিন্তু অর্থাভাবে মামলা চালাতে পারেননি। এরপর আর কোথাও চাকরি নেননি। এরই মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন জয়নুল আবেদিন। ২০০৫ সাল থেকে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন তিনি।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় প্রতিদিন দেরিতে বিদ্যালয়ে আসার কারণে দবির উদ্দিনের সঙ্গে রাগারাগি হয় জয়নুল আবেদিনের। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা একাধিকবার বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলেও তাদের সঙ্গে বসতে রাজি হননি জয়নুল আবেদিন। এরপর তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
জয়নুল আবেদিনের শিক্ষার্থী মুসা বলেন, ‘একসময় স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়তাম। ইংরেজি অনেক ভালো পড়াতেন। স্যার যেখানে থাকছেন সেখানে আমাদের প্রাইভেট পড়াতেন। হঠাৎ স্যারকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়। কিছুদিন পরই স্যারের জীবন ওলটপালট হয়ে যায়। এখন স্যারের অবস্থা দেখে কষ্ট লাগে। আমি সাধ্যমতো স্যারকে সহায়তার চেষ্টা করছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা, রঘুনাথ, জয়নাল ও কাসেমসহ কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাঁধের পাশে পরিত্যক্ত ঘরে থাকেন শিক্ষক জয়নুল আবেদিন। প্রায়ই রাস্তার ওপর বসে থাকেন। তিনি সবার পরিচিত শিক্ষক। তার কাছে পড়াশোনা করে অনেকেই মানুষ হয়েছেন। অনেকে বড় চাকরি করেন, কেউ হয়েছেন শিক্ষক। অথচ জয়নুল স্যারকে দেখার কেউ নেই। অসহায় দিন কাটছে তার।
খড়িবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সাবিরুল ইসলাম বলেন, জয়নুল আবেদিন স্যার সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে আসতেন না। একদিন দেড়টার দিকে বিদ্যালয়ে আসেন। তখন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দবির উদ্দিন দেরি করে আসার কারণ জানতে চাইলে জয়নুল আবেদিন স্যার রেগে যান। এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে জয়নুল আবেদিন চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর তিনি মামলা করেন। মামলা চলা অবস্থায় দবির উদ্দিন মারা যান। পরে মামলা খারিজ হয়ে যায়। আমরা অনেকবার জয়নুল স্যারকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে বলেছি। কিন্তু তিনি আর শিক্ষকতা করেননি।
শিক্ষক সাবিরুল ইসলাম বলেন, ‘এরই মধ্যে অসুস্থ হন জয়নুল আবেদিন। অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে তাকে অনেকবার দেখতে গেছি। তাকে অনেকবার সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যখনই আমি তাকে দেখতে গেছি তখনই তিনি অভিমানে আড়ালে চলে গেছেন।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জয়নুল মাস্টারকে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে গৃহহীনদের জন্য সরকার যে ঘর দিচ্ছে, ওই শিক্ষকের জন্য একটি সরকারি ঘরের ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসায় সহায়তা দেওয়া হবে।’
– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –- কুড়িগ্রামে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত
- ঢাকা-জলপাইগুড়ি ট্রেনের ভাড়া ২৬০০ টাকা
- ডোমারে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত
- হাতীবান্ধায় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মারা গেছেন
- পরিশ্রমী নারী, কৃষিতেও এগিয়ে
- ঠাকুরগাঁওয়ে পোস্টম্যানের মরদেহ উদ্ধার
- দশ দেশে যায় ঠাকুরগাঁওয়ের কনিকার পরচুলা
- নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল- প্রধানমন্ত্রী
- ‘চিৎকার করলেই অধিকার আসে না, আদায় করে নিতে হয়’
- বরই খাওয়ানোর প্রলোভনে শিশুকে যৌন নির্যাতন!
- `বিএনপির জনবিচ্ছিন্ন আন্দোলনকে আ. লীগ ভয় পায় না`
- ‘তৃণমূলের এক কোটি নারীর ক্ষমতায়ন হবে’
- নয়াদিল্লিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপিত
- ‘নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ’
- ৭ই মার্চের ভাষণে সুস্পষ্টভাবে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু
- বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের প্রেক্ষাপটে কবিতার রচনাপট
- ৭ই মার্চকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ
- মুজিবের চেতনায় নারী অধিকার
- সৈয়দপুরে কুকুরের কামড়ে ছয়জন জখম
- ডোমারে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত
- ‘বিএনপির বিকল্প আন্দোলন হচ্ছে দেশ-বিদেশে গোপন বৈঠক আর ষড়যন্ত্র’
- বদরগঞ্জে ডোবায় মিলল ৪৮ দিন বয়সী শিশুর লাশ
- দোষারোপেই বিএনপির নেতাদের তৃপ্তি
- প্রেমে বয়সের পার্থক্য বেশি হলে যা করা জরুরি
- সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
- বেরোবিতে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ জাতীয় দিবস-২০২১ পালিত
- চরম দ্বন্দ্বে বিএনপির বুদ্ধিজীবী-রাজনীতিবিদরা
- রাস্তায় খাবার বিক্রি করবেন প্রিয়াংকা চোপড়া
- রংপুরে কারাগারে হাজতির মৃত্যু
- ১৭ দল নিয়ে মাঠে গড়াবে স্বাধীনতা কাপ ফুটবল
- বিজিবির ধাওয়ায় বস্তাভর্তি ফেনসিডিল ফেলে পালাল চোরাকারবারি
- বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে চায় ভুটান
- যেকোনো আঘাত মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- ‘ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস বাঙালি আত্মপরিচয়ের মাইলফলক’
- অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিতে জর্জরিত বিএনপি
- বালিয়াডাঙ্গীতে বিলুপ্তপ্রায় নীলগাই উদ্ধার
- বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা: বিপন্ন মানুষের বেঁচে ওঠার সাহস
- কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর: রংপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী
- বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আনন্দবাজার
- সৈয়দপুরে রসুন ক্ষেতে পঁচন, দিশেহারা কৃষক
- বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে তৃতীয়: প্রধানমন্ত্রী
- প্রথম ‘মাতৃভাষা পদক’ পেলেন তিন ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান
- ভারতের তৈরি করোনা টিকা নিলেন মোদি
- উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ মিলছে
- ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’
- রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
- নোট গাইড নিষিদ্ধ করে শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত
- আন্দোলনের ইস্যু না পেয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএনপি
- মুশতাকের মৃত্যু: কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলা পায়নি তদন্ত কমিটি
- রংপুরে ছেলেদের হাত থেকে বাঁচতে বাবা-মায়ের আকুতি