• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

গ্রামে হাঁস খেলা দেখতে নারী-পুরুষের উপচেপড়া ভিড়

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলাকে ধরে রাখতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আয়োজন করা হয় এক সময়ের জনপ্রিয় হাঁস ও কলাগাছ খেলা। খেলা দেখতে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ উপচেপড়া ভিড় জমে। দর্শকদের আনন্দ-উল্লাসে জমে ওঠে খেলাও।

রোববার দুপুরে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের জোড়া পুকুর বাজার কমিটির আয়োজনে খেলা দুটি অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খেলা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে উপজেলার জোড়াপুকুর এলাকার আতোয়ার মিয়ার দিঘীতে ছুটে আসেন হাজারো মানুষ। দিঘীতে ছেড়ে দেওয়া দুটি হাঁস। রেফারির বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে দিঘীতে ঝাঁপ দেন আটজন। দীঘির চারপাশে জড়ো হয়ে থাকা অসংখ্য মানুষ করতালি দিতে থাকনে। হাঁস ধরতে শুরু হয় হইচই। ধারাবাহিকভাবে ১০০ মানুষ এই হাঁস ধরার খেলায় অংশ নেন। এ খেলা শেষে শুরু হয় কলাগাছে ওঠার পর্ব। সেখানেও মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।

বাউরা আরেফা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহানা ইয়াসমিন জানায়, পরিবারের সঙ্গে খেলা দেখতে এসেছি। করোনাভাইরাসের পর এই প্রথম এই খেলাটি দেখলাম। অনেক ভালো লাগছে।

ষাটোর্ধ্ব শাহ আলম মিয়া বলেন, অনেকদিন পর খেলা দেখলাম। এ বয়সে হাঁস খেলা দেখে মনে আনন্দ পেলাম। 

এ হাঁস ও কলাগাছ খেলার উদ্বোধন করেন ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন- জোড়াপুকুর বাজার কমিটির সভাপতি ফজলার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে তারা পুরস্কার বিতরণ করেন।

জোড়াপুকুর বাজার কমিটির সভাপতি ফজলার রহমান বলেন, বাপ-দাদার আমলের সেই খেলাগুলো আবার নতুন প্রজন্মদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এ আয়োজন। এই খেলাগুলো আর চোখে পড়ে না। তাই এলাকার সবাই মিলে আয়োজন করি।

এ বিষয়ে ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরল ইসলাম বলেন, হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এবং যুব সমাজকে মাদক ও অপরাধ মুক্ত রাখতে এসব ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় খেলার আয়োজন প্রশংসনীয়। প্রতি বছর এই হারিয়ে যাওয়া খেলাগুলো আয়োজন করা উচিত।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –