• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

এ যেন মৌমাছির গাছ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১  

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শতবর্ষী এক পাকুড় গাছে বাসা বেঁধেছে মৌমাছির দল। তবে দু-একটি নয়, এক গাছেই বাসা বেঁধেছে ৬০টি মৌমাছির দল। আর এসব চাক দেখে মনে হয় যেন এক মৌমাছির গাছ।

শতবর্ষী পাকুড় গাছটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের মেঘেরচর মাঝিপাড়া গ্রামে। একসঙ্গে মৌচাক দেখার জন্য প্রতিদিনই পাকুড়তলায় ভিড় করেন লোকজন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নিভৃতপল্লীর সরকারি একটি খাস জমিতে দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষী একটি পাকুড় গাছ। গাছের নিচেই রয়েছে সনাতন ধর্মাবম্বীদের ছোট্ট একটি মন্দির। পাকুড় গাছের গোড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ডালে নির্বিঘ্নে বাস করছে মৌমাছির দল। মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় একবার হলেও পাকুড়তলায় থমকে দাঁড়াচ্ছেন লোকজন। সম্প্রতি স্থানীয় লোকজন ২০টি চাক থেকে তিন মণ মধু বিক্রি করেছেন। সেই মধু বিক্রির টাকায় মন্দিরের জন্য কিনেছেন ইট।

মেঘেরচর গ্রামের কৃষ্ণ চন্দ্র বলেন, এক মাস হলো মৌচাকগুলো বসেছে। ৮০-৯০টি চাক ছিল। মধু সংগ্রহের কারণে কিছু মৌমাছি উড়ে গেছে। তবে এখনো ৬০টির মতো মৌচাক রয়েছে। তবে এর আগে এ গাছে এত মৌচাক কখনোই লাগেনি।

মৌচাক দেখতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, এক গাছে এত মৌচাক এর আগে কখনো দেখিনি। আমি মনে করি এ জায়গাটি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। যেন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।

চন্দ্রা রানী নামে একজন বলেন, আশপাশে অনেক গাছ রয়েছে। সেখানে মৌচাক বসেনি। শুধু পাকুড় গাছেই মৌচাক লাগে। এছাড়া আমাদের এখানে ভালো কোনো মন্দির নেই। এ গাছের মধু বিক্রি করে মন্দিরের উন্নয়ন কাজ করতে পারছি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।

গাইবান্ধা বিসিক শিল্প নগরীর সহকারী মহাব্যাবস্থাপক রবিন চন্দ্র রায় বলেন, মৌমাছিরা সংঘবদ্ধভাবে এক জায়গায় থাকতে ভালোবাসে। এদের বিরক্ত না করলে বহুদিন পর্যন্ত এক জায়গায় অবস্থান করে। একদিকে গ্রামাঞ্চল অন্যদিকে ওই এলাকায় প্রচুর সরিষার আবাদ হয়। ফলে মৌমাছিরা সহজেই মধু সংগ্রহ করতে পারে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –