রংপুরে চাঞ্চল্যকর জুয়েল হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

রংপুর নগরীর মেকুরা মধ্যপাড়া গ্রামে চাঞ্চল্যকর জুয়েল রানা (২৮) হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এ মামলায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- রংপুরের পীরগাছা উপজেলার দেউতি গ্রামের আফছার আলীর ছেলে মেহেদী হাসান সাগর (২৫) ও যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামি একই গ্রামের দৌলত মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৫)।

গতকাল বুধবার (২৬ জাুনয়ারি) দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. তারিখ হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, মেকুরা মধ্যপাড়া গ্রামের আবু সিদ্দিক মিয়ার ছেলে জুয়েল রানার নিজস্ব ট্রাক্টর ও ট্রলি ছিল। সেগুলো ভাড়ায় দিতেন এবং নিজেও চালাতেন। ঘটনার দিন ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই সন্ধ্যার পর জুয়েল রানা মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। রাতেও বাড়ি ফিরে না আসায় পরের দিন সকালে সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজখবর শুরু করেন পরিবারের লোকজন। এরই মধ্যে খবর পান মেকুরা পাঠানটারী গ্রামের ঘাঘট নদীর তীরে একটি ভুট্টা ক্ষেতে মাথা পুঁতে রাখা অবস্থায় মরদেহ পেয়েছেন স্থানীয়রা। দ্রুত সেখানে গিয়ে মরদেহটি জুয়েল রানার বলে শনাক্ত করেন স্বজনরা।

পরে পুলিশে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গর্ত থেকে জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় জুয়েলের ছোটভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে জুয়েলের বন্ধু সাগর ও শাকিলসহ অপর এক ট্রাক্টর চালক আব্দুল মালেক (২৪) এবং মালেকের সহকারী আমিনুর রহমানকে (১৭) আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রায় চার বছর মামলার বিচারকার্য চলার পর বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মালেককে খালাস দেওয়া হয় এবং আমিনুর রহমানের বয়স কম হওয়ায় তার বিচারকার্য শিশু আদালতে চলছে বলে জানান অতিরিক্ত পাবিলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শাহ মো. নয়ন্নুর রহমান টফি।

মামলার বাদী জাকির হোসেন রায়ে সন্তষ্ট হলেও মালেকের বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান তিনি।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –