নতুন করে সাজানো হচ্ছে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২
প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পরে অত্যাধুনিক করে গড়ে তোলা হচ্ছে কক্সবাজারে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটিকে। মহাসড়ক থেকে পার্কে প্রবেশের মূল গেট পর্যন্ত এলাকার আশপাশে বেদখল বনভূমি উদ্ধার করে তৈরি হচ্ছে বাস-মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেলের আলাদা পার্কিং। পার্কিংয়ের লাগোয়া পূর্বপাশেই গড়া সাদা উড়ন্ত পায়রা হাতে বঙ্গবন্ধুর মুরাল এলাকাটি সম্প্রসারণ করে গড়া হচ্ছে সবুজের আবরণ, ফুল বাগান। পার্কের দক্ষিণে পিকনিক স্পটের লাগোয়া পাহাড়ের পাদদেশে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম লেক।
মহাসড়কের পাশেই বসছে দৃষ্টিনন্দন প্রবেশ ফটক, চলছে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ। দুই লেনের সড়কে তৈরি হচ্ছে টাইলস সমৃদ্ধ ফুটপাতও। তৈরি হচ্ছে সুপরিসর টিকিট ঘর। পর্যটকদের লাগেজ ও প্রয়োজনীয় মালামাল রাখতে সে ঘরেই যুক্ত হচ্ছে লকার রুম। সাথে থাকছে ব্রেস্টফিডিং ও দর্শনার্থী অপেক্ষা কক্ষও। সংস্কার হচ্ছে ডরমেটরি ও ব্যারাক। করা হচ্ছে আধুনিক মানের ওয়াশরুমও। আলাদা হচ্ছে পার্কে দর্শনার্থী প্রবেশ-বাহির পথ। বাচ্চাদের বিনোদনে হচ্ছে আলাদা এমিউজিং পার্ক। নতুন করে সাজানো হয়েছে পার্কের মাঝখানের শতাধিক ফুট উঁচু ওয়াচ টাওয়ার।
পার্কের বাঘ-সিংহ ও তৃণভোজী প্রাণীদের জন্য তৈরি হচ্ছে সাফারি। বাঘ-সিংহের জন্য শত একর জমির আলাদা সাফারি ও জেব্রা, গয়াল, হরিণসহ অন্যপ্রাণীদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে কয়েক শ একর এলাকা। বেষ্টনী অনুসারে সাফারির চারপাশে তৈরি হচ্ছে নিরাপদ পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ পথ। গড়া হচ্ছে প্রবেশ-বাহিরের জন্য স্বয়ংক্রিয় ফটক, যান চলাচলে উপযুক্ত পাকা সড়কও। বাঘ-সিংহসহ হিংস্র প্রাণী বনে মুক্ত করে দেওয়া হলে খাঁচাযুক্ত গাড়িতে দর্শনাথীর্রা সংশ্লিষ্ট বেষ্টনীতে ঢুকে বিচরণরত বাঘ-সিংহ অবলোকন করবেন।আবদ্ধ এবং উন্মুক্ত প্রাণিকূলের এক বেষ্টনী হতে অন্য বেষ্টনী পর্যন্ত সহজে যেতে তৈরি হচ্ছে সংযোগ সড়ক। অতিরোদ পড়া বেষ্টনীগুলো ছায়া ঘেরা পরিবেশে স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে। চলছে অবকাঠামো তৈরির কর্মযজ্ঞ।
কক্সবাজারের চকরিয়ার মালুমঘাট এলাকায় ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। ভেতর-বাইরে ৯০০ হেক্টর আয়তন নিয়ে যাত্রা করা পার্কে বিপুল পরিমাণ মাদার ট্রিসহ (গর্জন) রয়েছে নানা প্রজাতির বনজ গাছ। শুরু থেকেই সবুজের আবরণে দৃষ্টিনন্দন পার্কটি প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের বিনোদনের অনুষঙ্গ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। শিক্ষার্থীরাও এই পার্ক থেকে প্রকৃতিবিষয়ক জ্ঞান আহরণ করতে পারে। সপ্তাহের মঙ্গলবার ছাড়া বাকি ছয় দিন দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাসে, প্রাণিকূলের কোলাহলে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো পার্ক। প্রাপ্ত বয়স্করা ৫০ টাকা আর ৫ বছরের বড় শিশু-কিশোররা ৩০ টাকায় এবং শিক্ষার্থী ১০০ জনে ৫০০ টাকা এবং ২০০ জন ৮০০ টাকার টিকিটে পার্ক দর্শন করতে পারছেন।
তথ্যমতে, পার্কে ১৯টি বেষ্টনীতে সংরক্ষিত আছে নানারকম প্রাণী। কঠোর নিরাপত্তায় পালিত হচ্ছে হাতি, বাঘ, সিংহ, জলহস্তি, গয়াল, আফ্রিকান জেব্রা, ওয়াইল্ডবিস্ট, ভাল্লুক, বন্য শূকর, হনুমান, ময়ূর, স্বাদু ও নোনা পানির কুমির, সাপ, বনগরুসহ দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির প্রাণী। পার্ক জুড়ে রয়েছে চিত্রা, মায়া, সম্বর ও প্যারা হরিণ। রয়েছে জানা-অজানা বিচিত্র ধরনের কয়েক শ ধরনের পাখি। পার্কে দেখা মেলে কালের সাক্ষী বিশালাকার দুর্লভ ও মূল্যবান বৃক্ষরাজির। সে সব গাছে বানরের লাফালাফি নজর কাড়ে দর্শনাথীর্দের। এসব দৃশ্য মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন দর্শনার্থীরা। পার্কের প্রাণিকূলের চিকিত্সার জন্য রয়েছে হাসপাতাল। সেখানে সার্বক্ষণিক থাকছেন প্রাণী চিকিৎসক।
সাফারি পার্কের ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, দেশের প্রথম সাফারি পার্ক ডুলাহাজারা। মূলত সাফারি পার্ক শিক্ষাথীর্ ও প্রকৃতি গবেষকদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে সহায়ক। সাফারি বলতে, পার্কে থাকা প্রাণীগুলো উন্মুক্ত থাকবে, আর দর্শনাথীর্রা থাকবে খাঁচায় আবদ্ধ। চলন্ত গাড়িতে ঘুরে তারা বন্যপ্রাণী দেখে নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি পূর্ণ করবেন। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো সেভাবে সাফারি পার্ক গড়ে তোলা যায়নি। তিনি বলেন, আমরা দক্ষিণ এশীয় পদ্ধতিতে পার্ক চালাচ্ছি। পার্কে থাকা প্রতিটি প্রাণীর জন্য আলাদা বেষ্টনী রয়েছে। রয়েছে আলাদা খাবার সংরক্ষণ ও প্রাণীদের পরিচর্যার ব্যবস্থা। রয়েছে নিরাপত্তাকর্মী। প্রতিষ্ঠার দুই যুগে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কটি এ অঞ্চলের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার বেড়ানো এবং বিনোদনের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে বার্ষিক পিকনিক করতে আসছে অনেক শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। তাই পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হচ্ছে নতুন করে।
মাজহার আরো বলেন, অনেক বছর বাঘ-সিংহকে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আমরা সত্যিকারের সাফারি পার্ক করার উদ্যোগ নিয়েছি। বাঘ-সিংহ ও অন্য প্রাণীগুলো সম্পূর্ণ মুক্ত করে বিচরণের ব্যবস্হা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সব কাজ দ্রুতগতিতে এগুচ্ছে। আগামী বছরের শেষের দিকে আমরা সে লক্ষ্য ছুঁতে পারব বলে আশা করছি।
– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –- নারী ফুটবলারকে চুমুকাণ্ডে বড় শাস্তি পাচ্ছেন রুবিয়ালেস
- জায়েদ খানের নায়িকা হচ্ছেন ভারতের পূজা ব্যানার্জি, যা বললেন নায়ক
- জুমার দিন দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত
- বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী
- ফিলিস্তিনিদের হত্যার পর বুলডোজার দিয়ে বালুচাপা দিলো ইসরায়েলি সেনা
- সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
- শরীয়তপুরের সেই চিকিৎসককে চান না রৌমারীবাসী
- আইএমইআই পরিবর্তন করে মোবাইল বিক্রি, মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২
- উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: লড়বেন সাড়ে ৩ লাখ চাকরি প্রত্যাশী
- বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: আগ্রহ ব্যবসাবাণিজ্যে
- কুড়িগ্রামে ভুটানের রাজার মধ্যাহ্নভোজের মেন্যুতে যা যা ছিল
- কুড়িগ্রাম পরিদর্শন শেষে ভুটানের রাজা ফিরলেন নিজ দেশে
- নাগেশ্বরীতে ল্যাম্ব’র উদ্যোগে শিখন বিনিময় কর্মশালা
- কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
- সারাদিন না খেয়ে থাকায় মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে, সমাধানে করণীয়
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- ভুল রাজনীতির ফ্রেমে বন্দি বিএনপির নেতাকর্মীরা: কাদের
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ
- ৫ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস
- পঞ্চগড়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক
- কারওয়ান বাজার র্যাম্প প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার: ওবায়দুল কাদের
- পাগড়ি কেনার টাকা না পাওয়ায় মাদরাসাছাত্রের আত্মহত্যা
- ঈদ সামনে রেখে চাঙ্গা অর্থনীতি
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ১০
- ইফতারে পেট ঠান্ডা রাখবে যে খাবার
- মানুষের হাতের নাগালে ইলিশ পৌঁছে দিতে চাই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- নামাজের সময়সূচি: ৪ মার্চ, ২০২৪
- যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ
- দেশের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
- ভূরুঙ্গামারীতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের আত্মহত্যা
- বিশ্বব্যাংকের নতুন বিকল্প নির্বাহী পরিচালক শরিফা খান
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- কুড়িগ্রামে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- গাজীপুর-এয়ারপোর্ট রুটে খুলেছে ৭ ফ্লাইওভার