• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলায় চা উৎপাদনের রেকর্ড  

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলায় সমতল ভূমির চা শিল্প বিপ্লব হয়েছে। এ অঞ্চলে কয়েক বছর ধরে রেকর্ড হারে উৎপাদিত হচ্ছে চা। এছাড়া দুই দশকের নীরব চা বিপ্লবে বদলে গেছে এখানকার অর্থনীতি ও জীবনমানের চিত্র।

২০২২ সালে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লালমনিরহাট ও নীলফামারী- উত্তরাঞ্চলের এ পাঁচ জেলায় চা উৎপাদন হয়েছে এক কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি। এর আগের বছরের তুলনায় যা ৩২ লাখ ১৯ হাজার ২২৬ কেজি বেশি উৎপাদনের রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

চা বোর্ড জানায়, চায়ের আবাদ উত্তরাঞ্চলে বেড়েছে। এবার ১২ হাজার ৭৯ দশমিক ৬ একর সমতল জমির চা বাগানগুলো থেকে রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। এ বছর নয় কোটি দুই লাখ ৭৪ হাজার ৬৩২ কেজি সবুজ কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা হয়। এ থেকে এক কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে।

এর আগে, ২০২১ সালে এ অঞ্চলে চা আবাদ হয়েছিল ১১ হাজার ৪৩৩ দশমিক ৯৪ একর জমিতে। উৎপাদন হয়েছিল এক কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি চা। অর্থাৎ এক বছরে চা আবাদ বেড়েছে ৬৪৫ দশমিক ১২ একর। এর মধ্যে পঞ্চগড়ে ১০ হাজার ২৩৯ দশমিক ৮০ একর জমিতে চা উৎপাদিত হয়েছে। এছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে এক হাজার ৪৫৭ দশমিক ২৯ একর, লালমনিরহাটে ২২২ দশমিক ৩৮ একর, দিনাজপুরে ৮৯ একর এবং লালমনিরহাটে ৭০ দশমিক ৫৯ একর জমিতে চা আবাদ হচ্ছে। আর ২০২২ সালে বিগত বছরের তুলনায় ৩২ লাখ ১৯ হাজার ২২৬ কেজি চা উৎপাদন বেশি হয়েছে।

পঞ্চগড়সহ উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ২০২০ সালে ১০ হাজার ১৭০ একর জমির ১০টি নিবন্ধিত ও ১৭টি অনিবন্ধিত চা বাগান এবং সাত হাজার ৩১০টি ক্ষুদ্রায়তন চা বাগানে পাঁচ কোটি ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৬ কেজি সবুজ কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা হয়। ঐ চা পাতা থেকে এক কোটি তিন লাখ ১০ হাজার কেজি তৈরি চা উৎপাদিত হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ চা বোর্ডের জেলা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন জানান, উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি জেলা সমতল ভূমিতে চা চাষের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। ১৯৯৬ সালে এ অঞ্চলে প্রথম চা চাষের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০০ সালে শুরু হয় ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ। এরপর দিনদিন চা চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া চা শিল্পে এ অঞ্চলের দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –