• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

পদ্মাসেতু উদ্বোধনের খবরে উচ্ছ্বসিত শরীয়তপুরবাসী

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২২  

আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ কথা শুনে আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত শরীয়তপুরবাসী। উদ্বোধনের খবরে মঙ্গলবার বিকেলে শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপুর নির্দেশনায় আনন্দ মিছিল করেছে শরীয়তপুর জেলা ও জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগ।

জাজিরার বাসিন্দা এমডি ওমর ফারুক, রুবেল হোসেন, রিয়াজ মাহমুদসহ অনেকেই বলেন, আমরা আগে ফেরি, লঞ্চ, ট্রলার ও স্পিডবোট দিয়ে ঢাকায় আসা-যাওয়া করতাম। এখন পদ্মাসেতু হওয়ায় সময় অনেক কম লাগবে। আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ঘোষণায় আমরা আনন্দিত-উচ্ছ্বসিত।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর গ্রামের শেখ মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধন হবে। আমাদের যাতায়াতের দ্বার খুলে যাবে। বিশেষ করে গোপালগঞ্জবাসী প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। উদ্বোধনের কথা শুনে মন ভালো হয়ে গেল।

পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের ও শরীয়তপুরের মানুষের স্বপ্ন ছিল পদ্মাসেতু। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধন করা হবে।

শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপু বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেই নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতু করতে পেরেছেন শেখ হাসিনা। পদ্মাসেতু উদ্বোধন হবে এটা অনেক আনন্দের।

২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মাসেতু নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর মূল সেতু নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হয় প্রথম স্প্যানটি। এটি বসানো হয় সেতুর জাজিরা প্রান্তে। সেই থেকে তিন বছর ২ মাস ১০ দিনে সেতুর সব স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো পুরো পদ্মাসেতু। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিয়ারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। প্রথম স্প্যান বসার পর শেষ স্প্যান বসতে সময় লাগে এক হাজার ১৬৭ দিন।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –