• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাতে থাকা বাড়তি ডলার বিক্রির নির্দেশ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২২  

৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাতে থাকা বাড়তি ডলার বিক্রির নির্দেশ               
নগদ ডলারের সংকট মেটাতে এবার মানুষের হাতে থাকা অতিরিক্ত ডলার বিক্রি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরপর কারো কাছে অতিরিক্ত ডলার পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমন এক সময় বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, যখন দেশে ডলার সংকট চলছে।

বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো বাংলাদেশি বিদেশ থেকে ফেরার সময় ১০ হাজার ডলার বা সমপরিমাণ অন্য যেকোনো মুদ্রা সঙ্গে আনতে পারেন। এই ডলার তারা নগদ সংরক্ষণ করতে পারেন, আবার বিদেশি মুদ্রার ব্যাংক হিসাবেও জমা রাখতে পারেন। এর বেশি ডলার সঙ্গে থাকলে তা দেশে ফেরার এক মাসের মধ্যে মানি চেঞ্জার বা ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে দেওয়া বাধ্যতামূলক। আর যারা কখনো বিদেশ যাননি, তাদের ডলার ধরে রাখার আইনগত কোনো সুযোগ নেই। আবার কেউ বিদেশে যাওয়ার জন্য বৈধ কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় ডলার রাখতে পারেন।

এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে মানুষের হাতে থাকা অতিরিক্ত ডলার ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিক্রি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি কোনো ব্যক্তি বিদেশ থেকে সঙ্গে আনা সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার বৈদেশিক মুদ্রা নিজের কাছে বা অনুমোদিত ব্যাংক হিসাবে জমা রাখতে পারেন। পরবর্তী বিদেশযাত্রায় এসব মুদ্রা সঙ্গে নিয়েও যেতে পারেন। ১০ হাজার ডলারের অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসার এক মাসের মধ্যে ব্যাংকে বা লাইসেন্সধারী যেকোনো মানি চেঞ্জারে বিক্রি বা ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক। অতিরিক্ত ডলার ধারণ করা ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৭-এর আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমন বৈদেশিক মুদ্রা থাকলে তা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাংকে বা লাইসেন্সধারী মানি চেঞ্জারের কাছে বিক্রি করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের পর কারো কাছে অতিরিক্ত ডলার পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ব্যাংকের পাশাপাশি খোলাবাজারেও এখন ডলার সংকট চলছে। এর ফলে খোলাবাজারে প্রতি ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১২০ টাকা উঠেছিল, এখন যা ১০৫-১১০ টাকা।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –