• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

নৌকায় ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০২২  

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী ও জাতির পিতার খুনিদের পৃষ্ঠপোষক জামায়াত-বিএনপি যেন আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এজন্য অতীতের মতো আগামী নির্বাচনেও সবাই নৌকায় ভোট দেবেন এবং আমাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। আমি সবার কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই।

রোববার বিকেলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড ময়দানে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় লাখো মানুষের উপস্থিতিতে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। এ জনসভা থেকেই শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা, মা, ভাই সব হারিয়ে বাংলার মানুষের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে ফিরে এসেছি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবো, সেভাবেই যেন দেশ গড়তে পারি এজন্য সবার সমর্থন চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকে টাকা নেই বলে সারাদেশে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অপপ্রচার চলছে। এভাবে মানুষের সর্বনাশ করা বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের কাজ। আমরা রিজার্ভ বাড়িয়েছি। রিজার্ভের টাকায় দেশের মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দিয়েছি, করোনার নমুনা পরীক্ষা করিয়েছি। বড় বড় প্রকল্প করেছি। ৩৫ লাখ মানুষকে বিনা পয়সায় ঘর করে দিয়েছি, কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি। ২ কোটি ৫৩ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি, উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। পাবর্ত্য চট্টগ্রামের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নেও আমরা কাজ করছি। কর্ণফূলী নদীর তলদেশে টানেল, এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণসহ আগামীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে চারলেন থেকে ছয়লেন করারর পাশাপাশি মেট্রোরেল করার জন্য সমীক্ষা হচ্ছে। অথচ বিএনপি এসব চোখে দেখে না। তারা দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জিয়া যখন মারা যান তখন পরিবারের জন্য একটা ভাঙা সুটকেস ছাড়া কিছুই রেখে যাননি। তাহলে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেই কিভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছিল। সে কি জাদুর কাঠি পেয়েছিল? বিদেশ থেকে এতিমের জন্য যে টাকা এসেছে তা এতিমের হাতে না গিয়ে নিজেরা পকেটস্থ করেছে। তার ছেলে আরাফাত রহমান কোকো সিঙ্গাপুরে টাকা পাচার করেছে। আরেক সন্তান তারেক রহমান লন্ডনে পালিয়ে চাঁদাবাজি আর দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। এভাবেই তারা অবৈধ সম্পদ গড়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। খালেদা জিয়া মানুষের ভালো করতে পারে না, পারে শুধু মানুষ হত্যা করতে। ১৯৭১ সালের পাক হানাদার বাহিনীর দোসরদের সঙ্গে জোট বেধেই তারা এগুলো করেছে। অন্যদিকে অওয়ামী লীগ শান্তিতে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবার দেশের মানুষ শান্তি পেয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে পাক বাহিনী ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মিশনে নামে। সেই ১০ ডিসেম্বরই বিএনপি ঢাকা দখলের হুমকি দিয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায় তারা হানাদার বাহিনীর পদলেহনের দোসর। খালেদা জিয়া ৯৬ সালে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল। এ কারণেই তাকে বাংলার মানুষ মেনে নেয়নি। সারাদেশ ফুঁসে উঠেছিল। ফলে খালেদা জিয়া দেড় মাসও টিকতে পারেনি, পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। সেই কথা বিএনপি জানে বলেই জনগণের ভালো করতে না পেরে মানুষ হত্যার রাজনীতি করছে।

জনসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন,জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রমুখ।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –