যুক্তরাষ্ট্র-চীন-ভারতের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষার বার্তা
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্র-চীন-ভারতের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষার বার্তা
সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের কথা বলতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষার বার্তা দিয়েছেন। তবে এ ভারসাম্য রক্ষা খুব সহজ নয় বলেও মনে করছেন মন্ত্রী।
গতকাল রোববার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক অর্জন-সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, ‘যেকোনো দেশের পররাষ্ট্রনীতি সেই দেশের স্বার্থে তৈরি করা হয়। দেশের বাস্তবিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে হয়। আমাদের দেশের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিত আমাদের জানতে হবে। রাজনৈতিক যে দিক-দর্শন সেটাও আমাদের জানতে হবে। আমরা এখন খুব ইন্টারডিপেনডেন্ট বিশ্বে থাকি। খুব ডিপেনডেন্ট, একটা কিছু হলেই ঝামেলা হয়ে যায়। এ অবস্থায় আছি।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ- তিনটি বড় দেশ যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত। এরা শক্তিশালী দেশ। এর মধ্যে দু’জন আমাদের প্রতিবেশী। এদের সঙ্গে আমার এমনভাবে চলতে হবে যাতে, সম্পর্কটা উন্নত করতে পারি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাখ্যা ও বিভিন্ন সময়ে দেশটির দেওয়া পরামর্শের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একক দেশ হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। তার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুব সুসম্পর্ক আছে। বন্ধু দেশ বলে সে অনেক কিছু বলে, সুপারিশ দিতে পারে। বন্ধু না হলে কিছু বলত না, তখন আক্রমণ করত; বন্ধু বলে বেশি সুপারিশ দেয়। সুপারিশ ভালো হলে সেগুলো অবশ্যই গ্রহণ করি।’
তিনি বলেন, ‘সবকিছুতে যে আমরা পারফেকশন, এটা ভাবা ঠিক হবে না। আমাদের যদি কোনো দুর্বলতা থাকে বন্ধু বলবে। আর যদি সত্যি খারাপ কিছু হয়, সেটা দেখব।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাখ্যায় মোমেন বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধু। ঐতিহাসিকভাবে বড় বন্ধু। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক একটা অপূর্ব সম্পর্ক। বাংলাদেশ-ভারত বড় সমস্যাগুলো সমাধান করেছে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিনা বুলেটে এ ধরনের অর্জন কেউ করতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশটির সঙ্গে সোনালী অধ্যায় সৃষ্টি হয়েছে। খুব সুন্দর সম্পর্ক। ভারত এ বছর জি-২০ প্রেসিডেন্সি পেয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া থেকে একটি দেশকে দাওয়াত করেছে। আমরা এটার সদস্য না। এই যে সম্মানটা তারা আমাদের দিয়েছে, এটা সম্ভব হয়েছে; সুসম্পর্কের কারণে।’
চীনের প্রসঙ্গ টেনে মোমেন বলেন, ‘চীন আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য অনেক বেশি। তারাও চাচ্ছে বাণিজ্য আরও বাড়ানোর জন্য। আমাদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক।’
তিনটি দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে ব্যালেন্স, এটা সহজ নয়। আমাদের একজন বড় নেতা আছেন শেখ হাসিনা। খুব বাস্তববাদী নেতা। তার ফলে আমাদের এটা সম্ভব হয়েছে।’
তিনটি বড় দেশ ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ব্যাখ্যায় মোমেন বলেন, ‘বড় দেশগুলো ছাড়াও আমার সামনে যে চ্যালেঞ্জ অন্যান্য রাষ্ট্র। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া ও সৌদি আরব। সৌদি আরব ২৬ লাখ লোককে চাকরি দিয়েছে। তার সঙ্গে আমার বিভিন্ন রকমের ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ রয়েছে। জাপানও বড় সহযোগী। তাদের থেকে সবচেয়ে বড় ঋণ নিয়েছি।’
রাশিয়া নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে বড় সম্পর্ক। তারা আমাদের ঐতিহাসিক বন্ধু। তারা আমাদের বড় নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ করছে। যথা সময়ে এটার কাজ শেষ করবে তারা।’
আসিয়ানকেও বাংলাদেশের দরকার জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘আসিয়ান দেশগুলো আগামীতে শক্তিশালী হচ্ছে। তাদেরও আমরা ধরে রাখতে চাই। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের জন্য তাদের দরকার।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমিরাতে আমাদের কয়েক লাখ লোক কাজ করেন। কাতারে কয়েক লাখ লোক কাজ করেন। সবগুলো দেশের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রাখার প্রয়োজন।’
এ সময় মন্ত্রী বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আমাদের রাজনৈতিক লোকেশন যদি দেখেন, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থায় খুব গুরত্বপূর্ণ আমাদের দেশ। পাশেই বিরাট এশিয়ায় প্যাসিফিক সমুদ্র। আমরা ইপি সেন্টারে আছি। এর পাশে বড় বড় রাষ্ট্র তৈরি হয়েছে। একটি চীন, আরেকটি ভারত। এদের সঙ্গে একটা ভারসাম্য নিয়ে আমাদের চলতে হয়। আমরা এটাকে ইগনোর (উপেক্ষা) করতে পারি না। আমাদের লোকেশনের প্রতি অনেকের… আগামী বিশ্ব হবে এশিয়ার বিশ্ব। আমাদের লোকেশন ভালো।’
– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –- ‘চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে যেন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য না থাকে’
- স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি অপরিহার্য-উপাচার্য
- কিংবদন্তি ছাত্রনেতা নূরে আলম সিদ্দিকী
- বেরোবির তরুণ কলাম লেখক ফোরামের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ
- উন্নত দেশ গড়তে স্থিতিশীল সরকার খুবই দরকার: মোমেন
- ঠাকুরগাঁওয়ে মাটিচাপা পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
- রাষ্ট্রীয় সফরে চীন গেলেন নৌপ্রধান
- ‘দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই সরকারের লক্ষ্য’
- সপ্তাহে কেউ এক ঘণ্টা কাজ করলে তিনি আর বেকার নন:পরিকল্পনামন্ত্রী
- একদিনে ৪ জনের করোনা শনাক্ত
- ৭৭ রানের জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের
- এরশাদ-খালেদা আলেমদের মুলা ঝুলিয়ে রেখেছিলেন: তথ্যমন্ত্রী
- ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্নান উৎসব
- তালাকের অপমান সহ্য করতে না পেরে কিশোরীর বিষপান
- কুড়িগ্রামে বিদেশি পিস্তলসহ ২ যুবক গ্রেপ্তার
- সপ্তমবারের মতো শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হলেন লাকী
- ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ঝামেলামুক্ত সেবার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- টেকসই উন্নয়নে শান্তি-স্থিতিশীলতা ও শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রয়োজন
- ‘নতুন শিক্ষাক্রমে ১ বছরেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবর্তন দেখা যাবে’
- ঈদে নতুন নোট পাওয়া যাবে ৯ এপ্রিল
- ‘বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের অনিয়ম দূর হোক’
- সৌদি আরবে বাংলাদেশি নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা
- প্রযুক্তি ব্যবহারে নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করতে হবে: স্পিকার
- করোনার সময় কর্মসংস্থান বেড়েছে: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
- যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র দুর্বল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ৮২ বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান
- ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের করোনা শনাক্ত
- রংপুরে পঞ্চম দিনের অভিযানে আটক ১৮
- ইনিংসের প্রথম বলেই তাসকিনের আঘাত
- প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ট্যাব পেল ১৪৪ শিক্ষার্থী
- বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক রক্ত দিয়ে তৈরি: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
- দেশে এখনো স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি রাজনীতি করে: তথ্যমন্ত্রী
- একদিন ছুটি নিলেই যেভাবে ঈদে মিলবে ৬ দিনের ছুটি
- কুড়িগ্রামে ১৭ আসামি গ্রেফতার
- বাংলাদেশ ‘দ্রুত আঞ্চলিক নেতৃত্বে উঠে আসছে’: ব্লিংকেন
- বিএনপি-জামায়াত থেকে সতর্ক থাকতে হবে: আমিনুল ইসলাম
- পার্বতীপুরে এক গাভী জন্ম দিলো চার বাছুর
- ৭ হাজারের বেশি ইউটিউব চ্যানেল সরানো হয়েছে
- মিথ্যা তথ্য দেখিয়ে দেশ-বিদেশে চাঁদাবাজির পরিকল্পনা তারেকের
- ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ ভাতা পাচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
- দেশের কোথাও রমজানের চাঁদ দেখা যায়নি
- নৌকার কোনো ব্যাক গিয়ার নেই: মেয়র আতিক
- সময় বাকি ৪ দিন, প্রয়োজন আরও ৪৯ হাজার হজযাত্রী
- এইচএসসি পুনঃনিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ৭৬
- প্রধানমন্ত্রী নারী শিক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন: প্রতিমন্ত্রী
- ‘ইমারত আইন মেনে ভবন করলে এত ক্ষতি হত না’
- দিনাজপুর আইনজীবী সমিতির নির্বাচন, ৪৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
- ‘আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্যভাবে অনুষ্ঠিত হবে’
- সরকারের পদক্ষেপের ফলে প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির হার অর্জিত হয়েছে
- ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হতো’