• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

চালু কেন্দ্রে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২৩  

 
সোমবার দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রার উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দেশজুড়ে চলমান লোডশেডিং পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে সরকার চালু কেন্দ্রগুলোতে আরও ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে জ্বালানি সংকটে সরকারের পরিকল্পনা সহসা বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। 

সরকারি তথ্যমতে, দেশে এখন বিদ্যুতের চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট। সরবরাহ হচ্ছে ১৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। তবে খাত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। ডলার সংকটে জ্বালানি সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় চাহিদা অনুসারে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। সরকারি তথ্যমতেই লোডশেডিং ৩ হাজার ২১৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছেছে। তবে বাস্তবে এর পরিমাণ আরও বেশি বলে মনে করেন বিতরণ কোম্পানির কর্মকর্তারা। এর মধ্যে পায়রা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে পিডিবি। রোববার রাত থেকেই লোডশেডিং বেড়ে গেছে। রাজধানীতেই ৬-৭ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রামের অবস্থা ভয়াবহ। পরিস্থিতি সামলাতে গতকাল জরুরি বৈঠকে বসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ। 

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংকট মেটাতে কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বেশি বিদ্যুৎ কেনা হবে। ভারতের আদানি গ্রুপ এখন ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ দিচ্ছে। মাঝে মাঝে তা ৯০০ মেগাওয়াটও হচ্ছে। সরকার আদানির কাছ থেকে ১০৫০ মেগাওয়াট নিতে চাইছে। রামপাল কেন্দ্র এখন ৩২০ থেকে ৩৭০ মেগাওয়াট দিচ্ছে। তা বাড়িয়ে ৬১২ মেগাওয়াট করার কথা হয়েছে বৈঠকে। তবে রামপালের একটি সূত্র জানিয়েছে, কয়লা সংকটের কারণেই কেন্দ্রটি সক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যা দিয়ে আর মাত্র ১২ দিন চলবে। নতুন কয়লা না আসা পর্যন্ত উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব নয়। কয়লা কিনতে সরকারের কাছে ডলার চেয়েছে রামপাল কর্তৃপক্ষ। এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক ১৩৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র পরীক্ষামূলকভাবে ২০০ মেগাওয়াট দিচ্ছে। এটি ৩২০ মেগাওয়াটে উন্নীত করাতে চায় সরকার। কিন্তু সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রটি দুই দিন চালানোর মতো কয়লা রয়েছে। 

আরও একটি পরিকল্পনার কথা ভেবেছে সরকার। তা হলো ৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বাড়িয়ে ঘোড়াশাল, আশুগঞ্জ, টঙ্গী, ভেড়ামারা, সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদন বাড়ানো। তবে পেট্রোবাংলা বলছে, দৈনিক ১২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস দেওয়া হচ্ছে। এর বেশি দিতে গেলে শিল্পে টান পড়বে। 

গ্যাস, কয়লা ছাড়াও ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিভিন্ন কেন্দ্রের উৎপাদন বৃদ্ধির কথা ভাবছে সরকার। এজন্য পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) তেল সরবরাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। তবে বিপিসি বলছে, দ্রুত তেল সরবরাহ বাড়ানো কঠিন। 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –