‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে’
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়নের পাশাপাশি তাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা আরো বহুগুণ বাড়াতে বৈশ্বিক সম্প্রদায় বিশেষ করে আসিয়ান সদস্য দেশগুলোকে আরো ভূমিকা রাখতে হবে।
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছে চারটি প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে উদ্ভূত এই (রোহিঙ্গা) সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরো বহুগুণ বাড়াতে হবে, সব বিকল্পের মধ্যে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনই সবচেয়ে কার্যকর।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সদর দফতরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ‘তারা কি আমাদের ভুলে গেছে?’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক ইভেন্ট আয়োজন করে। ইভেন্টটি সঞ্চালনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শেখ হাসিনা তার প্রথম ও দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলেন, আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন বিষয়টি সমাধান করে এবং এই দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের জীবনধারনের জন্য আমাদের মানবিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এই বিষয়টিকে তাদের এজেন্ডার শীর্ষে রাখে।
তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, এই জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত, নিয়মে পরিণত করা এবং ঘৃণ্য নৃশংসতাকারী অপরাধীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য চলমান এবং প্রচলিত আইনি এবং বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ছয় বছর ধরে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের মর্মান্তিক বিতাড়নের ঘটনা দেখে আসা বিশ্বকে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের স্থায়ী দুর্ভোগের কথা আবারো স্মরণ করিয়ে দিতে তারা আজ এখানে সমবেত হয়েছেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণে কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
এরপর থেকে আমরা আমাদের মাটিতে তাদের আশ্রয় এবং তাদের মৌলিক ও মানবিক সেবা দিয়ে আসছি। আমি আমাদের সব অংশীজন এবং বন্ধুদের তাদের সংহতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
ইস্যুটি এখন স্থবিরতার পর্যায়ে পৌঁছেছে উল্লেখ তিনি বলেন, গত ছয় বছরে একজন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেনি।
বাংলাদেশে তাদের দীর্ঘ উপস্থিতি কেবল হতাশার দিকেই ঠেলে দিচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন এটি কক্সবাজারের পরিস্থিতিকেও অনিশ্চিত করে তুলছে।‘আশ্রয়দাতা সম্প্রদায় আজ তাদের উদারতার শিকারে পরিণত হয়েছে।’
রোহিঙ্গাদের চাহিদার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় ক্রমবর্ধমান অর্থায়নের অভাব স্পষ্ট।
তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ব অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য অনেক কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা যে, রেকর্ড পরিমাণ উচ্চতায় পৌঁছেছে সে বিষয়ে তারা অবগত আছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব রোহিঙ্গাদের ভুলে যেতে পারে না কেননা ২০১৭ সালে তাদের দেশত্যাগ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না এবং তারা কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে নিপীড়ন ও বিতারণের শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিকারে এগিয়ে আসতে সবারই দায়িত্ব রয়েছে। তাদের ভরণপোষণের জন্য মানবিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটিই সব কিছু নয়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, তারা মিয়ানমারে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে এবং মর্যাদার সঙ্গে নিশ্চিত জীবন যাপন করতে পারবে। তাদের নিজ দেশে সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দরকার যেন বাড়িঘর থেকে তাদের পালাতে না হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, এখানে উপস্থিত অনেক দেশ আছে যারা কয়েক দশক ধরে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। তার বিশ্বাস মালয়েশিয়া এবং সৌদিত আরব বাংলাদেশের সঙ্গে একমত হবে।
বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ যেখানে জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব রয়েছে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি এবং এটি এরই মধ্যেই জলবায়ু-প্ররোচিত অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার দ্বারা অতিরিক্ত চাপে পড়েছে।
তিনি বলেন, এর পাশাপাশি, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ উপস্থিতি আমাদের জনগণের জন্য গুরুতর সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তাজনিত প্রভাব ফেলেছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির হিসেবে পরিচিত এই আশ্রয় শিবিরের কারণে ৬ হাজার ৮০০ একর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের ফলে কক্সবাজারের জীব বৈচিত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের নভেম্বরে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছি তার দ্রুত বাস্তবায়নের দিকে তাদের মনোযোগ দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,আঞ্চলিক দেশগুলো, বিশেষ করে আসিয়ান সদস্যরা, মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক নিয়ে, নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে পারে। এএইচএ কেন্দ্রের ব্যাপক প্রয়োজন মূল্যায়নের ভিত্তিতে, প্রত্যাবর্তনকারী রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ত করে ছোট সম্প্রদায় ভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে, রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলোকে কার্যকরভাবে মোকাবিলায় অব্যহত আন্তর্জাতিক মনোযোগ প্রয়োজন। মিয়ানমারের বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবের বাস্তবায়ন এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার ওপর দৃষ্টি বজায় রাখা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং যতক্ষণ না নৃশংসতার জন্য দায়ী অপরাধীদের জবাবদিহি করা না হয়, ততক্ষণ আরো নিপীড়নের ঝুঁকি থেকেই যাবে।
এছাড়া, তিনি বলেন, রোহিঙ্গা নির্যাতিতরা এবং জীবিতরা সত্যিকার অর্থে তাদের অতীত আর ফিরে পাবে না এবং বিচার না পেলে তারা গঠনমূলকভাবে মিয়ানমারে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও ফিরে যেতে পারবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার দেশ জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং আমরা আইসিজে, আইআইএমএম এবং আইসিসি-র সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমি অন্য সব সদস্য রাষ্ট্রকে এই বিষয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানাই।
– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –- ফোর্বসের ১০০ ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- ডেঙ্গুতে দুই জনের প্রাণহানি, নতুন রোগী ৫৬৬
- রৌমারীতে পচা মাংস বিক্রির দায়ে দোকান সিলগালা
- কুড়িগ্রামের চাকিরপশারে কমিউনিটি পরামর্শ সভা
- ছাত্রলীগের ‘স্মার্ট ক্যাম্পেইনার অ্যাওয়ার্ড’ চালু
- কুড়িগ্রামে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভা
- কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
- কুড়িগ্রাম জেলা আঃলীগের অবস্থান কর্মসূচী পালন
- আজ কুড়িগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস
- কুড়িগ্রামে ৩ লক্ষ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল
- করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ৮
- বিএনপির ডাকা অবরোধ: প্রভাব নেই কুড়িগ্রামে
- রোনালদো নেই, জিততে পারেনি আল নাসর
- বাংলা সিনেমায় অভিনয় করতে চান সালমান খান
- আজানের দোয়া পড়লে গুনাহ মাফ হয়
- ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের তিন দিন পর পুকুরে ভেসে উঠল শিশুর মরদেহ
- পীরগঞ্জে নতুন খনির সন্ধান, যা জানা গেল
- দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
- বিএনপি না আসায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না: ইসি আলমগীর
- চলতি মাসেই আসছে শৈত্যপ্রবাহ
- অগ্নিসংযোগকারী অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে: হারুন অর রশীদ
- হারানো মোবাইল উদ্ধারে অভিযান জোরদারের নির্দেশ আইজিপির
- স্মার্ট নড়িয়া-সখিপুর গড়তে সকলের সহযোগিতা চাই: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
- শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সব ব্যবস্থা নেয়া হবে: ইসি আলমগীর
- নিবন্ধন পাচ্ছে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামসহ ২৯ পর্যবেক্ষক সংস্থা
- বৃষ্টি নিয়ে যে তথ্য দিলো আবহাওয়া অফিস
- নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ও ডাকসেবা অপরিহার্য: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
- আপিলের জন্য ১০ অঞ্চল ঠিক করা হয়েছে: সিইসি
- গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ১০ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করললো হামাস
- ‘স্বাস্থ্য সেক্টরের যন্ত্রপাতিও জলবায়ু বান্ধব হওয়া উচিত’
- আজানের পর দোয়া পড়ার ফজিলত
- জনজীবনে অবরোধের প্রভাব পড়েনি রংপুরে
- দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান ম্যাচে যেমন হবে আবহাওয়া
- গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ১০ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করললো হামাস
- দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
- ভূরুঙ্গামারীতে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান
- ছেলেরা মেয়েদের থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
- তেলাপোকা মারার ওষুধ খেয়ে প্রাণ গেল ছোট্ট নিশানের
- তাকবিরে তাহরিমা কী, ইমামের সঙ্গে মুক্তাদিকেও বলতে হবে?
- দিনাজপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল বৃদ্ধের
- রংপুরে গ্যাস সঞ্চালন উদ্বোধন আজ, ঘটবে শিল্প বিপ্লব
- বিএনপির ডাকা অবরোধ: প্রভাব নেই কুড়িগ্রামে
- ‘বিএনপি নির্বাচনে না এলে সর্বহারা পার্টিতে পরিণত হবে’
- রোনালদো নেই, জিততে পারেনি আল নাসর
- নিশ্চিত পরাজয় জেনেই ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- চাইলে রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনায় বসতে পারে: ইসি হাবিব
- দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
- ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ হয়েছে’
- গাজায় শিশুমৃত্যু নিয়ে যা বললেন কবর খননকারী
- কমলা চাষে দ্বিগুণ লাভের স্বপ্ন দেখছেন উদ্দোক্তা রায়হান ফারুক