• মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৩০ ১৪৩১

  • || ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

খেলাধুলা সুস্থ সমাজ গঠনের অন্যতম অনুষঙ্গ: প্রধানমন্ত্রী

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেলাধুলা সুস্থ সমাজ গঠনের অন্যতম অনুষঙ্গ। ক্রীড়ার ভেতর দিয়েই শিশুর সামাজিকীকরণ ঘটে। খেলাধুলার মাধ্যমেই ছাত্র-ছাত্রীরা সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, দলগত প্রচেষ্টা ও নেতৃত্ব প্রদানের গুণাবলী অর্জন করতে পারে। 

তিনি বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিব নিজে খেলাধুলা করতেন। তার পুত্র শেখ কামাল এবং পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের পেশাদার খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক। ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য জাতির পিতা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পথ অনুসরণ করে আমরাও পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রীড়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।

মঙ্গলবার ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩ উপলক্ষে আজ সোমবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, মহান মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনস্ক, প্রগতিশীল রাষ্ট্রে উন্নীত করার জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত অসাম্প্রদায়িক, মননশীল, মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন, কর্মনিষ্ঠ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী উদ্যোগ পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ শিগগিরই একটি বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে দক্ষ, আত্মনির্ভরশীল, আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে শারীরিক ও ক্রীড়া শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে শারীরিক ও মননগত বিকাশের মাধ্যমে সংবেদনশীল, যুক্তিনির্ভর ও পরোপকারী নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে সেজন্য স্কাউটিং এবং গার্লস গাইডকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, ক্রীড়াকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলমান আছে। ক্রীড়া নিয়ে উচ্চশিক্ষার দ্বারও আমরা অবারিত রেখেছি। বিদ্যমান কিছু স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করেছি এবং নতুন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম তৈরি করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের শারীরিক শিক্ষা বিভাগ জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি জাগরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় উৎসব জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে। আশা করি, ২৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেট শহরে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিনগুলো প্রিয় শিক্ষার্থীদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –