• বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৭ ১৪৩১

  • || ০৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন ২৮ অক্টোবর

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৩  

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করতে আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরদিনই টানেলের ভেতরে যান চলাচল সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধু টানেল ছাড়াও এদিন প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের আরও ১৯টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এছাড়া তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক মহাসমাবেশে বক্তব্য দেবেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান জানান, আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু টানেলসহ মোট ২০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সাতটি প্রকল্প রয়েছে। অনেকগুলোর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। যেগুলো হয়নি সেগুলো আগামী বছরের জুনের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

পরিচালক প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, কর্ণফুলী টানেলের সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু প্রধানমন্ত্রীর টানেল উদ্বোধনের অপেক্ষা। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সেতু বিভাগের লোকজন এবং প্রকল্পের লোকজন মিলে উদ্বোধনী কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেভালে আসবেন। সেখান থেকে টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে টানেলের উদ্বোধন করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী টানেল ক্রস করে আনোয়ারা প্রান্তে যাবেন। সেখানেও উদ্বোধনী ফলক লাগানো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারায় জনসভা করবেন। টানেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে এই জন্য গর্ববোধ করেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ।

তিনি বলেন, এই টানেলটি নির্মাণে প্রকৌশলীরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এই টানেল সারাদেশের গর্বের প্রতীক। বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারদের অসাধারণ কর্মনৈপুণ্য ও স্থাপত্যশৈলী আমাদেরকে উপহার দিতে যাচ্ছে। এটা আমাদের বিশাল সাফল্য, এটা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। ৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ টানেলটি তিন থেকে সাড়ে ৩ মিনিট সময়ের মধ্যে পার হতে পারবে। টানেলটি শুধু দুই প্রান্তের সংযোগ করবে না, টানেলটি ওয়ান সিটি টু টাউন কনসেপ্টে নিয়ে নির্মিত হয়েছে। এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে এটি। কক্সবাজারের সঙ্গেও যোগাযোগ সহজ হবে।

ভূমিকম্প ও জলোচ্ছ্বাসে টানেলে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, দুটো ফ্লাডগেট আছে, গত সাইক্লোনে ট্রায়াল করে দেখা হয়েছে। পর্যালোচনা করে দেখা হয়েছে জলোচ্ছ্বাসে কোনো সমস্যা হবে না। তাছাড়া টানেলটি নদীর পৃষ্ট থেকে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ভূমিকম্পের প্রভাব পড়বে না। ভূমিকম্পে টানেল নিরাপদ থাকবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ মিটার থেকে ৩১ মিটার নিচ দিয়ে এ টানেল গেছে।

জানা যায়, টানেল নির্মাণে মোট ব্যয় প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ও চীন সরকার ‘জি–টু–জি’ অর্থায়নে টানেলটি নির্মাণ করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। বাকি ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিয়েছেন চীন সরকার। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে স্বপ্নের টানেল নির্মাণকাজের যৌথভাবে ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনা রাষ্ট্রপতি শিং জিনপিং। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন। ৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ টানেলটির নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –