• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

রংপুর অঞ্চলে তেল জাতীয় ফসল চাষের ব্যাপক পরিকল্পনা

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২২  

চলতি রবি মওসুমে রংপুর অঞ্চলের ৫টি জেলায় তেল জাতীয় ফসল চাষের ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট এবং নীলফামারীতে ৩৮ হাজার ৭১০ হেক্টরে সরিষা, ৫৪৯ হেক্টরে তিল, ১২৫ হেক্টরে তিসি, ৩০ হেক্টরে সয়াবিন, ১ হাজার হেক্টরে বাদাম এবং ১ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুরে ৭ হাজার ৭০০ হেক্টরে সরিষা, ৮ হেক্টরে তিল, এবং ১৪০ হেক্টরে সূর্যমুখী। গাইবান্ধায় ৯ হাজার ৩১০ হেক্টরে সরিষা, ১০০ হেক্টরে তিল, ১১ হেক্টরে তিসি, এবং ৯৭ হেক্টরে সূর্যমুখী। কুড়িগ্রামে  ১৩ হাজার ৯৮০ হেক্টরে সরিষা, ২১৮ হেক্টরে তিল, ৮৭ হেক্টরে তিসি, ৩ হেক্টরে সয়াবিন এবং ৬০ হেক্টরে সূর্যমুখী। লালমনিরহাটে ১ হাজার ৯৩৫ হেক্টরে সরিষা এবং ১ হেক্টরে সূর্যমুখী ও নীলফামারীতে ৫ হাজার ৫৫৫ হেক্টরে সরিষা, ১ হেক্টরে তিল, ৭ হেক্টরে সয়াবিন এবং ৩ হেক্টরে সূর্যমুখী চাষের পরিকল্পনা রয়েছে।

পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের বিরাহীম গ্রামের কৃষক সফর উদ্দিন খান বলেন, এবার এক একর জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে সরিষার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করি, লাভের মুখ দেখতে পারব।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে রংপুর অঞ্চলের ৫টি জেলায় এবার ৫৩ হাজার ৭৩৩ মেট্রিক টন সরিষা, ৬৫৩ মেট্রিক টন তিল, ১৩১ মেট্রিক টন তিসি, ৬১ মেট্রিক টন সয়াবিন এবং ২ হাজার ৫৭৩ মেট্রিক টন সূর্যমুখী পাওয়া যাবে। এসব ফসল থেকে পুষ্টি ও মানসম্পন্ন তেল পাওয়া যাবে।

রংপুর মেট্রোপলিটন কৃষি কর্মকর্তা আমিনা খাতুন জানান, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে তেল জাতীয় ফসল হিসেবে ১৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা ও ৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। ১২০টি প্রদশর্নীর মাধ্যমে সরিষা চাষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাদাম চাষ করা হয় নদী বিধৌত এলাকায়।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ওবাদুর রহমান মণ্ডল জানান, এবার রংপুর জেলায় ১৩ হাজার কৃষককে সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষক ১ বিঘা জমির জন্য প্রণোদনা সার-বীজ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এবার তেল জাতীয় ফসল চাষের ব্যাপক সাফল্য পাওয়া গেছে। চাষিদের সরকারিভাবে বীজ-সার প্রণোদনা দিয়ে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এতে ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –