– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –
  • শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৫ ১৪৩০

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো বিভাজন চলবে না: রাষ্ট্রপতি সালিশে কথা কাটাকাটির জেরে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা পঞ্চগড়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা লালমনিরহাটে দুলুর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

‘সোহান ভাই’ স্মরণে যা বললেন শাকিব খান

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

স্ত্রী প্রিয়া রহমানের মৃত্যুর এক দিন পর মারা গেলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। যিনি পুরোটা জীবন ব্যয় করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাণ ও নতুন শিল্পী তৈরির কাজে। ঢালিউডের তার সর্বোচ্চ সফলতা সালমান শাহ, মৌসুমী, পপি ও শাকিব খানের মতো তারকা শিল্পীদের উপহার দেওয়া।  

তার হঠাৎ প্রস্থানে স্তম্ভিত ঢালিউডের প্রতিটি মানুষ। বাদ যাননি ঢালিউড কিং শাকিব খানও। কারণ সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালোবাসা’ (১৯৯৯) দিয়েই ঢালিউডে অভিষেক হয় শাকিব খানের।

গুরুতুল্য নির্মাতার মৃত্যুর খবর শুনে বাকরুদ্ধ হলেন নায়ক শাকিব খান। আবেগি কণ্ঠে জানালেন স্মৃতি থেকে তুলে আনা কিছু কথা। অকপটে স্বীকার করলেন, মাসুদ রানা পাল্টে শাকিব খান নামটি তাকে দিয়েছেন এই সোহানুর রহমান সোহান।    

শাকিব খান বলেন, ‘আমার এই শাকিব খান নামটি সোহান ভাইয়েরই দেওয়া। সত্যি বলতে, তার সম্পর্কে কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই তো কয়েকদিন আগেও সোহান ভাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হচ্ছিল। তিনি বলছিলেন, অসুস্থ। উন্নত চিকিৎসা নিতে জাপান যাবেন। কিন্তু আজ সন্ধ্যায় হঠাৎ করে খবরটি পেয়ে আঁতকে উঠলাম। জানলাম, ভাবির মৃত্যুর একদিন পরেই সোহান ভাইও পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন। আহারে জীবন। ভাবি ও সোহান ভাইকে মহান আল্লাহ পরপারে শান্তিতে রাখুন। এটাই কামনা করছি।’

সোহানুর রহমান সোহান- শিবলি সাদিকের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রজীবন শুরু করেন ৭০ দশকের শেষের দিকে। পরবর্তীতে তিনি শহীদুল হক খানের ‘কলমিলতা’ (১৯৮১), এজে মিন্টুর ‘অশান্তি’ (১৯৮৬) ও শিবলি সাদিকের ‘ভেজা চোখ’ (১৯৮৮) চলচ্চিত্রে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। একক ও প্রধান পরিচালক হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’ মুক্তি পায় ১৯৮৮ সালে। তিনি মূলত প্রেম-বিরহ ঘরানার মূলধারার চলচ্চিত্র পরিচালনায় পারঙ্গম ছিলেন। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩), ‘স্বজন’ (১৯৯৬), ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘অনন্ত ভালবাসা’ (১৯৯৯) প্রভৃতি। তার নির্মিত সিনেমার সংখ্যা ২৫টি।

চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ব্যক্তিগত উদ্যোগেও চলচ্চিত্র নির্মাণ ও অভিনয়ের শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –