• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

মোখা: কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৩  

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় উপদ্রুত এলাকায় অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থল ত্যাগ না করতে নির্দেশনা দিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এছাড়া ২টি কন্ট্রোল রুম খুলেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। কন্ট্রোল রুমের জরুরি সেবা নাম্বার (০১৩১৮-২৩৪৫৬০) এবং ঢাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুমের নাম্বারে (০১৭৭৫-৪৮০০৭৫) ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য ও সেবা পাওয়া যাবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতিমূলক সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপজেলা ও জেলার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ও সচিবের রুটিন দায়িত্বে মো. নূরুল আলম।  

সভায় জানানো হয়, দেশের দক্ষিণাঞ্চল, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আঘাত হানার আশঙ্কা থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বাত্মক সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কবলিত জেলাগুলোর নাজুক এলাকা চিহ্নিত করে দ্রুত এলাকাবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে বা আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে হবে। জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় রেড ক্রিসেন্ট ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা গ্রহণ করতে হবে।  

সভায় নির্দেশনা দেওয়া হয়, ঘূর্ণিঝড় কবলিত জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ চিহ্নিত করে ঐ এলাকায় পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োজিত করতে হবে। ঐসব এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদারদের প্রকল্প এলাকায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা দিতে হবে। ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় মজুদ জিও ব্যাগ বা সিনথেটিক ব্যাগের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অন্যান্য জেলা থেকে জিও ব্যাগ সংগ্রহ করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বাঁধ ভেঙে এলাকায় পানি প্রবেশ করলে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) পক্ষ থেকে বোতলজাত পানি ও শুকনা খাবার সরবরাহের উদ্যোগ নিতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ খাবার পানি, শুকনা খাবার ও নৌযান প্রস্তুত রাখতে হবে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের এলাকায় বাপাউবোর সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাইট পরিদর্শনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকার জেলা-উপজেলার সব পর্যায়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সার্বক্ষণিকভাবে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় এবং কোনো অবস্থাতেই কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।  

ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকার নির্বাহী প্রকৌশলীরা স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন যেন প্রয়োজনের সময় জনবলসহ পর্যাপ্ত সহায়তা পাওয়া যায়।  

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সংসদ সদস্য পর্যায়ে অবহিত করবেন। গণমাধ্যমকে গৃহীত ব্যবস্থা বা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –