• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

জামের আশ্চর্য গুণ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২২  

সময়টা এখন মৌসুমী ফলের। সর্বত্রই পাওয়া যাচ্ছে আম, লিচু, জামরুল, জাম, কাঁঠালসহ সুস্বাদু সব ফল। এসব ফলের নামের ভিড়ে পুষ্টি ও খাদ্য গুণসম্পন্ন জাম কমবেশি সবার প্রিয়।

জামে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, জিংক, কপার, গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ, ফাইবার, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও স্যালিসাইলেটসহ অসংখ্য উপাদান। এছাড়াও রয়েছে জামের অনেক আশ্চর্য স্বাস্থ্য গুণ। যা অনেকেরই অজানা। চলুন আজ জেনে নেয়া যাক ছোট্ট এই ফলটি খেলে কী কী উপকার মিলবে-

ওজন নিয়ন্ত্রণ করে

জামে ক্যালরির পরিমাণ কম। যারা ওজন নিয়ে চিন্তিত কিংবা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন, তারা খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন জাম।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম উপকারী। এটি রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। জাম ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে শরীর সুস্থ রাখে। এক চা চামচ জামের বিচির গুঁড়া খালি পেটে প্রতিদিন সকালে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ভিটামিন সি

জামে আছে প্রচুর ভিটামিন সি। এটি ভিটামিন সি অভাবজনিত কারণে রোগবালাই প্রতিরোধসহ ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ করে। এছাড়া মুখের দুর্গন্ধ রোধ, দাঁত মজবুত, মাড়ি শক্ত এবং মাঢ়ির ক্ষয়রোধেও জাম উপকারী। 

রক্তস্বল্পতা দূর করে

জামে থাকা পানি, লবণ ও পটাসিয়ামের মতো উপাদান গরমে শরীর ঠান্ডা এবং শারীরিক দুর্বলতাকে দূর করতে ভূমিকা রাখে। জামে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে, যা রক্তস্বল্পতা দূর করে।

হৃদযন্ত্র ভালো রাখে

জাম রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। এছাড়া শরীরের দূষিত কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে দেয় জাম।
 
স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখে

জামে গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ আছে, যা মানুষকে জোগায় কাজ করার শক্তি। বয়স যত বাড়তে থাকে, মানুষ ততই হারাতে থাকে স্মৃতি। জাম স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে।

উচ্চ রক্তচাপ

আজকাল উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকরা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাজা ফল এবং শাকসবজি খেতে বলেন। এক্ষেত্রে জাম উপকারী। জামে এমন সব উপাদান আছে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে করে

মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জাম। রঙিন ফলের ভেতর যে পরিমাণ যৌগিক উপাদান থাকে, তার মধ্যে জামে আছে সবচেয়ে বেশি। জাম লড়াই করে  জরায়ু, ডিম্বাশয় ও মলদ্বারের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে।

ত্বকের সমস্যায়

জামে আছে অ্যালার্জিক নামে এক ধরনের এসিডের উপস্থিতি, যা ত্বককে করে শক্তিশালী। ক্ষতিকর আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির প্রভাব থেকে ত্বক ও চুলকে রক্ষা করে। এ অ্যালার্জিক এসিড ত্বকের জন্য ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

জাম দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সঙ্গে মৌসুমি সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেয়। প্রতিরোধ করে ইনফেকশনের মতো সমস্যারও। রাতকানা রোগ এবং যাদের চোখের ছানি অপারেশন হয়েছে তাদের জন্য জাম ভীষণ উপকারী। এবং রুচি ফিরিয়ে আনতে জাম খেতে পারেন।  আর ভ্রমণজনিত বমিভাবও দূর করে এই ফল। 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –