• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

দূতাবাস কর্মীদের পরিবারকে ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের   

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২২  

ইউক্রেনে অবস্থিত দূতাবাসের কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের দেশটি ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। স্থানীয় সময় রোববার অতিগুরুত্বপূর্ণ নয়, এমন দূতাবাস কর্মীদেরও ইউক্রেন ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
পূর্ব ইউরোপে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই নতুন এই নির্দেশনা জারি করল ওয়াশিংটন। সোমবারএক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের মার্কিন দূতাবাসে নিযুক্ত কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের দেশটি ছাড়ার ব্যাপারে স্থানীয় সময় রোববার নির্দেশনা জারি করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। এছাড়া দূতাবাসে অবস্থান করা অপ্রয়োজনীয় কর্মীদেরও ইউক্রেন ছাড়তে বলা হয়েছে। এমনকি ইউক্রেনে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদেরও দেশটি ছাড়ার কথা বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

রোববার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে বড় ধরনের সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করছে বলে তথ্য রয়েছে। এতে আরো বলা হয়, ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনিশ্চিত এবং পূর্বানুমানযোগ্য নয়। আর এ কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতি যেকোনো সময় খারাপ হতে পারে। অবশ্য ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানিয়েছিল যে, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ রুশ সেনা মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। এর ফলে পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

এর আগে গত শনিবার ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ সামনে আনে যুক্তরাজ্য। দেশটির অভিযোগ, ইউক্রেনে রুশপন্থি নেতাকে ক্ষমতায় বসাতে কাজ করছে মস্কো। একইসঙ্গে হামলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইউক্রেনের সাবেক কয়েকজন রাজনীতিকের সঙ্গে রাশিয়ার গোয়েন্দা কর্মকর্তারা যোগাযোগ করছে বলেও সেসময় অভিযোগ করে দেশটি।

শনিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনে রুশপন্থি নেতৃত্বের সম্ভাব্য প্রধান হিসেবে দেশটির সাবেক আইনপ্রণেতা ইয়েভহেন মুরায়েভকে রাশিয়ার সরকার বিবেচনা করছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।

টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ক্ষমতায় রুশপন্থি কোনো নেতাকে বসানোর ব্যাপারে ক্রেমলিনের ষড়যন্ত্র আমরা সহ্য করবো না। ক্রেমলিন জানে যে, ইউক্রেনে সামরিক হামলা চালানো হলে সেটি হবে কৌশলগতভাবে বড় ধরনের ভুল এবং যুক্তরাজ্য ও এর মিত্ররা রাশিয়ার কাছ থেকে চড়া মূল্য আদায় করে ছাড়বে।

উল্লেখ্য, ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন করে রেখেছে প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –