• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

পাকিস্তানে কয়লাখনিতে বিস্ফোরণ, ৯ শ্রমিক নিহত

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২২  

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনওয়ায় একটি কয়লাখনির ভেতর বিস্ফোরণে অন্তত ৯ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো ৪ জন।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) প্রদেশটির কোহাট বিভাগের ওরাকজাই জেলায় এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ।

ওরাকজাইয়ের জেলা কমিশনার আদনান ফরিদ জানান, ঘটনার সময় খনিটিতে ১৩ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন, বিস্ফোরণের পর তারা সবাই আটকা পড়েন।

তিনি আরো জানান, ঘটনার পরপরই উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে এবং নয় শ্রমিকের মৃতদেহ বের করে আনে। পরে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরো চার জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

কোহাটের বিভাগীয় কমিশনার মেহমুদ আসলাম ওয়াজির তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। দায়িত্বে কারও অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মেহমুদ বলেন, “প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, খনিটির আড়াই হাজার ফুট গভীরে বিস্ফোরণটি ঘটেছে।”

ওরাকজাই জেলা পুলিশ প্রধান নাজির খান বার্তা সংস্থা রয়টার্স’কে জানিয়েছেন, খনি উন্নয়ন অধীদপ্তরের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ‘খনির ভেতরে গ্যাস স্পার্ক থেকে বিস্ফোরণটি ঘটেছে’ বলে জানিয়েছে।

এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শ্রমিকের মৃত্যুতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের সুচিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন।

পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ কয়লার মজুতের জন্য খাইবার পাখতুনওয়া পরিচিত। দেশটিতে যে কয়েকটি কয়লাখনি রয়েছে, সবই খাইবার পাখতুনওয়ায়। তবে এসব খনি এলাকায় দুর্ঘটনাও বেশ নিয়মিত ব্যাপার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভূগর্ভে সঞ্চিত গ্যাসের কারণে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সরকার খনি শ্রমিকদের নিরাপত্তার প্রশ্নে বরাবরই উদাসীন। যদি নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও ঝুঁকিপূর্ণ কর্মপরিবেশের উন্নয়নে সরকার সচেষ্ট হতো, সেক্ষেত্রে অধিকাংশ দুর্ঘটনা এড়ানো যেতো বলে তাদের দাবি।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –