• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কীভাবে আটকে রাখবেন ত্বকের বয়স 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১  

সতেজ টানটান ত্বক সবাই চায়। ত্বকের বয়সও সবাই ধরে রাখতে চায়। কিন্তু শরীরের বয়সের পাশাপাশি বয়স বাড়ে আমাদের ত্বকেরও। এর ফলে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয় ত্বকে, যাকে আমরা সাধারণ ভাষায় স্কিন এজিং বলে থাকি।

প্রাথমিক ভাবে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া, শুষ্ক হয়ে যাওয়া, কুঁচকে যাওয়া, ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাওয়া এবং বলিরেখার লক্ষণগুলো বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয়। ত্বকের উপরের স্তর এপিডার্মিস পাতলা হয়ে যায় এবং মেলানিন ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে, ফলে ত্বক হয়ে পড়ে ফ্যাকাশে। অন্যদিকে সংযোগকারী টিস্যুগুলোর ইলাস্টিসিটি ক্ষয় হওয়ার ফলে ত্বক ইলাসটোসিসের শিকার হয়, এতে চামড়া ঝুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও কোলাজেন ব্রেকডাউন, ত্বকের অক্সিডেশন, গ্লাইকেশন ইত্যাদি কারণ ত্বকের বার্ধক্যের জন্য দায়ী।

আধুনিক পৃথিবীতে অবাধ তথ্য প্রবাহের কল্যাণে ত্বকের সুরক্ষায় বিভিন্ন পরামর্শ এবং কৌশল জানাটা খুব কঠিন কিছু নয়। যেমন প্রতিদিন সঠিক ডায়েট মেইনটেইন করা, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা, ত্বকের সুরক্ষায় সানস্ক্রিন ব্যবহার করা, নিকোটিন, অ্যালকোহল বর্জন ইত্যাদি।

এছাড়াও বিভিন্ন ঘরোয়া পরিচর্চায় রয়েছে চমৎকার কিছু গুণ। যেমন পাকা পেঁপেতে রয়েছে পেপেন এক্সট্রাক্টস, মধুতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোবায়োটিক্স এবং ন্যাচারাল এনজাইম যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে। অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ কোলাজেন ফাইবারে, আবার অন্যদিকে টক দইতে রয়েছে জিঙ্ক যা ত্বকে নতুন কোষের বৃদ্ধি ঘটিয়ে ত্বককে আরো তরুণ দেখাতে সাহায্য করে।

তবে এই সকল ঘরোয়া উপাদানগুলো ব্যবহারের আগে অবশ্যই নিজের ত্বকের ধরণ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। মূলত পাঁচ রকমের ত্বক হয়-নর্মাল, ড্রাই, অয়েলি, কম্বিনেশন ও সেনসিটিভ। জেনেটিক্স অনুযায়ী স্কিন টাইপ খুব সহজেই নির্ধারণ করা যায়। ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপাদান বেশ উপযোগী এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে অব্যর্থও বলা যায়।

তবে ঘরোয়া রূপচর্চা তখনি ত্বকের জন্য ভালো হবে যখন সঠিকভাবে তা প্রয়োগ করা যাবে। আপনার ত্বক ঠিক কি ধরনের, তার বিশেষ প্রয়োজন কী কী, ঠিক কোন জিনিসটা ব্যবহারে আশানুরূপ ফল পাবেন ইত্যাদি জানতে হবে সবার আগে। এছাড়াও ঘরোয়া সমস্ত উপাদানের পরিচর্চায় এমন কিছু কিছু উপাদান পাওয়া নাও যেতে পারে যা হয়তো আপনার ত্বকের জন্য বেশি প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে এসব ঘরোয়া উপাদান ত্বকে সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে বা অনেক দেরিতে কার্যকর হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করতে পারেন স্যান্ডেলউড এসেনশিয়াল অয়েল। যা সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বকের জ্বালা প্রশমিত করে শীতল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন বি২ ত্বকের ইলাস্টিসিটি মেনটেইন করে কোলাজেন লেভেল বজায় রাখে। ভিটামিন বি৩ বলিরেখা, হাইপারপিগমেন্টেশন কমিয়ে, ব্রণ এবং ইউভি রশ্মি থেকে ত্বকের ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করে।

ভিটামিন সি, স্কিন টোন হালকা করে ত্বকের পিগমেন্টেশন নিয়ন্ত্রণ করে। ত্বকে আর্দ্রতার পরিমাণ ধরে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ভিটামিন বি৫ ত্বকের অক্সিডেটিভ ড্যামেজ কমিয়ে ত্বককে রক্ষা করে। ভিটামিন ই ফ্রি র‌্যাডিকেল ড্যামেজ থেকে ত্বক রক্ষা করে। প্রাকৃতিক এই উপাদানগুলোর বৈশিষ্টগুণ ত্বকে কম মেলানিন উৎপাদন, ড্যামেজ এবং ইলাসটোসিস প্রতিরোধ করে। এগুলো ত্বকের বলিরেখা ও বার্ধক্যের ছাপ নিয়ন্ত্রণ করে ত্বককে করে উজ্জ্বল, যা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –