• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

গ্রীষ্মে ঢেউ খেলে কোঁকড়া চুলে

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২২  

ঢেউখেলানো কোঁকড়া চুলের আলাদা সৌন্দর্য আছে। অনেকে ইচ্ছে করে চুল কোঁকড়া করেন। আবার কারও কারও প্রাকৃতিকভাবেই কোঁকড়া চুল। এ চুল মুখের গড়নটাই পাল্টে দেয়। দেখতে সুন্দর লাগলেও এই চুল সামলানো কিন্তু মুশকিল। বিশেষ করে গরমের দিনে চুল জট পাকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোঁকড়া চুল সম্পর্কে অনেকেই নানা রকম ভুল ধারণা রাখেন। এতে সমস্যা আরও বেড়ে যায়।

কারও কারও ধারনা কোঁকড়া চুলে শ্যাম্পু করার আগে জট ছাড়ানোর প্রয়োজন পরে না। এটা একেবারেই ভুল ধারনা। কোঁকড়ানো চুলে ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত না। শ্যাম্পু করার আগে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভালো করে চুল আঁচড়ে নিন। জট ছাড়াতে প্রয়োজনে সিরাম বা গরম তেলও ব্যবহার করতে পারেন। চুলের জট ভালো করে ছাড়িয়ে তবেই শ্যাম্পু করুন। নইলে চুল ঝরার সমস্যা বেড়ে যাবে।

যদি এমন হয় যে, কয়েক দিনের মধ্যে পার্লার থেকে চুল কোঁকড়া করে এসেছেন, ভাবছেন ঘন ঘন চুল আঁচড়ালে চুল আবার সোজা হয়ে যাবে— এসব ধারণা কিন্তু ভুল। কোঁকড়া চুলে বেশি জট পরে। চুল ভালো করে না আঁচরালে চুলের জট ছাড়াতে ঘাম ছুটে যায়। বড় দাঁতে কাঠের চিরুনি দিয়ে বারবার চুল আঁচড়ালে চুলে জটও পরবে না আর চুল ঝরাও বন্ধ হবে।

কোঁকড়া চুলে রং করলেই চুলের বারোটা বাজবে—এই ধারণা অনেকেরই। ভালো মানের রং ব্যবহার করলে এবং রং করার পর সঠিক পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নিলে চুলের কোনো ক্ষতি হয় না। সবটাই নির্ভর করছে আপনি কীভাবে চুলের পরিচর্যা করছেন তার ওপর।

অনেকের ধরণা কোঁকড়া চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল সোজা হয়ে যেতে পারে। এমনটা ভাবার কিন্তু কোনো কারণ নেই। যদি সাময়িক ভাবে কেউ কৃত্রিম ভাবে চুল কোঁকড়া করনে, তাহলে এমনটা হয়। তবে আপনার চুল যদি প্রকৃতিগত ভাবেই কোঁকড়া হয় তাহলে কিন্তু চুলের যত্নের জন্য কন্ডিশনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। কন্ডিশনার চুলের কোষ রক্ষা করার পাশাপাশি, পরিবেশগত ক্ষতির হাত থেকেও সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। তাই শ্যাম্পু করার পরও কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না।

অনেকে আবার মনে করেন কোঁকড়া চুল বাড়তে সময় লাগে। আসলে কোঁকড়া চুল বাড়লেও তা গুটিয়ে থাকে তাই সহজে বোঝা যায় না। 
 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –