• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

রাতে না খেয়ে ঘুমালে শরীরে যা ঘটে

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২৩  

 
সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুব জরুরি। তাইতো সকাল, দুপুর আর রাত- এই তিন বেলা আমরা নিয়ম মেনে খাবার খেয়ে থাকি। যদিও অনেকেই ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে রাতের খাবার বাদ দেন। যা একদমই ভুল। আসলে তিন বেলার খাবারের মধ্যে কোনোটাই বাদ দেওয়া উচিত নয়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতে সঠিক সময়ে খাওয়া-দাওয়া করার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যেই রাতের খাবার খেয়ে নেয়ার পরামর্শ দেন। ভরপেট খেয়েই শুয়ে পড়লে, হজমের সমস্যা হতে পারে। তারচেয়ে খাওয়া শেষ করে একটু হাঁটাচলা করুন, বাড়ির অন্য কাজ করুন। তাহলে হজমেও সুবিধা হবে, আবার ঘুমও তাড়াতাড়ি আসবে। শরীর থাকবে চাঙ্গা। দূর হবে নানা রোগব্যাধি। 

রাতে না খেয়ে ঘুমাতে গেলে কী ক্ষতি হতে পারে-

শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
যারা মাঝে মাঝেই রাতের খাবার বাদ দেন, তাদের ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে। এর ফলে আপনি শিকার হতে পারেন অ্যাংজ্যাইটির। অ্যাংজ্যাইটি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি কমে যায় রক্তে শর্করার মাত্রা। সেইসঙ্গে বেড়ে যায় শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ। বুঝতেই পারছেন, রাতের খাবার বাদ দিলে তা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে!

অনিদ্রা
আপনি যদি নিয়মিত রাতের খাবার বাদ দিয়ে থাকেন তবে দ্রুতই অনিদ্রার শিকার হতে পারেন। আপনার মানসিক স্বাস্থ্য তো ব্যাহত হবেই, সেইসঙ্গে নিয়ে আসবে অনিদ্রা। আবার সকালের খাবার বাদ দিলেও দেখা দিতে পারে ডিপ্রেশন ও স্ট্রেস। স্ট্রেস হরমোনের প্রভাবে নিদ্রা চক্র বিঘ্নিত হয়। ঘুমের অভাব আপনার সার্বিক স্বাস্থ্য আরো খারাপের দিকে নিয়ে যাবে।

জাঙ্ক ইটিংয়ের প্রবণতা
রাতের খাবার না খেয়ে ঘুমালে পেটে ক্ষুধা তো থেকেই যায়। ফলে খাবারের প্রতি লোভ ক্রমশই বাড়তে থাকে। যে কারণে বাড়ে জাঙ্ক ইটিংয়ের প্রবণতা। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ ক্ষতিকর। অতিরিক্ত কার্বস, শর্করা, ক্যালোরিসহ নানা উপাদান শরীরে প্রবেশ করে নড়বড়ে করে দেয় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা।

কর্মশক্তি কমতে থাকে
আপনি যখন না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তখন দীর্ঘ সময়ের জন্য যকৃৎ ফাঁকা থাকে। যে কারণে আপনার কর্মশক্তি দ্রুত কমতে থাকে। ফলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ক্লান্তি আরো বেড়ে যায়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখার জন্য কোনোভাবেই রাতের খাবার বাদ দেওয়া চলবে না। নয়তো রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রাতে হালকা খাবার খান, কম খান। কিন্তু কোনোভাবেই রাতের খাবার বাদ দেবেন না।

ওজন বরং বাড়বে!
শরীর থেকে ওজন কমানোর জন্য না খেয়ে থাকা ঠিক নয়। বরং সারাদিন অল্প অল্প করে খাবার খেতে হবে। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে রাতে না খেয়ে থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই সকালে ওঠে প্রবল খিদে পাবে। তখন বেশি খেয়ে নেয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাতে আদৌ কোনো সুফল পাওয়া যায় না। তাই খিদে রেখে খেলে চলবে না। সারাদিন ধরে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাবার খেতে হবে। 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –