• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

নাগেশ্বরীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাট কেটে ফেলছে কৃষক

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২১  

নাগেশ্বরীতে কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে পানি জমেছে পাটখেতে। জলাবদ্ধতায় পাটের আঁশ পরিপক্ব হওয়ার আগে কেটে ফেলছে কৃষক।

ভরা বর্ষায় সাত দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে। এতে পানি জমেছে নিচু জমিতে। বৃদ্ধি পেয়েছে দুধকুমর, ফুলকুমর, ব্রহ্মপুত্র নদ, গঙ্গাধর ও শংকোস নদীর পানি। কোথাও এসব নদ-নদীর দুকূল ছাপিয়ে চরাঞ্চলের নিচু জমিতে প্রবেশ করেছে পানি।

বৃষ্টি ও ভাসা পানিতে সেসব জমিতে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। চরাঞ্চলীয় এসব জমিতে লাগানো পাটখেতে এখন প্রায় হাঁটুপানি। কয়েক দিন পানি জমে থাকলে পানির উচ্চতায় অবাঞ্ছিত শেকড় বেরিয়ে পাটগাছ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়া গত বছরের বন্যায় পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ আশঙ্কায় পাটের আঁশ পরিপক্ব হওয়ার আগে তা কেটে জাগ দিচ্ছেন কৃষক। এতে ফলন কম ও আঁশের গুণমান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

উপজেলার কেদার ইউনিয়নের কাজিয়ারদারা এলাকার কৃষক হামিদুল ইসলাম জানান, তার খেতের পাটগাছের ছাল এখনো শক্ত হয়নি। ইতিমধ্যে খেতে পানি উঠেছে। এ অবস্থায় কয়েক দিন থাকলে পাটগাছের গোড়া পচে মরে যাবে। তখন পাটখড়ি ছাড়া কোনো কাজে আসে না। তাই পরিপক্ব হওয়ার আগে পাট কাটছি। এতে লাভ হবে না, শুধু খরচ উঠবে।

শিবেরহাট গ্রামের আজিবর রহমান বলেন, নিচু জমিতে পানি জমেছে। তাই পাট কেটে নিচ্ছি। গতবার বন্যার জন্য পাট কাটতে পারিনি। কচাকাটা ইউনিয়নের তরীরহাট এলাকার রবিউল ইসলাম বলেন, খেতের পাশে গংগাধর নদী। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এলাকার নিচু জমি পানিতে ভরে গেছে। খেতে পানি উঠেছে। আর একটু পানি বাড়লে পাট কাটা যাবে না। তাই পাট কাটছি।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী এবার উপজেলায় মোট ২ হাজার ২২২ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। ১৩ হেক্টর পাট কাটা হয়েছে। ইতিমধ্যে পাটের মধ্যে ২০ ভাগ অপরিপক্ক। ইতিমধ্যে ৩০ হেক্টর পাট পানিতে তলিয়ে গেছে। উল্লেখ্য, পাট পরিপক্ব হতে বপন থেকে চার মাস সময় লাগে। তখন বিঘাপ্রতি ১০ থেকে ১২ মণ পাট উত্পাদন হয়। এবার পরিপক্ব না হওয়ায় বিঘাপ্রতি ৩ থেকে চার মণ পাট কম পাওয়া যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, এবার উপজেলায় পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে হেলে পড়া এবং বন্যার পানি প্রবেশ করা ক্ষেতের পাট এক সপ্তাহের মধ্যে কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এসব ক্ষেতের পাট কিছুটা অপরিপক্ব থাকলেও কৃষকের তেমন ক্ষতি হবে না।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –