• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ভূরুঙ্গামারীর প্রবীণ সাংবাদিক মোক্তার হোসেন সরকারের ইন্তেকাল

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২১  

চলে গেলেন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার প্রবীণ সাংবাদিক, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ভোরের কাগজের উপজেলা প্রতিনিধি মোক্তার হোসেন সরকার। তিনি গতকাল শনিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। মৃতকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে। আজ রবিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১১টায় জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তার নাম ছিল না। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে তিনি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেন।

মাধ্যমিকে পড়াকালে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। তিনি ১৯৯১ সালে কুড়িগ্রাম জেলা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ধরলা ও বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক চাঁদনী বাজার পত্রিকায় কাজের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর তিনি  দৈনিক খবর, বায়াস্কোপ, আজকের কাগজ, দৈনিক দিনকাল ও দৈনিক কুড়িগ্রাম খবর পত্রিকায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ক্রাইম পেট্রল বিডি ও দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া দৈনিক বগুড়া, উত্তরকোণ, জনকণ্ঠসহ বিভিন্ন পত্রিকায় তার বিভিন্ন ধরনের লেখা প্রকাশিত হয়। 

মোক্তার হোসেন সরকার ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। তিনি একবার ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার কন্যা ও এক পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর তিন কন্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এক কন্যা চিকিৎসক এবং কনিষ্ঠ পুত্র প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন। 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –