• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ

কুড়িগ্রাম বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯  

কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। উপজেলার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের গ্রামে গ্রামে আনাগোনা শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আধাজল খেয়ে মাঠে নেমেছেন।

দলীয় প্রতীক পাওয়ার জন্য গণসংযোগের পাশাপাশি দৌড়াচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতা-নেত্রীর পেছনে। ঢাকা থেকে ফিরেই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে হাট-বাজারে ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দোয়া কামনা করছেন। নৌকার ব্যানার, ফেস্টুন ও লিফলেট হাতে নিয়ে দলে দলে গণসংযোগ করছেন। তবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতা ছাড়া বিএনপি কিংবা জামাতের কোন প্রার্থীর গণসংযোগ নেই।

এ পর্যন্ত উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৬ জন প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রায় ২০ জন এবং হাফ ডজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের নাম শোনা যাচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে যাদের গণসংযোগ ও পোষ্টার ব্যানারে নাম দেখা ও শোনা যাচ্ছে।

তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জননেতা শফিউল আলম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন হিরো, কোদালকাটি ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন কবীর ছক্কু, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও জেলা পরিষদ সদস্য রাজিয়া সুলতানা রেনু।

জাতীয়পার্টি থেকে রাজিবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আলম বাদল। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী কোদালকাটি ইউপি আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল হোসেন, মোহনগঞ্জ ইউপি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, আব্দুল বাবী সরকার, বাচ্চু মিয়া, রাজিবপুর ১নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মিন্টু, ইউপি সদস্য খবীর উদ্দীন, ফরিদ উদ্দিন পাটোয়ারী, জাতীয়পার্টি নেতা ভাইস চেয়ারম্যান(বর্তমান) শফিকুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, হাবিবুর রহমান হবি, আবু তালেব, জাতীয় পার্টি জেপি আব্দুর রশিদ সরদার, স্বতত্র প্রার্থী হিসেবে ইউপি সদস্য আবু বকর সিদ্দীক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক, রুহুল আমিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেত্রী বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ভূমিহীন নেত্রী হাফিজা বেগম, আওয়ামীলীগ সর্মথক আকলিমা খাতুন, আমিনা খাতুন, স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বপ্না খাতুন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাই সরকার জানান, আমি দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, দল থেকে নৌকা প্রতীক দিলে আমি নির্বাচিত হতে পারব বলে আশাবাদী।

বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিউল আলম বলে, আমি গত ৫ বছরে রাজিবপুর উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। তাছাড়া গত ১১তম সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন নেয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলের জন্য কাজ করতে বলেছেন। আমি এলাকার উন্নয়ন ও দলের জন্য কাজ করছি। আশা রাখি দল আমাকে নৌকা দেবে।

অপরদিকে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো জানান, দলের তৃণমূল নেতা ও ভোটাররা আমাকে চায়। দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আমার বিশ্বাস। 

রাজিয়া সুলতানা রেনু জানান, আমার বাবা প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। আমি যোগ্য বাবার যোগ্য কন্যা। আমি বর্তমানে জেলা পরিষদ সদস্য। রাজিবপুরের নারী ভোটাররা আমাকে চায়। আমি নির্বাচিত হতে পারলে রাজিবপুরের নারী আর অবলা ও অবহেলিত থাকবে না। সমাজের প্রতিটি কাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা অংশগ্রহণ করবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজিবপুর উপজেলার ৩টি ইউপি ২৬ হাজার ৫৩৫ জন পুরুষ এবং ২৭ হাজার ৫৪৪ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করবেন। যাতে রয়েছে ২৭টি কেন্দ্র ও ১১৫টি বুথ।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –