• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

পৌষের শুরুতেই কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২১  

কুড়িগ্রামের আবহাওয়ায় ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা জানান দিচ্ছে পৌষের আগমন। বিকাল গড়াতে না গড়াতেই তাপমাত্রা হ্রাস পেতে শুরু করে। রাতের দাপুটে কুয়াশা সকালেও চারপাশ আবৃত করে রাখছে।

স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বলছে, শীতের তীব্রতা বেড়ে ডিসেম্বরেই একটি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এতে করে উত্তরের এ জেলায় ছিন্নমূল মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যেতে পারে। তবে শীত মোকাবিলায় জনভোগান্তি সহনীয় মাত্রায় রাখতে সরকারের সকল প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার (কৃষি ও সিনপটিক) সূত্র জানায়, জেলায় গত কয়েকদিন ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ২০ ডিসেম্বরের পর জেলায় একটি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার।

এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে। সামর্থবানদের চাহিদা থাকায় বৈদ্যুতিক দোকানগুলোতে গিজার আর ইলেকট্রিক হিটারের বিক্রিও বেড়েছে। তবে দুঃচিন্তায় পড়েছেন কৃষক ও দৈনিক খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে আসছে বোরো মৌসুমে মজুরি বিক্রি করে রোজগারের সম্ভাবনায় শীতের তীব্রতা তাদের কপালে ভাজ ফেলেছে।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের সীমান্তবর্তী গ্রাম মশালের চর। ওই গ্রামের বাসিন্দা দিন মজুর হামিদুল ইসলাম। বন্যা মোকাবিলা করে পরিবার নিয়ে টিকে থাকা হামিদুলের এবারের চিন্তা শীত নিয়ে। হামিদুল বলেন, ‘ বানে নৌকায়, মাচায় উঠে জীবন বাঁচাই। কিন্তু শীতে বৌ বাচ্চা নিয়া আর এক বিড়ম্বনা। এর ওপর ঠান্ডায় কাজ করতে না পারলে খাওয়ার কষ্ট সহ্য করন লাগে। শীত বেশি হইলে মাঠে কাজ করতে খুব কষ্ট হয়, হাত পা হিম হইয়া যায়।’

প্রান্তিক মানুষের এমন কষ্টের কথা ভেবে স্থানীয় প্রশাসন শীত নিবারণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা শাখা। এছাড়াও বেসরকারি পর্যায়েও শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানিয়েছেন, শীত মোকাবেলায় জেলার ৯ উপজেলায় ও তিন পৌরসভায় ৩৫ হাজার ৭শ’ পিচ কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শীতার্তদের পোশাক ক্রয়ের জন্য উপজেলার চাহিদা ভেদে ৮ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ‘ শীতে জেলার মানুষ যেনো কষ্ট না পান সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন এনজিও থেকেও কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলাগুলোতে সেগুলো বন্টন করা হয়েছে। আশা করছি শীতে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।’

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –