• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি ২০২২  

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা। শয্যা সংকটে ওয়ার্ডের মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মোট ৬৫ জন রোগীর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৬৩ জন। যা মোট রোগীর প্রায় ৯৭ শতাংশ শিশু।

বুধবার (৫ জানুয়া‌রি) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

বিকেলে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গেলে কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স আসমা খাতুন জানান, গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগীর মধ্যে শিশুই বেশি। ১২ বেডের এই ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সোমবার ২২ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হন। গতকাল(মঙ্গলবার) সন্ধ‌্যা  সা‌ড়ে ৭টা পর্যন্ত ১৬ শিশুসহ নতুন ২০ জন ডায়রিয়া রোগী ভ‌র্তি হ‌য়ে‌ছেন। এবং আজ সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত মোট ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন রোগী। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১৭ জন। বর্তমা‌নে ওয়ার্ডে  ৬৩ শিশুসহ রোগী সংখ‌্যা ৬৫ জন।

দায়িত্বরত নার্স আরও জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

আজ দুপুরে ভর্তি হওয়া এক শিশুর মা মোছা. আলপনা বেগম জানান, গত ৪ দিন ধরে আমার সন্তান অসুস্থ। বাড়িতে চিকিৎসা করে সুস্থ না হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। হাসপাতালে ভীড় দেখে দুঃশ্চিন্তা আরও বেড়েছে। তবে সেবার মান নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন তিনি।

রোগী বাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) পুলক কুমার জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়রিয়া রোগীর সংখ‌্যা বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশু আক্রান্তের হার বেশি।

হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ও শিশু বিশেষজ্ঞ আল আমিন মাসুদ জানান, ‘শীত এলেই শিশুরা ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়। এখন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। এ অবস্থায় শিশুদের বাইরের খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি শিশুদের যেন ঠান্ডা না লাগে সেজন্য শীতের মধ্যে শিশুদের বাইরে বের করা থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি গরম পোশাক পরিয়ে রাখতে হবে।’

গ্রামের মানুষদের মধ্যে খাওয়ার স্যালাইন নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘সচেতনতার অভাবে গ্রামে অনেকেই শিশুদের ঘন স্যালাইন খাওয়ান। এটা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। স্যালাইন গোলানোর ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতিতে আধা লিটার পানিতে পুরো স্যালাইন গুলিয়ে সঠিক নিয়মে শিশুদের খাওয়াতে হবে।’

এদিকে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জেলায় শীতের তীব্রতা বেড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এতে করে ছিন্নমূল মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –