• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ফুলবাড়ীতে চরাঞ্চলে টমেটোর বাম্পার ফলন 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২২  

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় টমেটোর বাম্পার ফলন ও ভাল দাম থাকায় কৃষক-কৃষাণিদের মুখে হাসি ফুটেছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে হাইব্রিট জাতের টমেটোর বাম্পার ফলনসহ বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। 

রবিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চলতি মৌসুমে অধিক লাভের আশায় বিস্তীর্ণ জমিতে প্রান্তিক চাষিরা আগাম হাইব্রিড জাতের টমেটোর চাষ করছেন। তীব্র শীত উপেক্ষা করে কৃষক-কৃষাণীরা টমেটোর গাছের পরিচর্যা করছেন। আবার অনেকে গাছের টমেটো তুলতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। 
 
শীত মৌসুমে আগাম টমেটো চাষে নানামুখী ঝুঁকি থাকলেও উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে  চাষিরা বিভিন্ন চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় টমেটোর চাষাবাদ করেছেন। যেসকল চাষির নিজস্ব জমি-জমা নেই তারাও অন্যের জমি লিজ নিয়ে টমেটোর চাষাবাদ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন।

এ বছর লাভ জনক ফসল টমেটোর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভাল দাম থাকায় আগাম টমেটো বিক্রি করে কৃষকদের বদলে দিয়েছে নিজের ভাগ্যের চাকা। প্রতিদিন কুড়িগ্রাম জেলা শহরসহ পার্শ্ববর্তী জেলা লালমনিরহাট থেকে পাইকাররা ফুলবাড়ী উপজেলায় এসে প্রান্তিক চাষিদের কাছে পাইকারি মূল্যে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা মন প্রতি টমেটো ক্রয় করছেন। 

নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোরকমন্ডল এলাকার টমেটো চাষি আনছারুল হক জানান, দেড় বিঘা জমিতে টমেটোর চাষ করেছি। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এ বছর টমেটোর কোন ধরনের রোগ বালাই হয়নি। ফলনও গত বছরের চেয়ে ভালই হয়েছে। এ বছর টমেটোর দামও অনেকটা ভাল পেয়েছি। গত এক মাস আগে বিক্রি শুরু করেছি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মন। বর্তমানে ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা মন বিক্রি করেছি। এ যাবদ ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। এরকম বাজার দর থাকলে দেড় বিঘা জমির টমেটো ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান। 

নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের নাওডাঙ্গা গ্রামে টমেটো চাষি সন্তোষ চন্দ্র বর্মন জানান, গত বিশ বছর ধরে দুই  বিঘা জমিতে টমেটোর চাষ করেছেন। এক বিঘা জমিতে টমেটোর চাষাবাদ করতে খরচ হয় ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। ভাল ফলন ও দাম ভাল থাকলে খরচ বাদে ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তিনি আরও জানান ফলন ভাল হলেই প্রতি বিঘা প্রতি টমেটো ১২০ থেকে ১৩০ মন পর্যন্ত আসে। সব মিলিয়ে এবছর টমেটোর বাম্পার ফলন ও ভাল দাম পাওয়া আমরা খুশি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. নিলুফা ইয়াছমিন জানান, এ বছর উপজেলায় প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষাবাদ হয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। ভাল দাম থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। এছাড়াও টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ায় চলতি মৌসুমে যথেষ্ট সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –