• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে স্নানোৎসব অষ্টমীর স্নান ও মেলা উদযাপন 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২২  

কুড়িগ্রামের প্রাচীনতম নৌ-বন্দর চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ স্নানোৎসব অষ্টমীর স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

গতকাল শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাত ৯টা ১২ মিনিট থেকে শনিবার (৯ এপ্রিল) রাত ১১টা ০৮ মিনিট পর্যন্ত স্নানের অষ্টমীর শুভ তিথি থাকলেও বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত স্নান করার উত্তম তিথি থাকায় অধিকাংশ পুণ্যার্থী এ সময়ে স্নান সেরে নিয়েছেন। 

ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন আগত পুণ্যার্থীরা। উত্তরবঙ্গের অষ্টমীর স্নানের জন্য চিলমারীর এই স্থান বিখ্যাত। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পুণ্যার্থীরা এখানে আসেন নিজেদের পাপকে বিসর্জন দিতে। প্রতিবছর ব্রহ্মপুত্রের ছয় কিলোমিটার পাড় জুড়ে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। স্নানকে ঘিরে বসে মেলাও। 

সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, অষ্টমীর স্নানকে ঘিরে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন রমনা নৌঘাট থেকে রাজারভিটা, পুটিমারী হয়ে সরদারপাড়া ঘাট পর্যন্ত স্নান সম্পন্ন করার জন্য নানা ব্যবস্থা করে। কয়েক লাখ পুণ্যার্থী স্নান করার উদ্দেশ্যে ব্রহ্মপুত্র পাড়ে সমাবেত হয়ে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে নিজেদের স্নান সম্পন্ন করেন। অনেকে নিজেদের পূর্ব-পুরুষদের উদ্দেশ্যে মাথা ন্যাড়া করে পিণ্ড দান করেন ।

অষ্টমীর স্নানে অংশ নেওয়া রংপুর থেকে আসা ঝুমা পাল বলেন, এখানে স্নান করার মাধ্যমে আমরা জীবনের পাপকে ধুয়ে পবিত্রতা অর্জন করি। স্রষ্টা এর মাধ্যমে আমাদের অতীতের পাপ থেকে মুক্ত করবেন, এজন্যই এসেছি।

ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে গাইবান্ধা থেকে আসা আরেক পুণ্যার্থী নির্মলা রানী বলেন, প্রচুর লোকের সমাগমে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাতে কিছুটা হলেও শৃঙ্খলা বজায় ছিল। তবে অষ্টমীর স্নানের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা হলে আমাদের জন্য ভালো হয়।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন থেকে চার লাখ পুণ্যার্থী সমবেত হয়েছেন ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে। স্নান ও মেলা উপলক্ষে এলাকাজুড়ে স্থানীয় প্রশাসন ও কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। মেলা ও ব্রক্ষপুত্রে স্নান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য মেলাস্থলে বসানো হয় কন্ট্রোল রুম। দূর-দূরান্তের পুণ্যার্থীরা যাতে নিরাপদে রাত্রিযাপন করতে পারেন সেজন্য উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের তীরজুড়ে কয়েক লাখ পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা গতকাল থেকে মেলা ও স্নান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। 
কে/

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –