• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

রৌমারীতে ৩ মাস ২০ দিন পর মিলল অপহৃত ব্যক্তির লাশ, গ্রেফতার ৩

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ জুন ২০২২  

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বিরোধের জেরে শালু মিয়া নামে এক যুবককে অপরহরণ করা হয়। অপহরণের ৩ মাস ২০ দিন পর মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার শিকার শালু মিয়া একই ইউনিয়নের কাউয়ারচর গ্রামের মৃত চাঁন মন্ডলের ছেলে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রৌমারী উপজেলার বাঘেরহাটের দক্ষিন পাশের টেকানী গ্রামের জিন্জিরাম নদীর পাড় থেকে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। 

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ইউপি সদস্যহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন রৌমারী উপজেলার ঝগড়ার চরের ছলে হকের ছেলে খয়বর আলী  একই উপজেলার কাউয়ার চরের তালেবের ছেলে জিয়া, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও একই ইউনিয়নের চর কাউয়ারচর  (বাঘের হাট) গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে জাকির হোসেন।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে শালু মিয়াকে অপহরণ করে গুম করার অভিযোগ ওঠে। পরে ২৯ এপ্রিল স্বামী শালু মিয়াকে অপহরণের অভিযোগ এনে ইউপি সদস্য জাকির হোসেন, খয়বর আলীসহ অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করে রৌমারী থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন স্ত্রী রেজেকা খাতুন।

এ ঘটনায় গত ৩০ মে রাতে মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে ইউপি সদস্য জাকির হোসেনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে রৌমারী থানায় এনে ৩১ মে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও একই ইউনিয়নের চর কাউয়ারচর  (বাঘের হাট) গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে। 

এরপর ঘটনার সূত্র ধরে গত বুধবার (১ জুন) ঢাকায় অভিযান চালিয়ে শালু মিয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খয়বর আলী ও জিয়াকে গ্রেফতার করে রৌমারীতে এনে বৃহস্পতিবার (২জুন) শালু মিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের শিকার শালু মিয়ার স্ত্রী রেজেকা খাতুন বলেন, আমার স্বামী শালু মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ইউপি সদস্য জাকির হোসেনেরব্যবসায়িক বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য জাকির হোসেন আমার স্বামীকে ফোনে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের স্লুইগেট এলাকায় আসতে বলেন। 

আমার স্বামি তার ফোন পেয়ে দ্রুত সেখানে চলে যান। আমিও তার পিছু পিছু সেখানে যাই। গিয়ে দেখি জাকির হোসেন, খয়বর আলীসহ অজ্ঞাত আরো দুই তিন জন সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমার স্বামীকে জোর করে তারা তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। পরে তারা নানা ধরনের টালবাহানা করতে থাকেন। তারা তাকে অপহরণের পর গুম করেছে। 

এ ব্যাপারে রৌমারী থানায় ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, গত ৩০ মে মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য জাকির হোসেনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। বুধবার (১জুন) ঢাকায় অভিযান চালিয়ে খয়বর আলী ও জিয়াকে গ্রেফতার করে রৌমারীতে এনে তাদের দেয়া তথ্যমতে শালু মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –