• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

১৫ বছর ধরে জ্যান্ত সাপ-বিচ্ছু খান মোজার

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২৩  

মো. মোজার মিয়া (৪৮), পেশায় একজন দিনমজুর। তিনি সাপুড়ে কিংবা সাপের খেলাও দেখান না। তবে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জ্যান্ত সাপ, বিচ্ছু, গরুর কাঁচা রক্ত ও ভূরি খেয়ে আসছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ক্ষেতে ছিটানো কীটনাশক খেয়েও স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। এসবের কারণে সমাজের কাছে সমালোচনার পাত্র হয়েছেন মোজার। তিনি ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’ বলে মনে করছেন অনেকে। তার মানসিক চিকিৎসার দাবিও জানিয়েছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোজার মিয়া কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথর ডুবি ইউনিয়নের সোনাহাট গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তার দুই স্ত্রী এবং এক দত্তক ছেলে আছে তার। সেই ছেলে ঘরে দুই নাতিও আছে।

মোজারের প্রতিবেশী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘মোজা ভাই আমার প্রতিবেশী। বিভিন্ন সময় তিনি সাপ-বিচ্ছু খেয়ে থাকেন। তার এরকম অদ্ভুত খাদ্যাভ্যাস দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ দেখতে আসে। আবার অনেকে সমালোচনাও করে।’

মোজার মিয়া বলেন, ‘আমি যখন ক্লাস টুয়ে পড়ি, তখন থেকে আমি সাপ খাই। ১৫ বছর ধরে নিয়মিত সাপ-বিচ্ছু খেয়ে আছি। বিষাক্ত সাপ আমার খুবই পছন্দ। বিষাক্ত সাপ ও বড় সাইজের যেকোনো সাপ ছোট সাপের তুলনায় স্বাদ। এই সাপ খেতে গিয়ে লোকজনের দ্বারা হাজারো বিড়ম্বনায় পড়েছি। তবুও মন মানে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাপ না খেলে শরীরে এনার্জি আসে না। যখন তখন সাপ পাওয়া যায় না। তাই সাপ না পেলে মাঝে মধ্যে গরুর কাঁচা রক্ত ও ভূরি খাই।’

সোনাহাট ইউনিয়ন পরিসদের চেয়ারম্যান মো. মায়নুল ইসলাম বলেন, মোজার সাপ-বিচ্ছুসহ বিভিন্ন প্রাণী খাওয়ার কথা জেনেছি। একজন সুস্থ ব্যক্তি কখনো এ কাজটি করতে পারেন না। আমার মতে মোজার মিয়াকে চিকিৎসার জন্য পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠানো উচিত।’

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত (প্রাণী ও উদ্ভিদ) বিশেষজ্ঞ অধ্যক্ষ মির্জা নাসির উদ্দীন বলেন, সাপ-বিচ্ছু খেয়ে জীবন যাপন করা মোজারের এটি একটি বিরল ঘটনা। পাশাপাশি বিষাক্ততার কবলে পড়ে যেকোনো মুহূর্তে তিনি মারা যেতে পারেন। তবে তিনি মানসিক বিকারগ্রস্ত কি-না তা চিন্তার বিষয়।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –