• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

পেয়াজু ও চপ বিক্রি করে স্বাবলম্বী আফেলা বেগম

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২৩  

পবিত্র রমজান মাসে প্রতিদিন বিকেল হলে বিভিন্ন এলাকার লোকজন এসে ভিড় জমায় ইফতার কেনার জন্য আফেলা বেগমের দোকানে। এই দোকানে ২ টাকায় পেয়াজু, আলুর চপ, ৩ টাকায় বেগুনী চপ, ডিমের চপ ও ৫টাকায় মাংসের চপ বিক্রয় হয়। এসব সুস্বাদু বাহারি ইফতারি বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছে আফেলা বেগম (৪৬)। 

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের গুয়াতি পাড়া/খান পাড়া গ্রামের তিন রাস্তা মোড়ে ৩০ বছর ধরে ছোট্র একটি টিনের ছায়লা দিয়ে এই চায়ের দোকানে বাহারি খাবার বিক্রি করেন আফেলা বেগম । তার স্বামী ইলিয়াছ জীবিত থাকাকালীন চালাতো এই দোকান। পাশে একটি স্কুল থাকায় শিক্ষার্থীদের কাছে চকলেট, আচার,পাপর ভাজা, আলুর দম,বাদাম,বিস্কুট বিক্রি করতো ইলিয়াছ মিয়া। এরপর আফেলা বেগম বউ হয়ে আসার পরেই স্বামীর সাথে দোকানে সহযোগিতা শুরু করে। এভাবে দুজনে প্রায় ২০ বছর মিলেমিশে দোকান চালাতো। কিন্তু হঠাৎ স্বামী অসুস্থ্যতার কারণে মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর ১০ বছর পার হলেও এখনো নিজে দোকানটি আখরে ধরে আছেন। ধীরে ধীরে তার দোকানের পেয়াজু ও চপের সুনাম ও বিক্রি বাড়তে থাকে। এখন পবিত্র রমজান মাসে বেচাকেনা বাড়ায় প্রতিদিন ১ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন। আফেলার দুই মেয়ের বিবাহ হয়ে গেছে।বর্তমান একমাত্র ছেলে আদর (১৩)কে নিয়ে দোকান চালায়। ছেলেটি সরকারি বালক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। স্কুল বন্ধ থাকলে মায়ের সাথে দোকানে সহযোগিতা করে। 

আফেলা বেগম বলেন, আমার স্বামীর ৩০ বছরের ব্যবসা ধরে রেখেছি। আল্লাহর রহমতে আমার দোকানে সারাবছর পেয়াজু, আলুর চপ, বেগুনীর চপ ও ডিমের চপ বিক্রি হয়। এসব ইফতারি আমি নিজেই তৈরি ও বিক্রি করি। রমজান মাসে এখন আরও বেশী চাহিদা বেড়েছে,কিন্তু বয়সের কারণে বেশী বানাতে পারি না। এখন আমরা মা-ছেলে মিলে দোকান চালাচ্ছি।খুব ভালোই দিন যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে অত্র এলাকার পৌর ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খোরশেদ আলম আপেল বলেন, আফেলা বেগমের স্বামী ১০ বছর আগে মারা যায়। এরপর ছেলে-মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্ট করে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার লোকজন এসে ইফতারি কিনতে আসে। তার দোকানের জন্য আমাদের গ্রামের নাম এখন শহর জুড়ে। আমরা এই নারী উদ্যোক্তার জন্য গর্বিত। 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –