৩০ টাকা পুঁজির কবুতর খামারে চলে নুরুজ্জামানের সংসার
প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২৩
দরিদ্র পরিবারের সন্তান নুরুজ্জামান (৪০)। টিউশনি করে টাকা জমিয়ে ১৯৯০ সালে শখের বসে মাত্র ৩০ টাকায় একজোড়া কবুতর কিনেছিলেন। সেই থেকে তিনি ধীরে ধীরে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ৮০ জোড়া কবুতরের মালিক হয়েছেন। এই কবুতর পালন করেই নুরুজ্জামান এখন অনেকটা স্বাবলম্বী।
নুরুজ্জামানের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ফরিদ আলী ছেলে। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কৃষক বাবার সন্তান নুরুজ্জামান। অভাবের কারণে এইচএসসি পাস করার পর ইতি টানেন লেখাপড়ায়। ছোটবেলা থেকেই পশুপাখির প্রতি ভালোবাসা থেকে টিউশনি করিয়ে মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে বাজার থেকে এক জোড়া কবুতর কিনে প্রতিপালন শুরু করেছিলেন। আস্তে আস্তে তার কবুতরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৮০ জোড়ায় দাঁড়িয়েছে। কবুতর পালন ও বিক্রির টাকা দিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত তিনি সংসারের হাল ধরে আছেন।
বর্তমানে তার পারিবারিক খামারে বিভিন্ন জাতের কবুতর রয়েছে। তার পারিবারিক খামারে থাকা এক জোড়া কবুতর ৫শ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা মূল্যের রয়েছে। এদিকে সবমিলিয়ে কবুতর পালনে তার প্রতি মাসে আয় এখন ১৫-১৮ হাজার টাকা। তার বাড়িতে কবুতরগুলোর জন্য সারিবদ্ধভাবে কাঠ ও বাঁশের চারকোনা লম্বা ঘর তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই থাকে কবুতরগুলো।
প্রতিবেশী একরামুল হক বলেন, নুরুজ্জামান প্রায় ২০-২৫ বছর যাবত কবুতর পালন করছে। সে যখন হাতে খাবার নিয়ে কবুতরগুলোর সামনে হাজির হয়, তখন সবগুলো কবুতর আহারের জন্য তার হাতে, শরীরে ও মাথায় উঠে বসে। এই দৃশ্য দেখতে ভালো লাগে। তার বাবা বৃদ্ধ কাজ করতে পারে না। কবুতর পালন ও টিউশনি করেই দীর্ঘ দিন ধরে সংসার চালাচ্ছেন নুরুজ্জামান।
এ বিষয়ে নুরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে আমার পারিবারিক খামারে দশ প্রজাতির ৮০ জোড়া কবুতর রয়েছে। যেমন, দেশি, বাগদাদি হোমার, কালো সিরাজি, গিরিবাজ, লাল ম্যাগপাই,কালো ম্যাগপাই, কাগজি চিনা ইত্যাদি। সবমিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কেজি খাবারের প্রয়োজন হয়। যার মূল্য প্রায় ৫শ টাকা। বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি ৯০ সালের দিকে মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে একজোড়া কবুতর কিনেছিলাম। আস্তে আস্তে যখন কবুতরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল তখন উন্নত জাতের বিভিন্ন কবুতর সংগ্রহ করি। এভাবেই আমার পথ চলা। আমি আজ পর্যন্ত কবুতর পালনের ওপর কোনো প্রশিক্ষণ নেইনি। যদি প্রাণিসম্পদ অফিস আমার একটি প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করতো আমার মনে হয় আরও বড় পরিসরে খামারটি করতে পারতাম।
নুরুজ্জামানের বাবা ফরিদ আলী বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমার ছেলে কোনো রকমে টিউশনি করিয়ে এইচএসসি পাস করেছে। অভাবের কারণে আর লেখাপড়া করতে পারেনি। সে টিউশনির টাকা দিয়ে একজোড়া কবুতর কিনে পালতে থাকে। বর্তমানে আমার বাড়িতে ৮০ জোড়া কবুতর। আমি তো কাজ করতে পারি না। কবুতর বিক্রির টাকা দিয়ে সংসার চালায়। প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে যদি আমার ছেলেকে সহযোগিতা করা হতো তাহলে অনেক ভালো হতো।
ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমানন (কনক) বলেন, আমাদের প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমরা এই উদ্যোক্তাকে সার্বিক সহযোগিতা করব যাতে তিনি আরও বড় পরিসরে করতে পারেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) ডা. মো. ইউনুছ আলী বলেন, সরকারিভাবে কবুতর খাবারের পরিসংখ্যান নেই। তবে যারা পারিবারিকভাবে কবুতরের খামার করেন। তারা আমাদের অফিসে এলে আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি।
– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –- ইসরায়েলের হামলাকে স্বীকার করছে না ইরান
- তীব্র তাপদাহেও যেভাবে ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা
- বিএনপি পথহারা পথিক: ওবায়দুল কাদের
- আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কিছু করেনি: প্রধানমন্ত্রী
- মারা গেছেন জাতীয় পতাকার নকশাকার মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস
- আইপিএল থেকে চাইলেও যে কারণে যেতে পারেননি বাংলাদেশি এক ক্রিকেটার
- জুম্মাবার ও নামাজের গুরুত্ব
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- বিজিপির আরো ১৩ সদস্য আশ্রয় নিলো বাংলাদেশে
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- তীব্র গরমের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঝড়-শিলাবৃষ্টি
- ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
- ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- বিচ্ছিন্নভাবে দেশের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই: সেনা প্রধান
- মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানি বাড়বে
- ২৪ এপ্রিল ব্যাংকক যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- দাবদাহে পুড়ছে দেশ, সুস্থ থাকতে যা করবেন
- ‘উপজেলা নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে এলে ব্যবস্থা’
- বাংলাদেশে শিশুখাদ্য নিডো-সেরেলাক নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য
- ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন, পলকেই নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বৈধ এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থী
- অপপ্রচার রোধে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেয়া হবে
- নাশকতার মামলায় জেলা যুবদলের সভাপতি কারাগারে
- সাত বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
- প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বিরলে গ্রাম আদালত বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- যৌতুক ছাড়াই একসঙ্গে বিয়ে করলেন দুই বন্ধু
- ইরানের হামলা নিয়ে এবার ইসরায়েল-সৌদি পাল্টাপাল্টি মন্তব্য
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- চিলমারীতে অষ্টমীর স্নান উৎসবে এসে পুরোহিতের মৃত্যু
- ৫ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস
- কারওয়ান বাজার র্যাম্প প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার: ওবায়দুল কাদের
- মূল্যস্ফীতি কমানোর প্রক্রিয়া হলো সুদহার বাড়ানো: প্রতিমন্ত্রী
- মেয়র মোহাম্মদ হানিফের জন্মদিন আজ
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- জুমার দিনের বিশেষ আমল
- প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার নামই জীবন
- ২২তম তারাবিতে যা পড়া হবে
- নাগেশ্বরীতে ৬ টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার
- যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ
- দেশের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- কুড়িগ্রামে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- গাজীপুর-এয়ারপোর্ট রুটে খুলেছে ৭ ফ্লাইওভার
- থিম্পুতে ডি-সুং স্কিলিং প্রোগ্রাম প্রশিক্ষণকেন্দ্র পরিদর্শন
- বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী
- রংপুরে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের