• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

কোথায় খালেদার সেই আপসহীনতা?   

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২১  

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিএনপির রাজনীতিতে বলা হয়ে থাকে আপসহীন নেত্রী। বলা হয় যে, তিনি আপস করতে জানেন না। কিন্তু সেই আপসহীন নেত্রী এখন প্রতি পদে পদে আপস করছেন কেন? এই প্রশ্ন বিএনপির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

খালেদা জিয়ার আপসহীন নেত্রীর তকমাটি প্রথম লাগে ১৯৮৬ সালের ৭ মের নির্বাচনে। ঐ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। সাত দলীয় জোট নির্বাচনে যায়নি। ঐ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার বিএনপি অংশগ্রহণ না করে এরশাদকে এক ধরনের সার্টিফিকেট দেওয়া হয় এবং এরশাদ নির্বাচনে যেতে তার সব অবৈধ কর্মকাণ্ড বৈধ করেন। সে নির্বাচনের পরপরই খালেদাকে জিয়া আপসহীন নেত্রী বলা শুরু হয় এবং স্বৈরাচার পতনের পর খালেদা জিয়া নির্বাচনে বিজয়ী হন। কিন্তু আদর্শহীন রাজনীতি ক্ষণিকের আপসহীন তৈরি করতে পারে, কিন্তু চিরস্থায়ী আপসহীন নেতা তৈরি করতে পারে না, খালেদা জিয়া সম্ভবত তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।

খালেদা জিয়া ওয়ান-ইলেভেন থেকে আপসের রাজনীতির সূচনা করেন। সেই সময় তিনি সরকারের সঙ্গে আপস করে তার ছেলে তারেক রহমানকে মুক্ত করেন এবং তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তার দ্বিতীয় পুত্র প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোকেও খালেদা জিয়া দেনদরবার, তদবির করে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান এবং তারা দুইজনই মুচলেকা দিয়ে বিদেশে চলে যান।

তিনি যে আপসকামী তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ পাওয়া যায়, যখন ২০২০ সালে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে এবং নতজানু হয়ে জেল থেকে বের হওয়ার জন্য খালেদা জিয়া তার পরিবারকে দায়িত্ব দেন। যারা সত্যিকারের রাজনৈতিক নেতা তারা এরকম আপস করে কখনো অপমানজনকভাবে কারাগার থেকে বের হননি। শুধু এখানেই তার আপসহীনতার শেষ নয়, আমরা দেখি যে তার বিদেশ যাত্রা নিয়েও এক ধরনের আপস এবং নতজানু নীতি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, খালেদা জিয়া যদি আরাম-আয়েশের জীবনের লোভ একটু সংবরণ করতে পারতেন, যদি কারাগারকেই তার রাজনৈতিক পরীক্ষার জায়গা হিসেবে বেছে নিতেন এবং ধৈর্য ধরতেন তাহলে হয়তো বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি সত্যি সত্যি আপসহীন নেত্রী হতেন।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –