• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বিএনপি নেতাদের কন্ঠেই দলের নানা ব্যর্থতার ফিরিস্তি

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২১  

তৃণমূল থেকে একেবারে শীর্ষ পর্যন্ত নেতৃত্বের সংকট, ভুল নীতিমালা এবং রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার কারণে কঠিন সময় পার করছে বিএনপি। 

তাই সভা-সমাবেশ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতাদের কন্ঠে দলের ব্যর্থতার ফিরিস্তি প্রতিনিয়তই শোনা যাচ্ছে। একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়েই যেন ক্ষ্যান্ত হচ্ছেন।

বিএনপির গোপন সূত্রে জানা গেছে, সুবিধাভোগীদের আধিক্যের কারণে বঞ্চিতরা উগলে দিচ্ছেন নেতাদের ব্যর্থতার চিত্র। কয়েক বছর ধরে অনেকটাই জোড়াতালি দিয়ে চলছে বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি। এ কমিটিতে এমন সদস্যও আছেন, যাদের কেউ কেউ আন্তর্জাতিক কৌশল সম্পর্কেই জানেন না। এসব কারণে কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে ফরেন কমিটি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সমালোচনা করে দলের সিনিয়র এক নেতা বলেন, পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে দলের অনেক নেতাই ক্ষুব্ধ। কারণ আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রক্ষা এবং সম্পর্ক তৈরির কোনো যোগ্যতাই আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেই। তাকে চীনও পছন্দ করে না। 

তিনি আরো বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ঢাকায় তাইওয়ানের কনস্যুলেট অফিস খোলাকে কেন্দ্র করে চীনের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর পেছনে ছিলেন তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু। সেই ঘটনায় এখনো চীন বিএনপিকে পুরোপুরি বিশ্বাস করে না। আর এমন লোককে এ দায়িত্ব দেওয়া অনেকটা কাকের পেখম মেলার মতো। অন্যদিকে ভারতীয়দের কাছেও তার গ্রহযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ।

এদিকে আইনাঙ্গনে এক সময় বিএনপির একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও নেতৃত্বের অভাবে তাতে এখন ভাটা পড়েছে। যার ফলে খালেদার মুক্তি আন্দোলনের আইনি লড়াইয়েও দলের আইনজীবীরা একেবারেই ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন খোদ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, নেতৃত্ব সংকট বিএনপিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। স্থায়ী কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি, পেশাজীবী ও পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি- কোথাও সঠিক এবং দক্ষ নেতৃত্ব নেই। খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে কেন্দ্রীয় নেতারা যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি আইনাঙ্গনে বিএনপির নেতারাও পুরোপুরি ব্যর্থ।

তিনি আরো বলেন, আইজীবীদের নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন ও কায়সার কামাল এর বিএনপিতে অবস্থান নড়বড়ে। খন্দকার মাহবুব হোসেন জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপিতে এলেও দলের আইনজীবীদের আস্থা এখনো অর্জন করতে পারেননি। আর নৈতিক কারণে কায়সার কামালের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যের কোটায়। তাহলে নেতৃত্বটা দেবে কে?

এক সময় বিএনপির আইনজীবীদের নেতৃত্ব দিয়েছেন নাজমুল হুদা, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুবউদ্দিন আহমেদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া। তাদের শূন্যতায় এখন আইজীবীরাও বিভক্ত- যোগ করেন তিনি।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –