• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

গণঅনশন কর্মসূচিতে ‘ফটোসেশনে ব্যস্ত’ বিএনপির নেতাকর্মীরা

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২১  

‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে শনিবার গণঅনশন করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। তবে গণঅনশন কর্মসূচিতে ফটোসেশনে ব্যস্ত ছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅনশন শুরু হয়।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকের কমর্সূচি হচ্ছে গণঅনশন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে এ অনশন পালন করবেন, কেউ দাঁড়িয়ে থাকবেন না, উঠে যাবেন না। বসে থেকে কর্মসূচি পালন করুন।

দেখা গেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন ডায়াসে দাঁড়িয়ে দলীয় প্রধানের বিদেশে চিকিৎসার দাবি করছেন তখন গণঅনশনে অংশগ্রহণকারীরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ‘সেলফি’ আর ‘ফটোসেশনে’ ব্যস্ত ছিলেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অধিকাংশই দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের চেনামুখ। নগরীর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম বিএনপির কমিটির নেতারাও পিছিয়ে ছিলেন না।

সকাল সোয়া ৯টায় মির্জা ফখরুল অনশনের সূচনা বক্তব্য শেষ করার পর প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি মাইকে এসে জানালেন, যারা দাঁড়িয়ে আছেন তারা কেউ সংহতি প্রকাশ করতে আসেননি। আজকের কমর্সূচি অনশনের। এরপর কেন্দ্রীয় নেতারা সামনে থেকে সরে গেলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই আবার সেলফি ও ফটো তুলতে অবস্থান নেয় নেতাকর্মীরা।

সিনিয়র নেতাদের পেছনে রেখে বিভিন্ন শাখার নেতাদের ছবি তোলার আগ্রহ ছিল বেশি। মুখে হাসি, হাতে ক্যামেরা, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের কয়েকশ গজ পর্যন্ত বিস্তৃত এ অনশন কর্মসূচিতে ছিল প্রতি মুহূর্তের চিত্র।

সকাল পৌনে ১০টার দিকে ফটোসেশনে ব্যস্ত ছাত্রদলের এক অনুসারী জানান, কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে অনশনের শুরু থেকে কালো চশমা চোখে দাঁড়িয়ে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছিলেন ছাত্রদলের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা। তার সঙ্গে তাল মেলাতে সংগঠনের এক সহ-সভাপতিসহ আরো কয়েকজনও ছিলেন সমরূপে।

যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিল চৌধুরীকে দেখা গেছে, পুরোটা সময় তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন অনশনে। অনুসারী কাউকে দিয়ে তিনি ছবি তোলাচ্ছেন, আবার কাউকে দিয়ে ভিডিও করাচ্ছিলেন।

লালবাগ থানা বিএনপির এক কর্মী এসেছেন অনশনে। নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক নেতা ভাড়া করে ফটোগ্রাফার ও ভিডিও ক্যামেরাম্যান নিয়ে এসেছেন। এগুলো ফেসবুকে, ইউটিউবে শেয়ার করা হবে।

সরেজমিনে, অনশনের প্রথম এক ঘণ্টাতেই ফটোসেশনের চিত্র চোখে পড়ে। অনেকে আঙুল তুলে ‘ভি চিহ্ন’ প্রদর্শন, দল বেঁধে ফটোসেশনসহ আরো উৎসাহমূলক কার্যক্রমেও অংশ নেয়। ফাঁকে কেউ কেউ আবার কমর্সূচির উল্টোদিকে বিএনপির ঢাকা মহানগর অফিসের সামনে চায়ের দোকানে কিংবা আশপাশের হোটেলে সেরে নিয়েছেন সকালের নাস্তাও।

কর্মসূচিতে দেখা গেলো আরো কিছু চিত্র। অনেক নেতাই টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানকে ডেকে নিয়ে খবরের ভিডিওতে নিজের মুখ দেখাতে বাড়তি আবদার করেছেন। অনশনে অনেকেই হাতে লেখা ব্যানার নিয়ে ফটো তোলায় তৎপর ছিলেন।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –