• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি থেকে পদত্যাগ করছেন সাক্কু

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২২  

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে শেষবারের মতো অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় সাক্কু লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। তাই নিজের শেষ নির্বাচনে লড়তে বিএনপির পদ থেকে পদত্যাগেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সোমবার (১৬ মে) শেষ কর্মদিবসে কুমিল্লা নগর ভবন থেকে বিদায় নেওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়ম সভায় এই কথা বলেন তিনি।

সাক্কু জানান, নিজের অসম্পূর্ণ কাজগুলো শেষ করার জন্যই শেষবারের মতো মেয়র পদে নির্বাচন করছেন তিনি। এছাড়া নগরবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, মেয়র যে-ই নির্বাচিত হোক না কেন, তাকে যেন সবাই সহযোগিতা করেন।

২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রথম কুসিক নির্বাচনে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে নাগরিক সমাজের ব্যানারে একবার এবং ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ বিএনপির মনোনয়নে ধানের শীষ প্রতীকে দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক মো. মনিরুল হক সাক্কু।  

এর আগে ২০০৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেয়র ছিলেন তিনি। সাক্কু আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। দলীয় কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ না করার অভিযোগে তাকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের সাক্কুকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

২০১২ সালের নির্বাচনে সাক্কু আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা প্রয়াত আফজল খানকে পরাজিত করেন। ২০১৭ সালে নির্বাচনে তারই মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে পরাজিত করেন তিনি। সীমা বর্তমানে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য।

এদিকে, ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ সর্বশেষ কুসিক নির্বাচন হলেও নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই বছরের ১৭ মে। আইন অনুযায়ী প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর হয় নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ। সে হিসেবে সোমবার (১৬ মে) ছিল কুসিকের মেয়র ও বিএনপি নেতা মো. মনিরুল হক সাক্কুর শেষ কর্মদিবস। দুই মেয়াদে টানা ১০ বছর ধরে মেয়রের চেয়ারে ছিলেন সাক্কু।  

সোমবার শেষ কর্মদিবসে সকাল থেকে কুসিকে সাক্কুর কার্যালয়ে বিভিন্ন ফাইল নিয়ে অপেক্ষা করেন কর্মকর্তারা। একে একে সেগুলো দেখে স্বাক্ষর করেন মেয়র সাক্কু। এদিন বিকেল ৫টায় কুসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বাড়ি ফিরেন তিনি। এ সময় কুসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমার বয়স হয়ে গেছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবারই শেষ নির্বাচন। ভব্যিষতে আর নির্বাচন করব না। গত ১০ বছর ধরে মেয়রের চেয়ারে আছি, এই সময়ে অনেক উন্নয়ন করেছি। উন্নয়ন কাজ একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমার এখনো অনেক কাজ বাকি, তাই তৃতীয়বার নির্বাচিত হয়ে অসম্পূর্ণ কাজগুলো শেষ করতে চাই। কুমিল্লাকে একটি মডেল সিটিতে পরিণত করতে চাই।  

সাক্কু আরো বলেন, বিএনপি এই নির্বাচনে আসবে না। তাই নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। কুমিল্লা মানুষ ও আমার কর্মী-সমর্থকদের অনুরোধে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এরই মধ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। মঙ্গলবার (১৭ মে) ফরম জমা দেব।

সাক্কু বলেন, মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করব। রাবেয়া আপার মাধ্যমেই দল থেকে অব্যাহতি চাইব। দল আমাকে অব্যাহতি দিক বা না দিক আমি কুমিল্লা সিটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচন করব।  

তবে আমি পদত্যাগ করলেও বিএনপির লোক হিসেবেই থাকব। কারণ বিএনপি আমার রক্তে মিশে আছে। আশা করছি এবারের নির্বাচনেও মানুষ আমাকে কুসিকের মেয়র হিসেবে বেছে নেবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ এপ্রিল কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৭ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ মে ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৬ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ মে এবং ভোটগ্রহণ ১৫ জুন।  

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –