• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পদ্মাসেতুর টোল নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে বিএনপি-জামায়াত

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২২  

সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচলের অপেক্ষায় যখন পুরো দেশ ঠিক তখনই সেতুর টোল নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিএনপি ও জোটের মিত্ররা।

জানা গেছে, পদ্মা পারাপারের দুর্ভোগের চূড়ান্ত অবসান হতে যাচ্ছে জুনেই। এরই মধ্যে যানবাহন ভেদে টোলের পরিমাণ জানিয়ে দিয়েছে সেতু বিভাগ। যেখানে বড় বাস ২ হাজার ৪০০ টাকা, মাইক্রোবাস ১ হাজার ৩০০ টাকা, ছোট ট্রাক ১ হাজার ৬০০, মাঝারি ট্রাক ২ হাজার ১০০, প্রাইভেট কার, জিপ ৭৫০ এবং মোটরবাইক ১০০ টাকা নির্ধারণ হয়েছে। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের অপপ্রচার শুরু হয়েছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য এ দেশিবিরোধী অপশক্তি টোলের পরিমাণ বেশি বলার চেষ্টা করছে।

দেশের নিজস্ব টাকায় নির্মিত বলে পদ্মাসেতু নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা অনেক এবং উচ্ছ্বসিত দেশের মানুষ। টোল নিয়েও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তেমন। সাধারণ মানুষ ফেরীপারের ভোগান্তি ছাড়া দ্রুত সময়ে পদ্মা পাড়ি দিতে পারবে ভেবেই খুশি। অনেকেই বলছেন, সেতু নির্মাণের খরচের টাকা দ্রুত উঠে যাওয়াই ভালো।

বাসচালক ও মালিকরা জানান, টোলের পরিমাণ নিয়ে তাদের বিন্দুমাত্র ভাবনা নেই। নিজের টাকায় সেতু নির্মাণ করা আমাদের দেশের জন্যে বড়  অর্জন। এই  সেতু উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তাই টোল সামান্য বেশি হলেও আপত্তি নেই। কারণ,  রাজস্ব-তো রাষ্ট্রীয় কোষাগারেই জমা হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সেতু হিসেবে পদ্মাসেতুর টোলের পরিমাণ মানানসই। পাশাপাশি সময়ের সঙ্গে জ্বালানিও সাশ্রয় করবে পদ্মাসেতু। সে হিসেবে পদ্মাসেতুর টোল মোটেও বেশি না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি ভেবেছিল আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মাসেতু করতে পারবে না। কিন্তু হাজার অপপ্রচার-বিভ্রান্তি ছড়িয়েও পদ্মাসেতুর নির্মাণ তারা রুখতে পারেনি।টোল নিয়ে তারা যে বর্তমানে  অপপ্রচার করছে এবং বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তাতেও তাদের  কোনো লাভ হবে না। কারণ দেশের মানুষ উন্নয়নের পক্ষে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –