• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও একজন মানবিক শেখ হাসিনা

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২১  

খায়রুল আলম
‘‘স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি৷ ঘরবাড়ি হারিয়ে যেসব রোহিঙ্গা এখানে এসেছেন, তারা সাময়িক আশ্রয় পাবেন৷ আপনারা যাতে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেন, সে ব্যাপারে চেষ্টা চলছে৷”

একজন রিফিউজির দুঃখ-কষ্ট তিনি বোঝেন। কারণ, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তিনি এবং তার ছোটবোন শেখ রেহানা রিফিউজি হিসেবে ছয় বছর বিদেশে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন।

২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে গিয়ে এভাবেই সান্ত্বনা দিয়েছিলেন মানবিক প্রধানমন্ত্রী ও মমতাময়ী শেখ হাসিনা।

ওই দিন তিনি শরণার্থীদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন৷ আহত এক শিশুসহ কয়েকটি শিশুর সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷ কথা বলেন কয়েকজন নারীর সঙ্গেও৷ প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুরা কেঁদে ফেলেন।

প্রধানমন্ত্রী তাদের কাছ থেকে অত্যাচার-নির্যাতনের কথা শোনেন৷ নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুরা কেঁদে ফেলেন৷ প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দেন এবং নিজেও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন৷

তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করে বলেছিলেন, এ দেশের ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারলে কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া ও খাওয়ানো কোনো কঠিন কাজ নয়। আর সেই ক্যাম্পের আশ্রয় ব্যবস্থাপনা দেখতে এ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা সেখানে গিয়েছিলেন পরের দিন, ১৩ তারিখে।

সে সময় শেখ হাসিনা মিয়ানমারকে ওই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ ও তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে চাপ দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই সাময়িক সময়ের জন্য আশ্রয় দিচ্ছি আমরা। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য এখানে সাময়িকভাবে থাকা-খাওয়া, চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সব কিছুর ব্যবস্থা করা হবে। আমরা আছি আর্তমানবতার সেবায়।’

একই বছর ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আবার জানান, বাংলাদেশ ধনী দেশ নয়। কিন্তু যদি আমরা ১৬ কোটি জনগণকে খাওয়াতে পারি, তবে আরও ৭ লাখ মানুষকেও খাওয়াতে পারব। আসলেই তিনি তার কথা রেখেছেন। গত ৪ বছর থেকে ১১ লাখ রোহিঙ্গার ভরণপোষণের দায়িত্ব এভাবেই পালন করে যাচ্ছেন তিনি।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী পৃথিবীর অন্যতম অত্যাচারিত এবং নিপীড়িত একটি জাতিসত্তার নাম। রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন কোনো নতুন বিষয় নয়। বিগত চার দশকের বেশি সময় বিষয়টি সাময়িক মনে করা হলেও এখন তা স্থায়ী সমস্যা হিসেবে বিরাট আকার ধারণ করেছে।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের অক্টোবর ও ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে আবার নতুন করে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণের উদ্দেশ্যে অনুপ্রবেশ করে। বর্তমানে কক্সবাজার জেলার উখিয়া, কুতুপালং ও টেকনাফ উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে। এক লাখের অধিক রোহিঙ্গার জন্য ভাসানচরে তৈরি করা হয়েছে সবচেয়ে বড় আধুনিক অস্থায়ী ভিত্তিতে আবাসন ব্যবস্থা।

যদিও বাংলাদেশ ১৯৫১ সালের জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়, তা সত্ত্বেও বিশ্বের অত্যাচারিত, নির্যাতিত ও নিপীড়িত এসব মানুষের পাশে সবসময় আছে। যার অন্যতম উদাহরণ আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ সরকার অব্যাহত রেখেছে তার মানবিক সাহায্য সহায়তা আর প্রত্যাবাসনের জন্য।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে তথাকথিত আরসা নাটকের মাধ্যমে রোহিঙ্গানিধন শুরু হলে পরবর্তী কয়েক মাসে দফায় দফায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের মতো বাংলাদেশ তখন সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গা জাহাজকে ফের সাগরে ঠেলে দিতে পারেনি। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। এছাড়া গত ৫০ বছরে আরও তিন দফায় প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে ঢুকেছে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশে এখন সাড়ে এগারো লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। প্রতিবারই সহিংসতা এড়াতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকলেও এসব সহিংসতা ও নিপীড়নের অভিযোগ সবসময়ই অস্বীকার করে গেছে মিয়ানমার সরকার।

জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো রোহিঙ্গাদের ওপর চলা জাতিগত নিধন নিয়ে সোচ্চার হলেও আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো যারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মোটাদাগে ভূমিকা রাখতে পারত তারা বাংলাদেশকে আশানুরূপ সহযোগিতা করেনি। তদুপরি বাংলাদেশের মতো এরকম ঘনবসতিপূর্ণ একটা দেশের পক্ষে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর দীর্ঘ মেয়াদে চাপ সামাল দেয়া অসম্ভব।

অপরদিকে, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট ধীরে ধীরে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে উঠছে। ফলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে মাঠে রেফারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া চীনের ভূমিকার ওপর ভরসা রাখে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম থেকেই চীন বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উপস্থাপনের পরিবর্তে দ্বিপক্ষীয় সমাধানের পক্ষে। যেন বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ভিন্নখাতে যায়। নিরাপত্তা পরিষদে তারা বার বার ভেটো প্রয়োগ করেছে, প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছে।

বিশ্বের নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র বিশ্বের শরণার্থী, সেই সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য যে মানবিকতা দেখিয়েছেন তা বিশ্ববাসীর কাছে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।

আজ বিশ্বদরবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ বা ‘মানবতার মা’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন।

নেদারল্যান্ডসের নামকরা ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন সাময়িকী তাদের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছিল ‘শেখ হাসিনা : মাদার অব হিউম্যানিটি’। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেয়ার সিন্ধান্ত নিয়ে লাখ লাখ নির্যাতিত মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনসহ স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে পাঁচ দফা এবং ৭৪তম অধিবেশনে চার দফা প্রস্তাব রাখেন।

এদিকে রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনায় দেশের সরকারি জনবল ব্যবহার হচ্ছে, সার্বিক পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, স্থানীয় জনগোষ্ঠী তাদের সুযোগ-সুবিধা হারাচ্ছে। সরকার সামাজিক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য মানবিক সাহায্যে খরচ করছে। সরকার তার বাজেটের একটি অংশ রোহিঙ্গাদের মানবিক কল্যাণে খরচ করছে। যদিও তাদের মানবিক সহায়তা কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অর্থ প্রদান করছে, তারপরও সরকার নিজস্ব তহবিল থেকেও ব্যয়নির্বাহ করছে।

সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য অব্যাহত রেখেছে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা। মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে আসা বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় ও মানবিক সাহায্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রয়োজীয় মানবিক সাহায্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের কার্যালয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা এসব কার্যক্রমে সমন্বয় করে। রোহিঙ্গা শিবির ক্যাম্পে আশ্রয়প্রার্থী এতিম শিশুর সংখ্যা চল্লিশ হাজারের অধিক, এদের প্রায় নয় হাজার শিশুর মা-বাবা কেউ নেই। এসব এতিম শিশুদের তত্ত্বাবধান ও সুরক্ষার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যেগে এতিম শিশুদের লালনপালনকারী পরিবারকে নগদ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

শেখ হাসিনা সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় এক লাখের অধিক রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী ভিত্তিতে আবাসন ব্যবস্থা করে ভাসানচরে। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের ভাসানচরের এ প্রকল্পে রয়েছে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আবাসন, স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপনের পাশাপাশি থাকছে জীবিকার নির্বাহে সুবিধাসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাদি। প্রায় তিন হাজার ৯৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় এক লাখের বেশি রোহিঙ্গার জীবন-জীবিকার জন্য তৈরি করা হয়েছে ভাসানচর আশ্রয়ণ-৩ প্রকল্প।

ভাসানচর বসবাসের উপযোগী করার জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, বনায়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রায় ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটারের এই দ্বীপের ছয় হাজার ৪২৭ একর ব্যবহারের উপযোগী ভূমির মধ্যে এক হাজার ৭০২ একর ভূমিতে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে বসানোর জন্য আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। আমাদের সরকার রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য কার্যক্রম প্রদানে সাধ্যমতো চেষ্টা করছে।

শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে ২০১৭ সাল থেকেই রোহিঙ্গাদের নির্যাতন-নিপীড়নের সমস্যা বিশ্বব্যাপী সুশীল সমাজের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে। তখন থেকে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আট নোবেলজয়ী ব্যক্তিত্ব রোহিঙ্গা গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে সু চিকে আহ্বান জানান। বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ শান্তিতে নোবেল বিজয়ীরা হলেন- শিরিন এবাদি, লেমাহ গবোযি, তাওয়াক্কল কারমান, মাইরিড মাগুয়ের, রিগোবার্তো মেনচু তুম , জোডি উইলিয়ামস ও কৈলাশ সত্যার্থি । জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান নিজে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ান এবং তাদের নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেন।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ান৷ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর বিশেষ দূত ও হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ও সহৃদয় নেতৃত্বদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন। মিয়ানমার থেকে নিপীড়িত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মালেশিয়ান হাইকমিশনার মাদাম নূর আশিকিন বিন্তী মো. তায়িব বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক বড় হৃদয়ের মানুষ। তিনি বিপুলসংখ্যক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন।

মানবতার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ায় সংবাদ সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস থেকে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে জাতিসংঘের সাবেক দুই মহাসচিব কফি আনান ও বুট্রোস ঘালি এবং ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মার্তি আহতিসারি এই সম্মাননা পেয়েছিলেন।

মানবতার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে লাখো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মানেও ভূষিত হয়েছেন।

লেখক: সাংবাদিক

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –