• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

পরিবর্তনের অগ্রদূত রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনা 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২১  

জনগণের অধিকার, সাংবিধানিক শাসন ও সুস্থ স্বাভাবিক রাষ্ট্রের প্রাণ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান অবিস্মরণীয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এ দেশকে বলেছিলেন, 'তলাবিহীন ঝুড়ি'। সেই 'তলাবিহীন ঝুড়ি'র দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে নিজের নাম লিখিয়েছে। পা রেখেছে উন্নয়নের মহাসড়কে, পৌঁছে গেছে অসীম দিগন্তহীন মহাকাশে। সব অর্জন সম্ভবপর হয়েছে জনগণের জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সুচিন্তিত ভাবনার ফলস্বরূপ। তিনি বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেন। স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবে রূপ পেয়েছে। বিশ্বের সবচাইতে দ্রুত বর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতির অংশ আজ বাংলাদেশ। এমনকি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিবেচনা করা হয় এশিয়ার 'ইমার্জিং টাইগার' হিসেবে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ, কৃষক রক্ষা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করে অস্থিতিশীল দেশকে শান্ত করা, যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনসহ অর্থনৈতিক গতিশীলতা আনয়ন। যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন সাহসী কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়ে আজ তা বাস্তবে রূপলাভ করছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের অন্যতম সফলতা পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ। শেখ হাসিনার নেতৃতে বাংলাদেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় মাইলফলক এটি। বিশ্বব্যাংকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজ দৃঢ়তায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করে জননেত্রী দেখিয়েছেন নেতৃত্বের দৃঢ়তা এবং বাংলাদেশের সক্ষমতা। বলা বাহুল্য যে, কূটকৌশলী ও ঘরের শত্রু বিভীষণরাও তারিফ করতে বাধ্য হয়েছে এ মহাকর্ম যজ্ঞের। সাম্প্রতিক সময়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছর চালু করা হবে। যদিও এ সেতু নির্মাণ সহজ ছিল না। বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা বহুমুখী সেতুকে বাস্তবে রূপ দিতে। মিথ্যা অভিযোগে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্প বাতিল করে দিয়ে শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশকে চাপের মুখে ফেলে। বঙ্গবন্ধুকন্যা ভেঙে পড়ার মানুষ নন। সিদ্ধান্ত নিলেন নিজস্ব উদ্যোগে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন। পরবর্তীতে কানাডার আদালতেই অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে উন্মোচিত হবে দক্ষিণ বাংলার অর্থনীতিসহ উন্নয়নের সকল দুয়ার এবং শক্তিশালী হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত। দক্ষিণ বঙ্গের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত সকল কার্যক্রম তাই এখন আবর্তিত হচ্ছে স্বপ্নময় এ সেতুকে ঘিরে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ঝলক ও সাহসিকতার আরেক উদাহরণ সমুদ্রসীমা বিজয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে চিরদিন। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানা নির্ধারণে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হয়েছিল ১৯৭৪ সালেই। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর সালিসি আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। ভারত ও মিয়ানমার সমদূরত্বের ভিত্তিতে সমুদ্রসীমা দাবি করায় বাংলাদেশের সাগর এলাকা মাত্র ১৩০ নটিক্যাল মাইলে সীমিত হয়ে পড়েছিল। ২০১২ সালের ১৪ মার্চ বাংলাদেশ জার্মানির হামবুর্গভিত্তিক সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে (ইটলস) আদালতে মামলার দুপক্ষসহ (বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) সকলের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী ন্যায্যতার ভিত্তিতে রায় দেয়ায় ২০০ নটিক্যাল মাইল অর্থনৈতিক এলাকা এবং তদুর্ধ্ব মহীসোপান এলাকায় বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা হয়। ভারতের সঙ্গে মামলায় হেগের আদালতেও এই সীমানা প্রতিষ্ঠিত হয়।

আন্তর্জাতিক আদালতে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মানবিক জায়গায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন আন্তর্জাতিক মহলে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে যেমন বিশ্বের কাছে নতুন করে মানবিক নেত্রী হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন তেমনি বাংলাদেশকেও মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। যে কারণে বিশ্বে তিনি এখন 'মাদার অব হিউম্যানিটি' হিসেবে পরিচিত।

মানবিক নেত্রী বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেখিয়েছেন নিজের দূরদর্শিতা। করোনা নিয়ন্ত্রণ এবং বিশেষত সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় বিস্ময়কর সাফল্য দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার দুটোই মাত্রার মধ্যে ছিল। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ যেখানে একদম শুরুতেই টিকা পায়নি সেখানে আমাদের দেশে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ টিকা গ্রহণ করেছে। ভ্যাকসিন কূটনীতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শী নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন। সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় টিকা পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নিয়েছেন গণটিকা কর্মসূচির। নিজের দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলস্বরূপ কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪ দেশের অনুপ্রেরণাদায়ী শীর্ষ তিন মহিলা নেতার মধ্যে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনাভাইরাস মহামারি সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলার স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ও বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোতলিও একই সম্মান পেয়েছেন। কভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন অসাধারণ নেতৃত্ব প্রদর্শনের জন্য কমনওয়েলথের শীর্ষ তিনজন অনুপ্রেরণাদায়ী মহিলা নেতাদের অন্যতম হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৩ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে সরকারী খরচে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দুই শতক জমির মালিকানাসহ সৌন্দর্যমণ্ডিত রঙিন টিনশেড পাকা বাড়ির স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এমনকি বিশাল এ অর্জনকে যারা ম্লান করার অপচেষ্টা চালিয়েছে তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়নি বঙ্গবন্ধু তনয়া।

গত ২৩ জানুয়ারি ঠিকানাবিহীন একদিনে প্রায় ৭০ হাজার গৃহহীন মানুষকে ঘর উপহার দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি শুধু নয়, বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছেন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। দুই দিন আগেও যারা ছিলেন সম্বলহীন তারা আজ নিজ বাড়ির মালিক। এমন মানবিক উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।

বিশেষভাবে উল্লেখ করতেই হয় মহাকাশ বিজয় এর কথা। লাল সবুজের এই পতাকাকে 'জয়বাংলা' স্লোগানে স্লোগানে মহাশূন্যে পৌঁছে জননেত্রী প্রমাণ করেছেন সময়ের প্রয়োজনে, সমৃদ্ধির মানদণ্ডে কেন তিনি সেরাদের সেরা। আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের নাম নতুন করে লেখার এই অর্জনটা নিশ্চয়ই অবিস্মরণীয় এক ঘটনা। ফলশ্রুতিতে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কের পাশাপাশি পৌঁছে গেছে অসীম দিগন্তহীন মহাকাশে। নেতৃত্বের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধির এক সোনালি প্রান্তে। উল্লেখ্য যে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ২০১৮ সালের ১২ মে মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে প্রথম বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন আরেকবার নতুন করে পূর্ণতা পায়।

এ ছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মেগা প্রকল্প মেট্রোরেল বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে যা চালু হলে কমে আসবে ঢাকা শহরের যানজট সমস্যা। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্প, মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পসহ বেশকিছু মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন ও ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, দুই ডজনের বেশি হাইটেক পার্ক এবং আইটি ভিলেজ নির্মাণের বিপুল কর্মকাণ্ড দ্রুত এগিয়ে চলেছে যা বাস্তবায়ন হলে বিশ্বে বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় আসীন হবে বলে বিশ্বাস করি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত যৌথ অনুষ্ঠানে বিশ্বনেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ সার্কভুক্ত ৬টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান সরাসরি অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা ভিডিও বার্তা ও শুভেচ্ছা বাণী পাঠান। বিশ্বনেতারা তাঁদের বক্তব্যে বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা, দক্ষতা ও সুদূরপ্রসারী চিন্তা-চেতনার ফলেই বাংলাদেশে সবদিক থেকে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং উন্নত সমৃদ্ধ দেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তাঁরা প্রশংসাসুলভ এ মন্তব্য করেন ১৬ কোটি মানুষের সাথে মানসিকভাবে একাত্ম হয়ে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের পেছনে তাঁরা শেখ হাসিনার ভূমিকাকে বড় করে দেখছেন।

সম্প্রতি জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক-এসডিএসএন পুরস্কার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা ও সবার জন্য শান্তি-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'ক্রাউন জুয়েল' বা 'মুকুট মণি' আখ্যায়িত করেছে আর্থ ইনস্টিটিউট, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অফ ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক। এই সম্মান বাংলাদেশের, এই সম্মান গর্বের। ডায়নামিক, ম‌্যাজিক‌্যাল নেতৃত্ব প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই এভাবে একের পরপর এক অর্জনে এভাবে সমৃদ্ধ হতে থাকবে বাংলাদেশ আর বিশ্বকে বিস্ময়ে ভাসিয়ে অর্জিত হবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ‌্য।

পরিশেষে একটি উপমা দিয়ে শেষ করতে চাই, প্রাচীন গ্রিক ও রোমান কাহিনিতে দেখা যেত প্রত্যেক রাজা প্রতি বছর তাদের নিজ নিজ রাজ্য থেকে একজন 'চ্যাম্পিয়ন' বাছাই করতেন, যার বীরত্ব ও অর্জন নিয়ে লেখা হতো ইতিহাস। জনপ্রিয় হয়ে উঠতেন চ্যাম্পিয়নরা। তেমনি প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের জন্ম যার হাত ধরে, সেই বঙ্গবন্ধুকন্যার মাধ্যমে আজ বাংলাদেশ সমুদ্র জয় থেকে শুরু করে অর্জন করেছে 'চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ'-এর মতো সম্মাননা। বঙ্গবন্ধুকন্যার সাহসী পদক্ষেপ এবং তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে সময়োপযোগী পরিবর্তনের সুবাতাস বইছে। ইতিহাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবেন উজ্জ্বল হয়ে, তাঁর কর্মময় অধ্যায় ইতিহাসের পাতায় রবে অম্লান এবং বঙ্গবন্ধুকন্যার বীরত্ব ও অর্জন অনুপ্রেরণা যোগাবে জাতিকে। শত বছরের নিষ্পেষিত জাতি মুখ থুবড়ে পড়তে পড়তে এবার উঠেছে জেগে। ইতিবাচক এ যাত্রাকে রোধে এ সাধ্য কার! ৭৫ পরবর্তী সময়ে ষড়যন্ত্রকারীরা পারে নি মহান মুক্তিযুদ্ধের অর্জিত চেতনা ও পিতা মুজিবের নাম মুছে ফেলতে, আজও তা পারবে না। কেননা, পিতা মুজিব জাতির অনুপ্রেরণার বাতিঘর। তিনি অমর, অবিস্মরণীয়। তাঁর তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে জাতিকে।

এন আই আহমেদ সৈকত

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –