যাপিত জীবনে মহানবী (সা.)-এর ব্যক্তিত্ববোধ
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২১
মহানবী (সা.)-এর নাতি হাসান ইবনে আলী (রা.) তাঁর মামা হিন্দ ইবনে আবি হালার [খাদিজা (রা.)-এর প্রথম ঘরের ছেলে] কাছে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি নিম্নোক্ত বর্ণনা দেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বদা উম্মতকে নিয়ে চিন্তিত থাকতেন এবং তাদের নিয়ে ভাবতেন। তাঁর কোনো অবসর ছিল না। বেশির ভাগ সময় চুপ করে থাকতেন, প্রয়োজন ছাড়া কথা বলতেন না। স্পষ্ট ভাষায় উঁচু আওয়াজে কথা বলতেন। নবীজি (সা.) অল্প শব্দ-বাক্যে বেশি মর্ম বোঝাতেন। তিনি সিদ্ধান্তমূলক কথা বলতেন—তাতে কোনো বাহুল্য থাকত না, তা সংক্ষিপ্ত হতো না। তিনি দুরাচারী ও ব্যক্তিত্বহীন ছিলেন না। আল্লাহর সামান্য নিয়ামতকেও তিনি গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করতেন। মহানবী (সা.) কোনো কিছুর নিন্দা করতেন না, এমনকি তিনি খাবারেরও ভুল ধরতেন না, আবার তার প্রশংসাও করতেন না। পৃথিবী ও পার্থিব বিষয়াশয় তাঁকে ক্ষুব্ধ করত না। যখন সত্যের ব্যাপারে কোনো সীমা লঙ্ঘন হতো তখন তাঁর সামনে কেউ দাঁড়াতে পারত না, যতক্ষণ না তিনি প্রতিকার করতেন। তবে তিনি কখনো ব্যক্তিগত বিষয়ে ক্ষুব্ধ হতেন না এবং ব্যক্তিগত কারণে প্রতিশোধও নিতেন না।
রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন ইঙ্গিত করতেন পুরো হাত দিয়ে ইঙ্গিত করতেন। বিস্মিত হলে হাত উল্টাতেন। কথা বলার সময় দুই হাত মেলাতেন। ডান হাতের তালু দিয়ে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে চাপ দিতেন। রাগান্বিত হলে পুরোপুরি বিমুখ হতেন। আনন্দিত হলে দৃষ্টি অবনত করতেন। বেশির ভাগ সময় মুচকি হাসতেন, ফলে তার শুভ্র বরফের মতো সুন্দর দাঁতগুলো প্রকাশ পেত। তিনি ছিলেন আত্মমর্যাদাশীল ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণকারী। তাঁর চেহারা মোবারক পূর্ণিমার চাঁদের মতো জ্বলজ্বল করত। তাঁর পায়ের উপরি ভাগ ছিল মসৃণ। দৃঢ়ভাবে কদম ফেলে চলতেন এবং বিনয়ের সঙ্গে দ্রুত হেঁটে যেতেন। যখন তিনি হাঁটতেন মনে হতো উঁচু-নিচু অসমতল ভূমি থেকে থেকে নেমে আসছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কারো দিকে তাকাতেন পুরোপুরি তাকাতেন। তিনি সাহাবিদের পেছনে পেছনে চলতেন এবং কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে প্রথমে সালাম দিতেন।
নবী করিম (সা.) অশালীন ও নির্লজ্জ ছিলেন না। তিনি রাস্তা-ঘাট ও বাজারে উঁচু আওয়াজে কথা বলতেন না। মন্দের প্রতিকার মন্দ দিয়ে করতেন না; বরং ক্ষমা করতেন, উপেক্ষা করতেন। আল্লাহর জন্য যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া ছাড়া তিনি কখনো কাউকে আঘাত করেননি। সেবক ও স্ত্রীদেরও তিনি কখনো প্রহার করেননি। (বর্ণনাকারী বলেন) আমি তাঁকে তাঁর প্রতি অবিচারকারীদের থেকে কখনো প্রতিশোধ গ্রহণ করতে দেখিনি, যতক্ষণ না আল্লাহর সীমা লঙ্ঘিত হতো। আল্লাহর সীমা লঙ্ঘিত হলে তিনি প্রচণ্ড রাগান্বিত হতেন। নবীজি (সা.)-কে যখন দুটি কাজের মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার ইচ্ছাধিকার দেওয়া হতো, তিনি সহজটি বেছে নিতেন। ঘরে তিনি সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতেন—কাপড় সেলাই করতেন, বকরির দুধ দোহন করতেন এবং নিজের কাজ নিজে করতেন।
তিনি অপ্রয়োজনীয় কোনো কথা বলতেন না। মানুষকে আপন করে নিতেন, দূরে ঠেলে দিতেন না। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের সম্মানিত ব্যক্তিকে সম্মান দিতেন এবং তাকে তাদের অভিভাবক নিযুক্ত করতেন। তিনি মানুষকে সতর্ক করতেন এবং তাদের থেকে নিজেও সতর্ক থাকতেন। তবে তিনি কারো সঙ্গে মলিন চেহারায় কথা বলতেন না এবং মন্দ আচরণ করতেন না। তিনি সঙ্গী-সাথির খোঁজ রাখতেন এবং সাধারণ মানুষের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইতেন। ভালোকে ভালো বলতেন এবং তার পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। মন্দকে মন্দ বলতেন এবং তা প্রতিহত করতেন। মধ্যমপন্থী ছিলেন এবং তাঁর কথায় কোনো বিরোধ ছিল না। তিনি উম্মতের ব্যাপারে কখনো অমনোযোগী হতেন না, যেন তাদের ভেতর উদাসীনতা তৈরি হয়ে না যায় বা তারা ক্লান্তি বোধ করে। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তিনি প্রস্তুত থাকতেন। সত্য থেকে কখনো পিছপা হতেন না এবং তা উপেক্ষাও করতেন না। মানুষের ভেতর সর্বোত্তম ব্যক্তিরাই ছিলেন তাঁর সঙ্গী। সাহাবিদের মধ্যে তিনিই তাঁর কাছে উত্তম ছিলেন, যিনি সবচেয়ে বেশি কল্যাণকামী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি মর্যাদাশীল ছিলেন, যে মানুষকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করতেন।
নবীজি (সা.) ওঠা-বসার সময় আল্লাহকে স্মরণ করতেন। কোনো বৈঠকে উপস্থিত হলে তার শেষ প্রান্তে (যেখানে জায়গা পেতেন) বসে যেতেন এবং অন্যদেরও এমনটি করার নির্দেশ দিতেন। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতেন। তাঁর বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সবাই নিজেকে সবচেয়ে সম্মানী মনে করত। কেউ কোনো প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে বা তাঁর সঙ্গে বসলে তিনি ধৈর্যসহ সময় দিতেন, যতক্ষণ না সেই ব্যক্তি উঠে যেত। কেউ তাঁর কাছে কিছু চাইলে তিনি তাঁর প্রয়োজন পূরণ করতেন অথবা তাকে কথা দিয়ে সান্ত্বনা দিতেন। নবীজি (সা.)-এর হাসিমুখ ও উত্তম আচরণ ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত। তিনি ছিলেন তাদের জন্য পিতৃতুল্য। অধিকার লাভের ক্ষেত্রে সব মানুষ তাঁর কাছে ছিল সমান। তাঁর বৈঠক ছিল জ্ঞান, লজ্জা, ধৈর্য ও আমানতদারিতার বৈঠক। সেখানে কারো আওয়াজ উঁচু হতো না, কারো সম্মান নষ্ট করা হতো না, কারো দোষচর্চা করা হতো না। অংশগ্রহণকারী সবাই ছিল সমান—তবে আল্লাহভীতির ভিত্তিতে মর্যাদা লাভ করত। তারা ছিল বিনয়ী। ফলে বড়দের প্রতি সম্মান ও ছোটদের প্রতি স্নেহ প্রকাশ করা হতো, যার প্রয়োজন আছে, তাকে প্রাধান্য দেওয়া হতো এবং ভিনদেশিদের ভালো-মন্দের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হতো।
উল্লেখ্য, হাদিসের প্রথম অংশ ইমাম তিরমিজি (রহ.) তাঁর ‘আশ-শামায়িলুল মুহাম্মাদিয়্যা’তে বর্ণনা করেছেন। অন্য অংশ হাদিসের অন্য কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। উল্লিখিত বিবরণটি সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.)-এর ‘মুখতারাত’ গ্রন্থ থেকে গৃহীত।
– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –- চিলমারীরতে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
- হারিয়ে যাচ্ছে লালঘাড় পেঙ্গা পাখি
- ফুলবাড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যু
- সব স্কুল-কলেজ ৭ দিন বন্ধ
- কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বেড়েছে ভুট্টা চাষ
- টেলিস্কোপ তৈরি করলো রাজারহাটের ফারাবী
- আপনি কি ঘুমের ভেতরে কথা বলেন?
- আইপিএলে পান্ডিয়াদের বিরুদ্ধে জোচ্চুরির অভিযোগ!
- শাবনূরের বিকল্প নেই: ডিপজল
- অপবিত্র জায়গায় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা, শরিয়ত কী বলে?
- টেকসই কৃষি ব্যবস্থা প্রচলনে সরকার কাজ করছে: স্পিকার
- প্রত্যেকের উচিত প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করা: গণপূর্তমন্ত্রী
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে
- দেশে তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- গরম আরো বাড়ার শঙ্কা
- প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন: অর্থমন্ত্রী
- নিষিদ্ধ যানে সড়কে মৃত্যুর মিছিল
- মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি পৌঁছাবে তাপমাত্রা
- সম্মানী বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের
- প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস, আগামী দুদিন যেমন যাবে আবহাওয়া
- ‘শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন’
- ইসরায়েলের হামলাকে স্বীকার করছে না ইরান
- তীব্র তাপদাহেও যেভাবে ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা
- বিএনপি পথহারা পথিক: ওবায়দুল কাদের
- আওয়ামী লীগ প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কিছু করেনি: প্রধানমন্ত্রী
- মারা গেছেন জাতীয় পতাকার নকশাকার মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস
- আইপিএল থেকে চাইলেও যে কারণে যেতে পারেননি বাংলাদেশি এক ক্রিকেটার
- জুম্মাবার ও নামাজের গুরুত্ব
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- দিল্লী হাইকমিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত
- চিলমারীতে অষ্টমীর স্নান উৎসবে এসে পুরোহিতের মৃত্যু
- ৫ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস
- মূল্যস্ফীতি কমানোর প্রক্রিয়া হলো সুদহার বাড়ানো: প্রতিমন্ত্রী
- মেয়র মোহাম্মদ হানিফের জন্মদিন আজ
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- জুমার দিনের বিশেষ আমল
- প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার নামই জীবন
- ২২তম তারাবিতে যা পড়া হবে
- নাগেশ্বরীতে ৬ টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার
- যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ
- দেশের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- কুড়িগ্রামে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- গাজীপুর-এয়ারপোর্ট রুটে খুলেছে ৭ ফ্লাইওভার
- থিম্পুতে ডি-সুং স্কিলিং প্রোগ্রাম প্রশিক্ষণকেন্দ্র পরিদর্শন
- বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী
- রংপুরে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫
- মির্জা ফখরুলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
- বাংলাদেশে ঈদ কবে, জানালো আবহাওয়া অফিস