• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

কেমন হবে হাশরের মাঠ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২১  

কিয়ামতের দিন যে মাঠে পৃথিবীর আদি-অন্ত সব মানুষকে সমবেত করা হবে ওই মাঠকে হাশরের মাঠ বা কিয়ামতের ময়দান বলা হয়। পরকালে বিচারের জন্য কবর থেকে উত্থিত হয়ে সব প্রাণী এই মাঠে দণ্ডায়মান থাকবে। পৃথিবীই হবে হাশরের মাঠ। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর উপরিভাগে একটি চাদর আছে, একে পার্শ্ব ধরে টান দেওয়া হবে। ফলে গাছপালা, পাহাড়-পর্বত সাগরে পতিত হবে। অতঃপর সমতল হয়ে যাবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি (আল্লাহ) জমিনের উপরিভাগকে (বিচার দিবসে) উদ্ভিদশূন্য মাটিতে পরিণত করে দেব।’ (সুরা কাহফ, আয়াত : ৮)

হাশরের ময়দানে মানুষ একটি নতুন পৃথিবী দেখতে পাবে, যার চিত্র ও দৃশ্য এই পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে দিন এই পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে অন্য পৃথিবী হবে এবং আকাশও (পরিবর্তিত হবে) আর মানুষ উপস্থিত হবে আল্লাহর সামনে—যিনি এক, পরাক্রমশালী।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ৪৮)

আকাশ ও পৃথিবী পাল্টে দেওয়ার এমন অর্থও হতে পারে যে এগুলোর আকার ও আকৃতি পাল্টে দেওয়া হবে। সে সময় গোটা ভূ-পৃষ্ঠ একটি সমতল ভূমিতে পরিণত করে দেওয়া হবে। এতে কোনো গৃহের ও বৃক্ষের আড়াল থাকবে না। পাহাড়, টিলা, গর্ত ও গভীরতা কিছুই থাকবে না। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘অতঃপর পৃথিবীকে মসৃণ সমতল ভূমি করে ছাড়বেন। তুমি তাতে মোড় ও টিলা দেখবে না।’ (সুরা ত্বহা, আয়াত : ১০৬ ও ১০৭)

কিয়ামতের দিন জমিনের সব স্বচ্ছ ও পরিষ্কার হয়ে যাবে। সাহল ইবনে সাদ সাঈদ (রা.) থেকে, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন মানুষকে সাদা ধবধবে রুটির মতো জমিনের ওপর একত্র করা হবে। অন্য বর্ণনায় এসেছে, সেখানে কারো কোনো পরিচয়ের পতাকা থাকবে না। (বুখারি, হাদিস : ৬৫২১)

হাশরের মাঠে একজন দর্শক সবাইকে দেখতে পাবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী (সা.)-এর সঙ্গে এক খাবারের দাওয়াতে উপস্থিত ছিলাম। তাঁর সামনে (রান্না করা) ছাগলের বাহু আনা হলো, এটা তাঁর খুব পছন্দনীয় ছিল। তিনি সেখান থেকে এক খণ্ড খেলেন এবং বললেন, আমি কিয়ামতের দিন মানবজাতির সরদার হব। তোমরা কি জানো? আল্লাহ কিভাবে (কিয়ামতের দিন) একই সমতলে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সব মানুষকে একত্র করবেন? যেন একজন দর্শক তাদের সবাইকে দেখতে পায় এবং একজন আহ্বানকারীর আহ্বান সবার নিকট পৌঁছায়। সূর্য তাদের অতি কাছে এসে যাবে। তখন কোনো কোনো মানুষ বলবে, তোমরা কি লক্ষ করোনি, তোমরা কি অবস্থায় আছ এবং কী পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছ...। (বুখারি, হাদিস : ৩৩৪০)

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –