• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় কি দোয়া পড়তে হয়?

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২২  

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বৃষ্টি দেখতেন তখন বলতেন, “আল্লাহুম্মা, সায়্যিবান নাফিআ’’ (হে আল্লাহ, এ যেন হয় কল্যাণকর বৃষ্টি)। [সহীহ বুখারি, ১০৩২]
আবু দাউদের বর্ণনায় (৫০৯৯) হাদিসটির ভাষা হচ্ছে- “আল্লাহুম্মা, সায়্যিবান হানিআ’’ (হে আল্লাহ, এ যেন হয় তৃপ্তিদায়ক বৃষ্টি)। [আলবানি হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন]

الصيب (আল-সায়্যিব) শব্দের অর্থ হচ্ছে- প্রবহমান ও চলমান বারিধারা। শব্দটি صابيصوب থেকে উদ্ভূত; যার অর্থ হচ্ছে- নামা। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, أَوْ كَصَيِّبٍ مِنَ السَّمَاءِ (অর্থ- আকাশ থেকে অবতীর্ণ বারিধারার মতো) [সূরা বাকারা, আয়াত: ১৯] এ শব্দটি فيعل এর ওজনে الصوب শব্দ থেকে গঠিত হয়েছে।

বৃষ্টিতে বের হওয়া, শরীরের কিছু অংশ বৃষ্টিতে ভেজানো সুন্নত। আনাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে এসেছে তিনি বলেন: একবার আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে ছিলাম; তখন আমাদেরকে বৃষ্টি পেল। তিনি বলেন, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার গায়ের পোশাকের কিছু অংশ সরিয়ে নিলেন যাতে শরীরে বৃষ্টি লাগে। তখন আমরা বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি কেন এমনটি করলেন? তিনি বললেন, “কারণ বৃষ্টি তার প্রতিপালকের কাছ থেকে সদ্য আগত”। [সহিহ মুসলিম (৮৯৮)]

যখন প্রবল বৃষ্টি হত তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন: “আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা, ওয়া লা আলাইনা, আল্লাহুম্মা আলাল আ-কাম ওয়ায যুরাব ওয়া বুতুনিল আওদিআ ওয়া মানাবিতিস শাজার” (অর্থ- হে আল্লাহ! আমাদের আশপাশে বৃষ্টি দিন, আমাদের উপরে নয়। হে আল্লাহ! পাহাড়-টিলা, খাল-নালা এবং উদ্ভিদ গজাবার স্থানগুলোতে বৃষ্টি দিন।)[সহিহ বুখারী (১০১৪)]

পক্ষান্তরে, বজ্রপাত শুনে যে দোয়া পড়তে হয়, আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের (রা.) থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, তিনি বজ্রপাতের সময় কথা বন্ধ রাখতেন এবং বলতেন: وَيُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلَائِكَةُ مِنْ خِيفَتِهِ (অর্থ-তার প্রশংসা পাঠ করে বজ্র এবং সব ফেরেশতা, সভয়ে।) [সূরা রাদ, আয়াত: ১৩] এরপর বলেন, এটি দুনিয়াবাসীর জন্য চরম হুমকি। [আদাবুল মুফরাদ (৭২৩), মুয়াত্তা মালেক (৩৬৪১) ইমাম নববী ‘আল-আযকার’ গ্রন্থে (২৩৫) এবং আলবানি ‘সহিহ আদাবুল মুফরাদ’ গ্রন্থে (৫৫৬) হাদিসটির সনদকে সহিহ বলেছেন]

এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত কোনো মারফু হাদিস আমাদের কোনো জানা নেই। অনুরূপভাবে আমাদের জানা মতে, বজ্রপাত দেখলে পঠিতব্য কোনো দোয়া বা জিকিরও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়নি।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –