রাসূলুল্লাহ (সা.) এর দোয়ায় এখনো বেঁচে আছে যে গাছ
প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ছবিতে যে গাছটি দেখা যাচ্ছে তা কোনো সাধারণ গাছ নয়। এই গাছটি এখন থেকে প্রায় ১৫০০ বছর আগের ঐতিহাসিক সাহাবি গাছ! ৫৮২ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বয়স যখন ১২ বছর। তখন তিনি তার চাচা আবু তালিবের সঙ্গে বাণিজ্য করতে মক্কা থেকে শাম দেশ বর্তমান সিরিয়ার উদ্দেশ্য যাত্রা করেন। যাত্রাপথে তারা সিরিয়ার অদূরে জর্ডান এসে উপস্থিত হন। এই এলাকাটি তখন ছিল শত শত মাইলব্যাপী উত্তপ্ত বালু কণাময় মরুভূমি।
চাচার সঙ্গে রাসূল (সা.) মরুভুমি পাড়ি দিতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তারা একটু বিশ্রামের সন্ধান করছিলেন কিন্তু আশপাশের কোনো গাছ বা ছায়া পাচ্ছিলেন না। তখন তারা কিছু দূরে পাতাবিহীন মৃত প্রায় একটি গাছ দেখতে পেলেন। এই গাছটির নিচে কেউ বসতে পারতো না। কিন্তু কোনো উপায় না পেয়ে ক্নান্ত নবীজি ও তার চাচা মৃত প্রায় পাতাহীন গাছটির নীচে বসেন বিশ্রাম নিতে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের রহমতে তখুনি সবুজ পাতায় ভরে যায় গাছটি।
এই ঘটনা দূর থেকে দেখেন জারজিস ওরফে বুহাইরা নামের একজন খৃষ্টান পণ্ডিত। তিনি নবীজির চাচার কাছে এসে বললেন, আমি এতদিন এখানে আছি এবং যা দেখেছি কেউ এই গাছের নিচে বসতে পারেনি এবং এই গাছের কোনো পাতা ছিল না।
খৃষ্টান পন্ডিত জিজ্ঞেস করলেন: এই ছেলেটির নাম কী?
চাচা বললেন, মোহাম্মাদ।
তিনি আবার জিজ্ঞস করলেন: তার বাবার নাম কী?
নবীজির চাচা উত্তর দিলেন আব্দুল্লাহ।
তিনি আবার জিজ্ঞসে করলেন: তার মাতার নাম কী?
চাচা এবার জবাব দিলেন আমিনা।
বালক মুহাম্মাদ (সা.)-কে দেখে, তার সঙ্গে কথা বলে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পাদ্রীর চিনতে আর বাকী রইলো না যে এই সে বহু প্রতিক্ষীত শেষ নবী, ইতিহাসের গতি পরিবর্তকারী, আরবসহ সমগ্র পৃথিবী থেকে পৌত্তলিকতার বিনাশকারী, একত্ববাদকে শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠাকারী। সঙ্গে সঙ্গে খৃষ্টান পন্ডিত বললেন, আমি পড়েছি ইনি হলেন ইসলাম ধর্মের শেষ নবী হজরত মোহাম্মাদ (সা.)।
আল্লাহ তাআলার ইশারায় সাহাবি গাছটি নবীজিকে নিরাপদ আশ্রয় দান করেছিল। আজও সেই গাছটি বেঁচে আছে। এই গাছটি একমাত্র জীবিত ‘সাহাবি গাছ’ হিসেবে পরিচিত। এই গাছটির নিচে এর আগে কখনো কেউ বসতেও পারেনি! এই গাছটির অলৌকিকতা মনে করিয়ে দেয় সৃষ্টিকর্তা বলে একজন আছেন। তারই রহমতে বেঁচে আছে গাছটি। কালের পর কাল, যুগের পর যুগ শত শত বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে একটি গাছ।
পৃথিবী সৃষ্টির পর নানা রকম অলৌকিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেছেন মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা। সেই সৃষ্টির পুনরাবৃত্তির অংশ হচ্ছে ঐতিহাসিক সাহাবী গাছ। ইংরেজিতে এই গাছটিকে বলা হয় ‘the blessed tree’। ভাবা যায় চারদিকে ধু ধু মরুভূমির বুকে দাঁড়িয়ে আছে একটি গাছ ৷ সাহাবি গাছটির আশেপাশে শত বর্গ কিলোমিটার জুড়ে কোনো গাছ পালার অস্তিত্ব না থাকলেও এই গাছটি এখনো বেচেঁ আছে। পৃথিবীতে এত পুরুনো কোনো গাছ এখনো বেঁচে আছে তা বিশ্বাসযোগ্য না হলেও এটি একটি সত্য ঘটনা।
অবিশ্বাস্য এই গাছটি আছে জর্ডানের মরুভূমির প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাফাঈ এলাকায়। জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ এই স্থানটিকে পবিত্র স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং স্থানটিকে বিশেষভাবে সংরক্ষণ করেন। বিশেষ দিনেগুলোতে প্রচুর লোক সমাগম ঘটে গাছটি দেখার জন্য।
সাহাবি গাছটিকে কেন্দ্র করে এখানে আগতরা গাছের নিচে নামাজ আদায় করে থাকেন। প্রচুর লোক সমাগম হলে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করে থাকেন তারা। এছাড়াও ধু ধু মরুভূমির বুকে সাহবি গাছের তলাটি সুশিতল বিশ্রামের স্থান। যা মানুষের মনে প্রশান্তি এনে দেয়।
জানা যায়, এখান থেকে চলে যাওয়ার আগে গাছটির জন্য দোয়া করেছিলেন দয়ার নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –- রংপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে ছাত্রলীগ সভাপতি
- বাদামের বস্তায় মিলল ফেনসিডিল, যুবক গ্রেফতার
- দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর
- ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে’
- বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার আগেই সরে দাঁড়ালেন হাফিজ
- ভিডিও বার্তায় বেঁচে থাকার কারণ জানালেন পরীমনি
- ‘ভিক্ষা’ ইসলামে অপছন্দনীয় কাজ
- অক্টোবরে শুরু দেশের ১ম ‘স্টিল আর্চ সেতু’ নির্মাণ
- পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনা রোধে হটলাইন নম্বর চালু
- স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান
- হারিয়ে গিয়ে ৯৯৯ এ ফোন, উত্তাল সমুদ্র থেকে ২৯ জেলে উদ্ধার
- তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধন হওয়া প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
- বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্তে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে: সিআইডি প্রধান
- লোকজ সংস্কৃতি সংরক্ষণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে
- ভিয়েতনাম বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু: স্পিকার
- ‘বাজেট স্বল্পতায় পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ’
- পুনাককে ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে ছড়িয়ে দিতে হবে: আইজিপি
- ইইউ পর্যবেক্ষক না এলে নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না
- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম: স্পিকার
- ইরানে হিজাব ছাড়া বের হলে ১০ বছর কারাদণ্ডের বিল পাস
- কাজের নামে পরিবেশ ধ্বংস করা যাবে না: পার্বত্যমন্ত্রী
- দুপুরের মধ্যে ১৮ জেলায় তীব্র ঝড়ের পূর্বাভাস
- কুড়িগ্রাম জেলার বন্যা পরিস্থিতি
- প্রথম চালানে ভারতে গেলো ৪৫ টন পদ্মার ইলিশ
- নদী রক্ষায় বিবিএনজেতে স্বাক্ষর করলেন প্রধানমন্ত্রী
- সালাহউদ্দিন জাকীর প্রয়াণ অপূরণীয় ক্ষতি: তথ্যমন্ত্রী
- একদিনে ৯ জনের করোনা শনাক্ত
- হাজার কোটি টাকা ছাড়াল পদ্মা সেতুর টোল আদায়
- মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল হস্তান্তর
- ভারত থেকে এলো ৫৩ হাজার ২৫০ ব্যাগ স্যালাইন
- বাংলাদেশ-ফ্রান্স সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হবে
- ১২ কোটি টাকা অনুদান পেল ৪০৩৬ স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি
- শের আলী হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা লাভলু গ্রেফতার
- অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: কাদের
- চার মিনিটে ২ গোল হজম, তবুও জয় পেল ইউনাইটেড
- গ্যাস সরবরাহে পাল্টে যাবে রংপুরের অর্থনীতি
- আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে আছি: কৃষিমন্ত্রী
- ঢাকায় পর্যটন অফিস খুলছে সৌদি
- নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : চীনা রাষ্ট্রদূত
- সৈয়দপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
- প্রবাসীদের কাছে নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সাফল্য, বাংলাদেশকে পুরস্কৃত করলো যুক্তরাজ্য
- ‘স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে’
- আগস্টে দেশব্যাপী ১৬৬৭ অগ্নিকাণ্ড, ঢাকাতেই ১২৮টি
- নীলফামারীতে একদিনে শিশুসহ ৩ মরদেহ উদ্ধার
- স্থায়ী সম্পত্তির মালিক হতে সরকারের অনুমোদন লাগবে বিদেশি সংস্থার
- অনলাইনে অবৈধ আর্থিক লেনদেন নিরসনে করণীয় নির্ধারণ
- রৌমারী ইউএনওর নম্বর ক্লোন করে চাঁদা দাবি
- পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে আরও ১৬ কোটি টাকা প্রণোদনা
- ওয়াজেদ মিয়ার নামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে নাটোরে