• মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৩০ ১৪৩১

  • || ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সার্বজনীন উত্তম আদর্শ ও চারিত্রিক গুণাবলি

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সার্বজনীন উত্তম আদর্শ ও চারিত্রিক গুণাবলি                   
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা বলেন- لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ  اللَّهَ كَثِيرًا    

উচ্চারণ: ‘লাকাদ কা-না লাকুমফীরাসূলিল্লা-হি উসওয়াতুনহাসানাতুল লিমান কা-না ইয়ারজুল্লা-হা ওয়াল ইয়াওমাল আখিরা ওয়া যাকারাল্লা-হা কাসিরা’। 

অর্থ: ‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্য রাসূলের অনুসরণের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ’। (সূরা: আহযাব, আয়াত: ২১)

ইসলামের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে মহানবী (সা.) পৃথিবীতে আগমন করেছেন। ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায়, জাতিধর্ম নির্বিশেষে গোটা মানবজাতির জন্য প্রয়োগ যোগ্য সার্বজনীন উত্তম আদর্শ ও কল্যাণ নিয়ে দুনিয়ায় আগমন করেছেন রাহমাতুললিল আলামিন মহানবী (সা.)।

তিনি ছিলেন সর্বোত্তম আদর্শ। তার বাণীর সার্বজনীনতার আওতায় মুমিনগণ তো বটেই, এমনকি গোটা বিশ্ব, জীব-জন্তু, কীট-প্রতঙ্গ, নিসর্গ জগত, সকল মাখলুকাত কল্যাণ ও শান্তির আশ্বাস পায়।

প্রিয়নবী (সা.) সারা সৃষ্টি জগতের জন্য কল্যাণ ও শান্তির শ্রেষ্ঠ বার্তাবাহী, বিশ্বজগতের জন্য রহমত। এব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি তো আপনাকে প্রেরণ করেছি বিশ্বজগতের জন্য রহমত সরুপ’। (সূরা: আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)

> রাসূলুল্লাহর (সা.) এর চরিত্র-মাধুরী: মুহাম্মদ (সা.) হলেন মহান চরিত্রের অধিকারী ও আদর্শের জীবন্ত প্রতীক। জন্মের পর হতেই তার মাঝে বিরাজ করেছিলো সর্বোত্তম চরিত্র মাধুরী, সর্বোত্তম আদর্শ, মহৎ মানুষ ও সর্বোত্তম প্রতিবেশি ইত্যকার মহত্তম, গুণাবলী। বাল্যকাল থেকেই তার স্বভাব ছিল কলুষতা, কাঠিন্য, কর্কশতা ও অহংকার থেকে মুক্ত। তিনি ছিলেন, দয়াশীল, শ্রদ্ধাশীল, সহানুভূতিশীল ও ঔদার্যশীল এবং নিষ্কুলুস ও নির্ভেজাল মহামানব। শৈশব থেকে মহানবী (সা.) সত্যবাদী ও ন্যায়নিষ্ঠ ছিলেন। তাই আরবের সকলে মিলে তাঁকে আখ্যা দিয়েছিল আল আমিন।

সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মহানবী (সা.) এর উপর আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআন নাজিল করেন। তাকে পরিপূর্ণ দ্বীন ইসলাম উপহার দিয়ে বিশ্ববাসীকে ডেকে বলেছেন, তার চরিত্রের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ। তাই ইসলাম ধর্ম হলো আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নাজিলকৃত সকল ধর্মের শেষ ধর্ম, বিশ্ব ধর্মের সর্বশেষ সংস্করণ, রাসূলুল্লাহ (সা.) ছিলেন তেমনি সর্বশেষ ঐশী বাণীবাহক। তাই দেখা যায় ইসলাম একমাত্র ধর্ম যেখানে সকল ধর্মের সুন্দরতম গুণগুলোর পূর্ণতম বিকাশ সম্ভবপর হয়েছে।

আর মহানবী (সা.) এর চরিত্র-বৈশিষ্ট ও সকল নবী রাসূলদের শ্রেষ্ঠ গুণাবলীর অভূর্তপূর্ব সমাবেশ ঘটেছে। মহানবী (সা.) এর মধ্যে ছিল আদম (আ.) এর তত্তবা ও ক্রন্দন, নূহ (আ.) এর দাওয়াতী চরিত্র ও কষ্ট সহিষ্ণুতা, মুসা (আ.) এর সংগ্রামী জীবন ও পৌরুষ, ইব্রাহিম (আ.) এর একত্ববাদ, ত্যাগ ও কোরবানি, ইসমাঈলের সবর, সত্যবাদীতা ও আত্মত্যাগ, হারুন (আ.) এর কোমলতা, দাউদ (আ.) এর যাদুময় সুমিষ্টকণ্ঠ, শুকর ও সাহসিকতা, সুলাইমানের রাষ্ট্র পরিচালনা, বিচার জ্ঞান ও ঐশ্বর্য, সালেহ (আ.) এর বিনীত প্রার্থনা, ইয়াকুব (আ.) এর ধৈর্য, ইউছুফ (আ.) এর দৈহিক সৌন্দর্য, চারিত্রিক মাধুর্য, শুকর, সবর ও সেনানায়কত্ব, ইউনুছ (আ.) এর অনুশোচনা ও আফসোস, যাকারিয়া (আ.) এর কঠোরশ্রম, ইয়াহহিয়া এর সরলতা, আইউব (আ.) এর কঠোর ধৈর্য, যাকারিয়া, ইলিয়াছ ও ঈসা (আ.)-এর যুহদ বা দুনিয়া ত্যাগ, ঈসা (আ.) এর দারিদ্রতা ও অমায়িকতা ইত্যাদি লাখ পয়গাম্বরের লাখ বৈশিষ্ট্যকে আল্লাহ তাআলা আখেরি রাসূলের আখলাকে হাসানার মধ্যে এইভাবে জমা করে দিয়েছেন।

যেমন- সকল নবী রাসূলের তামাম সহীফা ও কিতাব সমূহকে আখেরি নবীর উপর নাযিলকৃত পবিত্র কোরআনু কারিমের মধ্যে সন্নিবেশিত করে দিয়েছেন। এ কারণে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘ঐ সকল নবী রাসূলদেরকে আল্লাহ সঠিক পথ দেখিয়েছেন। আপনি তাদেরই পথ অনুসরণ করেন’।

হিম্মত, দৃঢ়তা, সাহস, ধৈর্য, কৃতজ্ঞতা, নির্ভরতা, ভাগ্যের ওপর সন্তুষ্টি, বিপদ সহ্য করা, ত্যাগ, অল্পে তুষ্টি, স্বাবলম্বিতা, কোরবানি, দানশীলতা, নম্রতা, উন্নতি ও অনুন্নতি, এবং ছোট ও বড় সব রকমের নৈতিক বৃত্তি, সবগুলো একসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নিকট পাওয়া যেত। সকল বিষয়ে সঠিক মনোভাব, ও পুর্ণাঙ্গ নৈতিকতার সমাবেশ দেখা যায় একমাত্র মুহাম্মাদ (সা.) এর জীবনে। সুতরাং যদি তুমি ধনী হয়ে থাক, তাহলে মক্কার ব্যবসায়ী ও বাহরাইনের অর্থশালী মুহাম্মদ (সা.) এর অনুগামী হও। যদি তুমি গরিব হয়ে থাক, তাহলে আবু তালেব গিরি সঙ্কটের কয়েদী ও মদিনার প্রবাসীর অবস্থা শ্রবণ কর। যদি তুমি বাদশাহ হয়ে থাক, তাহলে কুরাইশদের অধিপতি মুহাম্মাদ (সা.)-কে এক নজর দেখ। যদি তুমি বিজয়ী হয়ে থাক, তাহলে বদর ও হুনাইনের সিপাহসালারের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ কর। যদি তুমি পরাজিত হয়ে থাক, তাহলে উহুদ যুদ্ধ থেকে শিক্ষা গ্রহণ কর। যদি তুমি শিক্ষক হয়ে থাক, তাহলে মদিনার ‘সুফফার’ পরে শিক্ষালয়ের মহান শিক্ষকের প্রতি দৃষ্টিপাত কর। যদি তুমি ছাত্র হয়ে থাক, তাহলে জিব্রাঈলের সম্মুখে উপবেশনকারীর দিকে তাকাও। যদি বক্তৃতা ও উপদেশ দানকারী হয়ে থাক, তাহলে মদিনার মসজিদে মিম্বরের ওপর দন্ডায়মান মহান ব্যক্তি মুহাম্মাদ (সা.) এর কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুন। যদি তুমি নিঃসঙ্গ ও অসহায় অবস্থায় সত্যের প্রতি আহবানকারীর দায়িত্ব পালন করতে চাও, তাহলে মক্কার সহায়-সম্বলহীন নবীর আদর্শ তোমার জন্য আলোকবর্তিকার কাজ করবে। যদি তুমি আল্লাহর অনুগ্রহে শত্রুদের পরাজিতও বিরোধীদের দূর্বল করতে সক্ষম হয়ে থাক, তাহলে মক্কা বিজয়ী মুহাম্মদ (সা.) এর ক্ষমার আদর্শ অনুসরণ কর। যদি তুমি নিজের কারবার এবং পার্থিব বিষয়াবলীর ব্যবস্থাপনা ঠিক করতে চাও, তাহলে বনী নাযীর খায়বার ও ফিদাকের ভু-সম্পত্তির মালিক মুহাম্মাদ (সা.) এর কাজ কারবার ও ব্যবস্থাপনা দেখ। যদি তুমি এতিম হয়ে থাক, তাহলে মক্কার আবদুল্লাহ ও আমিনার কলিজার টুকরাকে ভুল না।

যদি শিশু হয়ে থাক, তাহলে হালিমা সাঈদার আদরের দুলালকে দেখ। যদি যুবক হয়ে থাক, তাহলে মক্কার মেষ পালকের জীবনী পাঠ কর। যদি ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ী হয়ে থাক, তাহলে বসরা সফরকারী দলের অধিনায়কের দৃষ্টান্ত অনুসরণ কর। যদি আদালতের বিচারক ও পঞ্চায়েতের বিবাদ মীমাংসাকারী হয়ে থাক, তাহলে কাবা গৃহে সূর্যকিরণ প্রবেশের পূর্বে প্রবেশকারী এবং ‘হাজরে আসওয়াদকে’ পূনঃ স্থাপনজনিত বিবাদ মীমাংসাকারীকে দেখ। মদিনার কাঁচা মসজিদের বারান্দায় উপবেশনকারী বিচারকের দিকে নজর কর, যার দৃষ্টিতে বাদশাহ ফকির, আমির-গরিব সব সমান ছিল।

যদি তুমি স্বামী হয়ে থাক তাহলে খাদিজা (রা.) ও আয়শার (রা.) মহান স্বামীর পবিত্র জীবন অধ্যায়ন কর। যদি তুমি সন্তানের পিতা হয়ে থাক, তাহলে ফাতেমার পিতা এবং হাসান হুসাইনের নানার অবস্থা জিজ্ঞেস কর। বস্তুত তুমি যাই হও না কেন এবং যে অবস্থায় থাক না কেন, তোমার জীবনের জন্য আদর্শ, তোমার চরিত্র সংশোধনের উপকরণ, তোমার অন্ধকার গৃহের জন্য আলোক বর্তিকা ও পথ নির্দেশক মুহাম্মাদ (সা.)। তাই ঈমানী আলোক বর্তিকার অনুসন্ধানরত প্রতিটি মানুষের জন্য একমাত্র মুহাম্মাদ (সা.) এর জীবনই হিদায়াতের উৎস ও নাজাতের মাধ্যম।

রাসূলের চারিত্রিক গুণাবলী: মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআন মাজিদে বলেন, ‘হে নবী আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপে প্রেরণ করেছি। এবং আল্লাহর আদেশক্রমে তার দিকে আহবায়ক রূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে প্রেরণ করেছি’। (সূরা: আহযাব, আয়াত: ৪৫-৪৬)

উপরোল্লিখিত আয়াতদ্বয়ে মহান আল্লাহ তার প্রিয় হাবিব রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে প্রেরণের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করেছেন। পাশাপাশি রাসূলুল্লাহ (সা.) এর বিশেষ গুণাবলী, উল্লেখ করেছেন। এখানে রাসূলের পাঁচটি গুণ বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথম গুণটি হলো স্বাক্ষীদাতা। তিনি কেয়ামতের দিন উম্মতের জন্য সাক্ষ্য প্রদান করবেন। আয়াতে বর্ণিত দ্বিতীয় গুণটি হচ্ছে, তিনি সুসংবাদ প্রদানকারী। তিনি দ্বীয় উম্মতের মধ্য থেকে সৎ ও শরীয়ত অনুসারী ব্যক্তি বর্গকে জান্নাতের সুসংবাদ দেন। আয়াতে বর্ণিত তৃতীয় গুণটি হচ্ছে, সর্তককারী বা ভীতিপ্রদর্শনকারী। তিনি অবাধ্য ও নাফরমান ব্যক্তিবর্গকে পরকালের আজাব ও জাহান্নামের ভয় প্রদর্শন করেন। আয়াতে বর্ণিত চতুর্থ গুণ হচ্ছে, আল্লাহর আদেশক্রমে তার দিকে আহবানকারী স্বীয় উম্মতকে আল্লাহ পাকের সত্তা ও অস্তিত্ব এবং তার আনুগত্যের প্রতি আহ্বান করবেন। তিনি মানব মন্ডলীকে আল্লাহপাকের দিকে তার অনুমতি সাপেক্ষেই আহ্বান করেন। এ শর্তের সংযোজন ইঙ্গিত করে যে, তাবলীগ ও দাওয়াতের কাজ অত্যন্ত কঠিন, যা আল্লাহর অনুমতি ও সাহায্য ব্যতীত মানুষের সাধ্যের বাইরে। উক্ত আয়াতে পঞ্চম গুণ হচ্ছে, তিনি ছিলেন জ্যোতিষ্মান প্রদীপ বিশেষ।

> জাবির ইবনে সামুরা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সঙ্গে নামাজ আদায় করতাম। তার নামাজ ছিল মধ্যম এবং খুতবা ও ছিল মধ্যম। (মুসলিম)

> আবু কাতাদাহ হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি নামাজ পড়তে আসি এবং ইচ্ছা করি দীর্ঘ নামাজ পড়বো। কিন্তু যখন কোনো শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনি, তখন নামাজ সংক্ষিপ্ত করে ফেলি। কেননা এটা আমি পছন্দ করিনা যে, কোনো শিশুর মা কষ্ট পাক। (সহীহ বুখারি)

> হজরত যিয়াদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মুগিরা (রা.)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাহাজ্জুদ নামাজে এত অধিক সময় দাঁড়িয়ে থাকতেন যে, তার উভয় পা অথবা গোড়ালী ফুলে যেত। এজন্য লোকেরা যখন বলাবলি করতো, আল্লাহর নবীর এতো কষ্ট করার প্রয়োজন কী? তখন নবী তাদেরকে বলতেন, আমি কি আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হবো না? (সহিহ বুখারি)

> হযরত আয়শা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ যখন জনগণকে কোনো কাজের নির্দেশ দিতেন, তখন এমন কাজের নির্দ্দেশই দিতেন, যা তারা করতে পারতো। (সহিহ বুখারি)

জনৈক সাহাবী আম্মাজান আয়শা (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন, রাসূলুল্লাহর চরিত্র কেমন? আয়শা (রা.) বলেন, পবিত্র কোরআনই মহানবী (সা.) এর চরিত্র। অর্থাৎ কালজয়ী আল কোরআনের অসাধারণ নৈপুন্য ও আদর্শ সম্বলিত দৃষ্টি ভঙ্গিই সৃষ্টির সেরা মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন।

সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সা.) এর রিসালতকে বিশ্বাস করা ফরজ, তাকে মহব্বত করা ফরজ, তার সুন্নাতের অনুসরণ করা ফরজ।

মহানবী (সা.) কোরআন ও সুন্নাত ইসলামের দুটি বস্তু আমাদের নিকট আমানত রেখে গেছেন। এদুটি আকড়িয়ে ধরলে আমরা কখন ও পথ ভ্রষ্ট হবো না। কোরআন হচ্ছে আল্লাহ তাআলার কালজয়ী বিধানাবলী ও নির্দেশাবলী। আর সুন্নাতের পারিভার্ষিক অর্থ হচ্ছে রাসূলুল্লাহ আল্লাহ তাআলার নির্দেশাবলীকে কার্যকরী করতে গিয়ে যে পথের ওপর দিয়ে অগ্রসর হয়েছেন সে পথ। মোট কথা একজন মুসলমানের সাফল্য ও আধ্যাত্মিক পরিপূর্ণতার জন্য যে দুটি বস্তু প্রয়োজন তাহল কোরআন ও সুন্নাত।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –