• বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে খানসামা বিএনপির একাংশের বিক্ষোভ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০  

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য আহবায়ক কমিটি বিলুপ্তি করার দাবিতে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক চৌধুরীকে পাকেরহাটে তার ঔষধের দোকানে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছে উপজেলা বিএনপির একাংশ ও পদবঞ্চিতরা। বুধবার সন্ধ্যার পর আমিনুল হক চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি হাসিমপুর চৌধুরী পাড়ায় অবস্থান করেও বিক্ষোভ করে পদবঞ্চিতরা। 

জানা যায়, সদ্য প্রকাশিত ইউনিয়ন বিএনপির যে আহবায়ক কমিটি করা হয়েছে, তা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক চৌধুরী অস্বীকার করে আসছিল। এমনকি এই কমিটিকে ভিত্তিহীন ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে বিভেদ তৈরি করার জন্য করা হয়েছিল বলেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তিনি। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির একাংশ ও ইউনিয়ন বিএনপির পদবঞ্চিতদের সাথে বসে সমঝোতার মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করেন। যা বুধবার প্রকাশ করার কথা রয়েছিল।

আহবায়ক তা প্রকাশ না করে টালবাহানা শুরু করলে বুধবার সন্ধ্যার পর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির একাংশ ও ইউনিয়ন বিএনপির পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা আহবায়কের ঔষধের দোকানে তাকে অবরুদ্ধ করে আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করার দাবি জানান। এক পর্যায়ে আহবায়ক কয়েকজন নেতাকর্মীর সহযোগিতায় দোকান থেকে বাড়িতে চলে গেলে পদবঞ্চিতরা প্রায় ঘন্টাব্যাপী আহবায়কের পূর্ব হাসিমপুর চৌধুরী পাড়ার বাড়িতে অবস্থান করেন। পরে এলাকাবাসীর অনুরোধে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির একাংশ ও ইউনিয়ন বিএনপির পদবঞ্চিতরা অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেন।

নেতাকর্মীরা জানায়, কমিটিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদে এমনকি মনোনয়নের ক্ষেত্রেও যোগ্য ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয় না। শীর্ষ নেতাদের ম্যানেজ করে অযোগ্য ও সুবিধাবাদীরা কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করছেন। এর ফলে দলের দুঃসময়ে যারা পাশে ছিলেন, তাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। এতে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ সংঘাত।

তারা আরো বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিতে জর্জরিত হলেও বিভেদ নিরসনে বিএনপির হাইকমান্ড একেবারেই উদাসীন। সংকট সমাধানে তাদের নেই কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ। মনোনয়ন বাণিজ্য, কমিটি বাণিজ্য ও অদক্ষ নেতৃত্বের কারণে বিভেদের জেরে এরইমধ্যে অনেক স্থানে বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ঘটছে সংঘর্ষ ও রক্তারক্তির ঘটনাও। তবে এসব ঘটনায় এখনো নীরব বিএনপির হাইকমান্ড।

তারা বলছেন, দলীয় কোন্দল ও বিভক্তির রাশ টেনে ধরতে না পারলে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে আরো দুর্বল হয়ে পড়বে। তখন কোন্দল মেটাতে গিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে খেই হারিয়ে ফেলবে দলটি। এতে করে বিএনপির পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ভেস্তে যেতে পারে এবং গণপদত্যাগের ঘটনা বেড়ে যাবে।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রবিউল আলম তুহিন জানান, পকেট কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি প্রকাশ করতে আহবায়কের সাথে বসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা শুরু করছেন। এতে তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি পূর্বের কমিটি গঠনের বিষয়টি অস্বীকার করার কথা এড়িয়ে বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির যে আহবায়ক কমিটি করা হয়েছে তা বিলুপ্ত করা সম্ভব নয়।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –