• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২০  

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ভারি বষর্ণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দুধকুমার, ফুলকুমার, কালজানী, সংকোশ, গদাধরসহ  সবকটি নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে দেখা দিয়েছে দ্বিতীয় দফা বন্যা। 

ইতোমধ্যে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নলেয়া, কামাত আঙ্গারিয়া, চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুরের ৩টি ওয়ার্ড, খাসের গ্রাম, হুচারবালার ত্রিমোহিনী, পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা, পাইকডাঙ্গা, সোনাহাট ব্রিজের পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণপাড়, ভরতের ছড়া, গনাইর কুটি, বলদিয়া ইউনিয়নের হেলডাঙ্গা, আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের বীর ধাউরারকুঠি, ধাউরারকুঠি, তিলাই ও শিলখুড়িসহ ১০ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

শত শত হেক্টর জমির ফসল ও আমন ধানের বীজ তলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। নষ্ট হচ্ছে সবজি ক্ষেত। খাবার পানি ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চল ও দ্বীপচরের মানুষ। পাশাপাশি  নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় লোকজন বাধ্য হয়ে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। নদী ভাঙনের ফলে বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ন জনপদ। বসতভিটা, বাঁশঝার, গাছবাগান ও আবাদী জমি চলে যাচ্ছে নদীগর্ভে। বসতভিটা হারিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে শতশত মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, দুধকুমর নদের পানি বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বড় ধরণের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

চরভূরুঙ্গামারী ইউপি চেয়ারম্যান এ.টি.এম ফজলুল হক ও তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল হক শাহীন শিকদার বলেন, আমাদের ইউনিয়নের প্রায় বেশিরভাগ এলাকা তলিয়ে গেছে। বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। দরকার পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৮ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৪০ হাজার টাকা ও শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকায় বিতরণ করা শুর হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরুজুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –