• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতায় চরম ভোগান্তিতে ছিন্নমূল মানুষ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২০  

দেশের উত্তরের সীমান্ত জেলা কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ। করোনা আর শীতের প্রভাবে নিম্ন আয়ের মানুষজনের নাভীশ্বাস উঠছে।

জমিজমা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জায়গায় বস্তার বেষ্টনি দিয়ে তাবু টাঙিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। কনকনে তীব্র শীত উপেক্ষা করে দিন-রাত পার করছেন এই বস্তা দিয়ে টাঙ্গানো ঝুপড়ি ঘরেই। কেউ অর্থাভাবে চকি বা খাট কিনতে না পেরেই মাটিতে খড়ের বিছানা পেতে কাটাচ্ছেন রাত। এই বস্তার ঘরেই ছোট্ট সংসার।

ধরলা নদীর তীরবর্তি শহর রক্ষা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধেও আশ্রিত অনেকে। হিম ঠান্ডা উপেক্ষা কোনো রকমে দিনাপাতিত করছেন। গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পরায় ঘরের ছাউনি বেয়ে টোপায় টোপায় পানি পড়ে ভিজে যায় বিছানা। প্লাস্টিক দিয়ে কোনো রকমেই তীব্র ঠান্ডা মোকাবেলা করতে হচ্ছে এসব ছিন্নমূল মানুষের।

দেশের দারিদ্রপীড়িত জেলায় এমন হাজারো নিম্ন আয়ের মানুষজনকে শীত মোকাবেলা করতে হচ্ছে কষ্ট করে। করোনার প্রভাবে শীত মোকাবেলায় দিন-মুজুর ও খেটে খাওয়া মানুষকে নাকাল হতে হচ্ছে। ঠিক মতো কাজ না জোটায় সংসার চালানো দায় সেখানে শীতবস্ত্র ক্রয় কিছুটা স্বপ্ন দেখার মতো। করোনা আর শীতে শ্রমজীবী মানুষের বেড়েছে চরম দুর্দশা। আয় কমে যাওয়ায় হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ পুরাতন কাপড় অথবা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা মেলে না। দিনের বেলাতেও কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে প্রকৃতি। রাত বাড়ার সঙ্গে বাড়ে শীতের তীব্রতা। ফলে ঘন কুয়াশায় দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।

দেশের বৃহৎ নদনদীময় এই জেলায় রয়েছে প্রায় পাঁচশতাধিক চরাঞ্চল। শহরের তুলনায় শ্রমজীবী এসব চরাঞ্চলবাসী শীত, বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, ৩৫ হাজার পিচ কম্বল নয়টি উপজেলায় বিতরণ হয়েছে। এছাড়াও মন্ত্রণালয় থেকে ছয় লাখ করে নয়টি উপজেলায় ৫৪ লাখ টাকা শীতবস্ত্র ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শুকনা খাবার বরাদ্দ মজুদ রয়েছে নয় হাজার প্যাকেট এবং শীত মোকাবেলায় হতদরিদ্রের জন্য আরো এক লাখ কম্বল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –