• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

কুড়িগ্রামে ৩০ ভূমিহীন পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২০  

কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ক্লাইমেট ভিকটিমস রিহ্যাবিলিটেশন প্রজেক্ট (সিভিআরপি)-এর অধীনে এ উপজেলায় গড়ে তোলা হচ্ছে গুচ্ছ গ্রাম। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে কাবিখা কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ খাদ্যশস্যে প্রথমে মাটি ভরাট করা হয়। এর পর শুরু হয় ঘর নির্মাণের কাজ। প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘরগুলো বিতরণ করা হবে ৩০ ভূমিহীন পরিবারে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ তিলাই মৌজায় খোচাবাড়ী গ্রামের বটতলা নামক স্থানে ২ দশমিক ৮০ একর সরকারি খাস জমিতে মাটি ভরাট করা হয়। ভরাট করা জায়গায় ৩০টি ঘরের একটি গুচ্ছগ্রাম তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। সিভিআরপি-এর অধীনে কাবিখা কর্মসূচির আওতায় ১৪০ দশমিক ১৯৯ মেট্রিকটন খাদ্যশস্যের বিনিময়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এসব ঘর। নির্মাণকাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ভূমিহীন অসহায় পরিবারের মাঝে বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্মিত ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়ার জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় এখনো কোনো পরিবারকে বরাদ্দ দেওয়া  যায়নি।

এলাকার বিশিষ্টজনদের মতে করোনা, বন্যা ও নদীভাঙনের মতো সমস্যাগুলো একসঙ্গে সামনে আসায় ভূমিহীন দরিদ্র পরিবারগুলো অতিমাত্রায় অসহায় হয়ে পড়েছে। উপযুক্ত সময় ঘরগুলো বরাদ্দ দিলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন তাঁরা। 

তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল হক শাহিন শিকদার বলেন, মহামারি করোনা ও অতিবৃষ্টির কারণে কয়েক দফা বন্যায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে গুচ্ছ গ্রামের ঘরগুলো তৈরি করে ভূমিহীন পরিবারের মাঝে বরাদ্দ দিতে পারব।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শাহিনুর আলম বলেন, বিভিন্ন সমস্যায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাধা হয়ে না দাঁড়ালে সঠিক সময়ে কাজ শেষ করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, 'গুচ্ছগ্রামের ঘরগুলোর নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে। কাজ শেষ হলে যাচাইবাছাই করে প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে।'

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –